মোস্তাফিজুল হক-এর বৃষ্টির ছড়া
বৃষ্টির গান
আষাঢ় মাসে ভরদুপুরে
বৃষ্টি ঝরে মধুর সুরে…
বৃষ্টি ফোটা খুকুর হাতে
আনন্দে তাই খুকু মাতে।
মেঘ ঝরেছে গগন বেয়ে
আলতারাঙায় পুঁটির মেয়ে।
টাপুরটুপুর ঝিলের জলে
খলসে নাচে জলের তলে।
শ্রাবণ মাসে টাপুরটুপুর
বৃষ্টি মেয়ের পায়ে নূপুর।
বৃষ্টি পড়ে টিনের চালে
কদম-কেয়া গাছের ডালে।
ভাদ্র-আশ্বিন দুটো মাসে
দ্বন্দ্ব-মধুর বৃষ্টি আসে…
বৃষ্টি আসে ছন্দ ধরে
রোদের সাথে দ্বন্দ্ব করে।
চুপটি করে বৃষ্টি ঝুরে
পাখিরা গায় মিষ্টি সুরে
বৃষ্টি ঝুরে দৃষ্টিপুরে
গ্রাম-নগরে বর্ষাজুড়ে।
বৃষ্টিবিলাস
আজ দুপুরে মেঘ ঝরেছে
রুম ঝুমাঝুম ঝুম,
দোয়েল পাখির গানে ছিল
ঐকতানের ধুম!
এমন মধুর দারুণ ক্ষণে
চোখ সাধেনি ঘুম,
বাতায়নে বর্ষা-মেয়ে
দিচ্ছিল বেশ চুম!
ঘুমকে ছেড়ে চোখ ছুঁয়েছে
দুরন্ত মৌসুম,
হলদে পাখির ঠোঁট দেখেছি
সিঁদুরে কুমকুম!
সিক্ত সুখে আবির ধুয়ে
আনন্দে মশগুল,
সদ্যফোটা কদমগুলো
অপূর্ব তুলতুল!
কলম সুচে কালির সুতোয়
ফুটিয়ে কদমফুল,
বৃষ্টিবিলাস মধুর ক্ষণে
ভাবের হুলুস্থুল।
শিকারি
শ্রাবণ মাসে খবর আসে
বাঘ পড়েছে ধরা,
কেউবা আসে ডাহুক নিয়ে
বক সাধে হরকরা।
বাঘটা মেছো- নয় তা গেছো
নয় মোটে তা চিতা,
খুব পিটিয়ে মারলো যারা
নয় প্রকৃতির মিতা।
হচ্ছে না ঠিক- খুবই বেঠিক
বিপন্নদের মারা,
তাদের চেয়ে হিংস্র বেশি
ধরছে পাখি যারা।
কেউবা দেখি খায় পাখিটা
ঠিক রাজাদের মতো,
হয়তো ওদের বোধের অভাব
মানুষই নয় ততো!
হয়তো আদিম মানুষ এরা
জংলীপনাই বেশি,
এদের আছে দোনলা আর
জাত হায়েনার পেশী!
বৃষ্টির ছড়া
শাওন রাতে চাঁদ আড়ালে
অঝোরে মেঘ ঝরছে,
ঝিঁঝিঁ ও ব্যাঙ মনের সুখে
অনন্য গান ধরছে।
কেয়াবনে ডাকছে শেয়াল
বিষাদ ঝরে পড়ছে,
নীপের শাখায় রাতের ডাহুক
একাই কেঁদে মরছে!
জামের শাখায় হুতুমপ্যাঁচা
বিষাদী সুর ধরছে,
সেই পুরনো গানের শ্রোতা
বিরহে মন ভরছে।
তবুও কেউ সোহাগসুখে
স্বপ্নমুখর হরষে,
একটি নতুন দিনের আশায়
সিক্তমধুর পরশে।
একটু ভাবুক মানুষ যারা
না ঘুমিয়ে মগ্ন,
এসব কিছু ভাবতে গিয়ে
কাটছে মধুর লগ্ন।
It’s actually a cool and helpful piece of info. I’m glad that you simply shared this helpful info with us. Please keep us up to date like this. Thanks for sharing.