জয় বাংলা শিশুসাহিত্য উৎসব।। ছড়া।। শাহীন রায়হান
বিজয় কেতন
ছোট্ট খোকা বুকের মাঝে সবুজ ঘাসে
টুকটুকে লাল রং মাখিয়ে শুধু হাসে
এ হাসিটা সবার বুকে জাগায় চেতন
এ হাসিটা হিজল বনে
মায়ের মনে
এ হাসিটা বোনের মুখে
বাবার বুকে
উড়ন্ত এক বিজয় কেতন।
এ হাসিটা বইয়ের পাতায়
খুকুর খাতায়
মেঘের ফাঁকে
এ হাসিটা গল্প কথায়
স্বাধীনতায়
পাখির ডাকে
লাল সবুজের পতাকাতে
মুক্তি সেনার রক্তমাখা
বাংলাদেশের ছবি আঁকে।
এই ছবিটা দেশের
ঝিরঝির ঝির বইছে বাতাস ফুল ছুঁয়ে একটানা
উড়ছে চড়ুই ছানা
বইছে নদী বাঁকে
মৌমাছিরা ঝাঁক বেঁধেছে লালচে শিমুল শাখে।
মেঘ পরীরা নূপুর পড়ে উড়ছে মেঘের গাঁয়
গোশালিকের হাঁট বসেছে ক্ষেতের পাশে
প্রজাপতি আদর বুলায় সবুজ ঘাসে
একটি দোয়েল দুলছে বসে শেষ বিকেলের না’য়
মেলছে ডানা দুইটি সারস দুধ সাদা রং বেশ এর
রৌদ্র মেঘে পড়ছে ঢাকা একটি সবুজ পাতা
খুকুর ড্রয়িং খাতা
রাতের বুকে জোনাক জ্বলা এই ছবিটা দেশের।
স্বাধীনতা
ছোট্ট খোকা তূর্য
রক্ত দিয়ে বুকে আঁকে
টুকটুকে লাল সূর্য।
ওর চাহনি চলন বলন
ওর দু’চোখের তারা
ওর কথাতে খুব খুঁজে পাই
স্বাধীনতার ধারা।
ওর পতাকা ওর মিছিলে
ওর চেতনায় রোজ
লাল সবুজের স্বাধীনতা
নিত্য করি খোঁজ।
একাত্তরের রক্তমাখা
ওর প্রতিটি কথা
ওর হৃদয়ে যুগে যুগে
বাঁচবে স্বাধীনতা।
সোনার বাংলাদেশ
আঁকতে গিয়ে দেশের ছবি
নিলাম সবুজ লাল
পাহাড় নিলাম সাগর নিলাম
নাঁয়ের ছেঁড়া পাল।
স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনার
একতারা সুর নদীর কিনার
রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি
কিংবা চলনবিল
নিলাম এঁকে চড়ুই বাবুই
দুই সোনারঙ চিল।
একেক করে আঁকছি তবু
হয়কি আঁকার শেষ!
আঁকা শেষে উঠলো হেসে
সোনার বাংলাদেশ।