রায়হান ফেরদৌস- এর ছড়া
একটি পাখি
ওই যে দূরে যাচ্ছে দেখা
একটি ছোট্ট পাখি?
একা একা বসে আছে
ওঠছে না ফের ডাকি।
উড়ছে না ক্যান? ওই পাখিটা
থাকতে দুটি ডানা,
চোখের সামনে ফড়িং ওড়ে
দিচ্ছে না ফের হানা।
ভাবছো তুমি ল্যাংড়া পাখি,
খাঁচায় পোষা, তা, না,
উড়তে পাখির মা দিয়েছে
বকা কিংবা মানা।
গাইছে না গান, উড়ছে না ক্যান?
ভেবে ক্লান্ত রাকা,
কারণ হলো ওই পাখি’টা
ড্রয়িং খাতায় আঁকা।
ভূত এবং আমি
সেদিন দেখি রাত্রে বেলা
চিকনা দু’টি ভূতে,
দুজন মিলে হেলেদুলে
সটান হয়ে মুতে।
ওদের মুতে বাগড়া দিয়ে
ছুঁড়ে মারি ঢিল,
ঢিল খেয়ে ভূত ফেরত মারে
আমার পিঠে কিল।
কিল মেরে ফের ভূতে বলে,
ঢিল মারিলি ক্যান?
ভূতকে বলি, পাগল আমি;
নেই হিতাহিত জ্ঞ্যান।
শৈশব
সুযোগ পেলেই রেঁধে খেতাম
আমি, রাসেল, সীমান্ত
আমি আনতাম চাল, ডাল তেল এবং
রাসেল শুধু ডিম আনতো।
সারাটা দিন খেলে- টেলে
ঘরে যেতাম সন্ধ্যে,
রেগে গিয়ে বাবা বলতেন,
পড়াশোনায় মন দে।
বাবা ছিলেন আমার বিরুদ
আর মা আমার পক্ষ,
ফুল, পাখিদের সঙ্গে ছিলো
আমার ভীষণ সখ্য।
ঝুট-ঝামেলায় জীবন এখন
মধুর ছিল শৈশব,
শৈশবের ওই বন্ধু তোরা
কোথায় গেলি? কই সব?
পাখির জীবন
পাখির সঙ্গে ঘুমাই আমি
পাখির ঘরে থাকি,
পাখির সুরে সুর মিলিয়ে
সকাল, বিকেল ডাকি।
পাখির ডানায় উড়ে বেড়াই
পাখির সুখে হাসি,
পাখি আমার আত্মীয় যেনো
ফুফু এবং মাসি।
ঘুমের ভেতর এসব দৃশ্যে
উঠছি আমি হেসে,
বোনের ডাকে ভাঙ্গল অমন
মজার নিদ্রা শেষে।
বলতে পারো? কেউ কী আছে-
মুক্ত পাখির মত?
থাকত না দুখ; জীবন যদি
পাখির মত হত।
চোখ
কিছু চোখ হয় অন্যায়ের আর
কিছু চোখ হয় সত্যের,
কিছ চোখ হয় বীরের; কিছু
চোখ হয় আনুগত্যের।
কিছু চোখ হয় আলোয় ভরা
কিছু চোখ হয় অন্ধের,
কিছু চোখ হয় কল্যাণেরও
কিছু চোখ হয় মন্দের।
কিছু চোখ হয় ন্যায়ও-নীতির
কিছু চোখ হয় নিষ্ঠার,
কিছু চোখ হয় দুর্নীতিবাজ
কিছু চোখ হয় বিষ্ঠার।
কিছু চোখ হয় হতাশায় ফুল
কিছু চোখ হয় লক্ষীর,
কিছু চোখ হয় শিকল পড়া
কিছু চোখ হয় পক্ষীর।
কিছু চোখ হয় ধর্মের; কিছু
চোখ হয় স্বপনো দ্রষ্টার,
কিছু চোখ হয় ক্লান্ত মনের,
কিছু চোখ হয় ভ্রষ্টার।
ধর্ষকের চোখ কোন স্তরের হয়?
কী বলে, বল? মন তোর,
ধর্ষকের চোখ পুরুষের নয়,
হয় নিকৃষ্ট জন্তুর।
তৃপ্তিদায়ক লেখা।অসাধারণ 😍😍😍
চমৎকার লাগলো ছড়া গুলো। অনেক নতুন নতুন ছড়া আশা করছি।
ধন্যবাদ ভাই। ভালবাসা নিবেন