কাব্য কবির এর ছড়া
হেমন্তের ছবি
সোনা রঙের ধান দেখে মনটা ওঠে ভরে,
নতুন চালের পিঠাপুলি সবার ঘরে ঘরে।
সরিষা ক্ষেত, হলুদ রঙে বধূর মতো সাজে,
রূপের যেন আগুন লাগে প্রকৃতিরই মাঝে।
লাউয়ের ডগা, কুমড়ো ফুল শিশির ভিজে হাসে,
মায়াবী এই দৃশ্য দেখতে সবাই ভালোবাসে।
হেমন্তেরই সোনার ছবি হৃদয়পটে আঁকা,
গ্রাম বাংলার এমন ছবি যায় না ভুলে থাকা।
চিঠি
মজার মজার ছড়া লিখে
শিশির ভেজা খামে,
পাঠিয়ে দেই মন খুশিতে
ফুল, পাখিদের নামে।
আমার ছড়া ছন্দে গড়া
পেয়ে কুমড়ো ফুল,
পড়ে ছড়া রোদের সাথে
হেসে হয় মশগুল।
আমার ছড়া পড়ে গান গায়
ময়না, টিয়ে পাখি
হেলে দুলে নাচে পাখি
করে ডাকাডাকি।
ছড়া পড়ে সবাই খুশি
ভালো লাগে মনে,
মন খুশিতে ঘুরে বেড়াই
পাহাড়-গিরি, বনে।
মন ভিজে যায়
মন ভিজে যায় চাঁদের আলোয়
মন ভিজে যায় বৃষ্টিতে,
মন ভিজে যায় ফুলের গন্ধে
ভালো কিছু সৃষ্টিতে।
মন ভিজে যায় পাহাড় দেখে
বনের ফুলের বাহার দেখে
মজার ছড়ার গন্ধে,
শিশির ভিজে মনটা নাচে
অন্তমিল আর ছন্দে।
আমার ছড়া
আমার ছড়া নাচতে পারে,
ফুলের মতো সাজতে পারে
দিতে পারে নদীর মতো
ঢেউ…
আমার ছড়া হাসতে পারে
মানুষ ভালো বাসতে পারে
আমার ছড়া পড়ছো তোমরা কেউ?
আমার ছড়া চাঁদের আলো
বাসে সবাই তাকে ভালো
আমার ছড়া খুবই মিষ্টি,
সন্দেশ, দধি দিয়ে সৃষ্টি।