মাহমুদ হায়াত এর ছড়া
একটা পিদিম
একটা আকাশ সবুজ সবুজ
একটা নদীর ঢেউ
একটা পাহাড় দাঁড়িয়ে ছিলো
দেখলো না তা কেউ।
একটা সাগর বিকেল বিকেল
একটা মানুষ চেনা
একটা সকাল উজান টানে
যায় না তারে কেনা।
একটা দুপুর ফাগুন ফাগুন
একটা বিজন মাঠ
একটা মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে
খোঁপায় তারার ভাঁট।
একটা সময় লাজুক লাজুক
একটা পাখির সুর
একটা পিদিম একলা জ্বলে
বুকের অচিনপুর।
নীল শাড়ি
নীল শাড়িতে বেশ জমেছে
লাল টিপটাও ভালে
এমন করে কেউ কী কখন
লাগায় হাওয়া পালে?
চশমাটাও চোখের উপর
তুলির আঁচড় গালে
এমন করে কেউ কী কখন
নাচায় ঢোলের তালে?
ঠোঁট দুটোও ভরা কটাল
চুলের লোপাট ঘ্রাণে
এমন করে কেউ কী কখন
হেঁচকা লাটাই টানে?
ঘূর্ণি নাচায় শাড়ির আঁচল
বুকের উঠোন বানে
এমন করে কেউ কী কখন
আকাশ রাঙায় গানে ?
কারুকাজ
চোখের পাতায় ছায়া বিকেল
মেঘ ভেসে যায় দূর
কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে
আমার চেনা সুর।
মনের উঠোন উছল নদী
রাতের আকাশ ঢেউ
কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে
আমার চেনা কেউ।
বুকের পাড়ায় ফিঙে দুপুর
রোদরঙা মেঘ প্রীতি
কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে
আমার চেনা স্মৃতি।
ঠোঁটের ডেরায় শিশির রোদ
তিতলি রঙিন সাজ
কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে
সে সব কারুকাজ।
আমি কী তোর
আমি কী তোর বর্ষা বিকেল
উজান স্রোতের নেয়ে?
বৈঠা ছাড়াই ভাসিয়ে দিস
একলা আকাশ পেয়ে?
আমি কী তোর কাজল দীঘি
উদোম পায়ে নুপুর?
শান্ত জলে ঢেউ দিয়ে যাস
কলসি কাঁখে দুপুর?
আমি কী তোর পুতুল বেলা
খুনশুটি দিন আড়ি?
ইচ্ছে হলে আড়াল করিস
নিপাট রঙিন শাড়ি?
আমি কী তোর সিঁথি গোলাপ
ডালায় পুঁজোর ফুল?
দিনের শেষে ভাসিয়ে দিস
ঢেউয়ে দোদুল-দুল ?