স্বপন নাগের ছড়া
রইল বাকি কী আর
সন্টা নামের বিচ্ছুটি
কাজ করে না কিচ্ছুটি
শুধুই খেলা সারাবেলা
সকাল থেকে সন্ধে
মা বোঝালেন, ‘খেলা ছেড়ে
একটু পড়ায় মন দে ।’
কিন্তু পড়া বড্ড বাজে
একটুও মন লাগে না যে
কী যে করে সন্টা !
খেলতে গিয়েই যাচ্ছে কেটে
দিনের বারো ঘণ্টা।
‘বাকি যেটুক সময় বাঁচে
আরো তো কাজ পড়ে আছে
মাম্মি, ভাই ডিয়ার —
টিভি এবং ঘুম ধরলে
রইল বাকি কী আর !’
নিদান
জর্দা খেয়ে বড়দা সেদিন
খড়দা গেল দৌড়ে,
সেখান থেকে সটান হাজির
মালদা জেলার গৌড়ে।
খোঁজ খোঁজ খোঁজ বড়দাকে খোঁজ
কোথায় গেল শেষে !
‘সাতসকালে হাঁটতে গেলুম’
বললে দাদা হেসে।
এমনি করেই রোজ সকালে
গৌড় থেকে খড়দা
হেঁটেই শরীর চাঙ্গা রাখার
নিদান দিচ্ছে বড়দা।
ছড়ায় বড়াই
ফুল বলে, ‘আমি সেরা’, ফল বলে, ‘আমি’
গাছ বলে, ‘ রাখ্ তো তোদের মিথ্যে ভন্ডামি,
আমিই যদি না থাকি তো কিসের ফল ও ফুল
বিনা গাছে ফল ও ফুলের জীবনটা ভন্ডুল।’
‘তাই বলে কি তুমি সেরা ?’ বলল হেসে মাটি
‘এক শ বার’, গাছ বলল, ‘সেরা এবং খাঁটি।’
সূর্য হাসে, ‘ঝগড়া থামাও, সবাই অনিবার্য
সবার জন্যে এই পৃথিবী কাজ করেছে ধার্য,
ফুলের বাহার ফলের আহার গাছের পরিপাটি
আমার আলোয় ধরে আছে এই ভুবনের মাটি।’
ছড়া তিনটেই মনে ধরলো খুব। তিন নম্বরটা একটু বেশি।
বেশ
ছড়া মানেই মজা। মানে আনন্দে ভরপুর ।
আর কি চাই ।
অক্সিজেন পেলাম