গুচ্ছ ছড়া //সৈয়দ শরীফ
আকাশ এবং তারা
এখান থেকে ওই তারাদের
দেখতে লাগে পিচ্চি,
দেখে দেখে আমরা শুধুই
ভুলটা জেনে নিচ্ছি;
অল্প কথায় আমিই আসল-
তথ্য বলে দিচ্ছি—
তারার কাছে এই পৃথিবী
ছোট্ট-গ্রহ খুব তো,
দূর থেকে তা দেখছি বলে
মূল আয়তন গুপ্ত।
বিস্মিত এই আমরা শুধু
ওই তারাদের মাপছি,
অবাক হয়ে কাঁপছি—
আকাশ তবে কত্ত বড়
একটু কি তা ভাবছি?
ব্ল্যাকহোল
দৈত্য-ব্ল্যাকহোল সবকিছুকে
নিচ্ছে টেনে তার ভেতরে,
এই দুনিয়ার শক্তি যতো
তার নিকটে হারবে তো রে।
ভাসছে মহাশূন্যে এবং
রয় ক্ষুধাতুর সর্বদা সে,
গিলবে, যদি তার এরিয়ায়
বিশাল পাহার-পর্বত আসে।
একটা সময় জানতো না কেউ
এই ব্ল্যাকহোলের আকৃতিটা,
সব অজানার যুগ পেরিয়ে
এখন খেলো পাক রীতিটা।
রং কালো আর খুব গ্র্যাভিটি
সূত্রমতে গোল-আকৃতি,
বিজ্ঞানীরা অন্ধগুলোর
চিন্তা এবং ভোলাক রীতি।
এই ব্ল্যাকহোলই গিলবে শুনি
একদিন আমার পৃথিবীকে,
তার সাথে ঠিক লড়বো তখন
সকল ভয় আর ভীতি বিকে।
মহাকাশ বিচরণ
যাচ্ছি মেঘের দেশ পেরিয়ে
স্বচ্ছ-চাঁদের আকাশে,
চাঁদ তো ভীষণ গোল-গ্রহ আর
আমরা ভাবি বাঁকা সে !
চাঁদ পেরিয়ে এসছি এখন
মঙ্গলেরও নিকটে,
মন-আকাশে লালচে রঙের
চিত্র ভেসে ঠিক ওঠে।
মেঘ, চাঁদ এবং লালগ্রহটার
সব সীমানা পেরিয়ে,
সূর্যমামার সৌরজগৎ-
থেকেই এলাম বেরিয়ে
আহ কী দারুণ জ্বলছে তারা !
এক দুটি নয়, অসংখ্য
ওই তারাদের গুণতে গিয়ে
ঘটছে শুধুই ধস-অংক।
গ্যালাক্সির রূপ
গ্যালাক্সিকে সঠিকভাবে জানবে বলো কে কে?
জানতে হলে এই ছড়াটায় দাও মনযোগ রেখে।
জানতে ভীষণ আগ্রহ যার, বলবো শুধুই তারে—
এই ছড়াটার তথ্য সবই বিজ্ঞান অনুসারে।
একটি গ্যালাক্সিতে কত সৌরজগৎ থাকে,
জানলে তোমার লাগবে আজব ওদের সংখ্যাটাকে।
রাত হলে রোজ ভাসতে দেখো লক্ষ-কোটি তারা?
সব তারারই সঙ্গে আছে ভিন্ন সৌরপাড়া।
সৌরপাড়া’র রূপ কী রকম, তাও জানো না? ওহো
যেসব পাড়ায় করছে বিরাজ সূর্য, পাথর, গ্রহ।
সূর্যও হলো একটি তারা, সকল তারার মাঝে,
অন্য তারার কাছ থেকে ঠিক সূর্যও তারা সাজে।
সৌরজগৎ ঠিক যে রকম সব তারারই রয়,
লক্ষ-কোটি তারায় তেমন গ্যালাক্সি যে হয়।
হাজার কিবা লক্ষ-কোটি গ্যালাক্সিরও জোটে,
উজ্জ্বল এবং মস্ত ‘সুপার-ক্লাস্টার’ হয়ে ওঠে।
সবাই ভীষণ অবাক হলে? লাগছে ঝিকিমিকি?
আচ্ছা তবে স্বচ্ছভাবে বুঝলে গ্যালাক্সি কী !
এসব নিয়ে মনটা দিয়ে ভাবতে থাকো, আর—
নিজ থেকে খুব নতুন কিছুর করবে আবিস্কার।