গুচ্ছ ছড়া ইমামউদ্দীন ইমন

খোকার সাহরি

সন্ধ্যা রাতে খোকা ঘুমায়
পাকা কথা নিয়ে,
ভোর রাতে সে সাহরি খাবে
আম্মুর সাথে গিয়ে।

রাত্রি তখন চারটা বাজে
সাহরি খাওয়া শেষে,
খোকা তখন লাফিয়ে ওঠে
অনেক রাগের বেশে।

আম্মু তখন আদর করে
দুধ ভাত নিলে হাতে,
খোকা বলে দুধ খাবে না
সাহরি খাবে ভাতে।

দিচ্ছে কলা দিচ্ছে মিঠাই
দিচ্ছে মাছের ভাজি,
কিছুতেই সে মানতে নারাজ
সাহরি খেতেই রাজি।

আম্মু এখন কেমনে বুঝায়
দুষ্টু খোকাটাকে,
ভোর রাতে যে ভাত খাওয়া হয়
সাহরি বলে তাকে।

তেতুল তলা

তেতুল গাছে ভূত থাকে
পেত্নী থাকে ডালে,
ঠিক দুপুরে ঢিল ছুরে যায়
টিনের ঘরের চালে।

সকাল বেলা স্কুলে যেতাম
চোখ রেখে দূর বিলে,
ভয়ে জড়োসড়ো হতাম
তেতুল তলায় গেলে।

মাঝে মাঝে সবাই মিলে
তেতুল গাছের তলে,
চুপিসারে বসে যেতাম
গল্প(পেত্নীর)শোনার ছলে।

খুকুর সাজ

নূপুর পায়ে খুকু নাচে
রেশমি চুরি হাতে,
পরনে তার রঙিন জামা
বিচিত্র রং তাতে।

আজকে খুকু বেজায় খুশি
গাল ভরা তার হাসি,
পান খেয়ে মুখ লাল করেছে
ঠিক যেন গো মাসি।

আলতা রাঙা পায়ে খুকু
চলে হেলেদুলে,
প্রজাপতি উড়ে বেড়ায়
খুকুর ছোট চুলে।

করোনা

করোনাকাল চলছে এখন
বাইরে যেতে মানা,
করোনায় হয় কি কি লক্ষণ
সব প্রয়োজন জানা।

সর্দি,কাশি,হাঁচি হবে
থাকবে সাথে জ্বর যে,
কোন মতেই নামবে না জ্বর
এখানটাতেই ডর যে।

শুকনো কাশি,গলা ব্যাথা
হবে করোনাতে,
শরীর ব্যাপক হালকা লাগবে
উঠবে না কাজ হাতে।

অবশেষে পুরো শরীর
ব্যাথা আর শ্বাসকষ্ট,
লেট না করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
কোভিট করো স্পষ্ট।

একটা পাখি

একটা পাখি ঘর বেঁধেছে
আমার ঘরের সাথে,
খাবার বেলায় ভাগ বসায় সে
তরকারি আর ভাতে।

সারাদিন সে কোথায় থাকে
পাই না যে তার খোঁজ,
সবরি কলার বাসে আসে
করতে ভুরিভোজ।

খাবার বেলায় তোর দেখা পাই
এমনে থাকিস কই,
কেমনে দেখবে?
সারাদিনতো মাথা ঘু্ঁজে
পড়ো তুমি বই।

সারা দিনমান বই পড়িলে
অফিস করি কই,
অফিস তুমি নেটেই করো
বললেই হইচই!

One thought on “গুচ্ছ ছড়া ইমামউদ্দীন ইমন

  • জুন ২৭, ২০২০ at ৮:০৪ অপরাহ্ণ
    Permalink

    দারুন ছাড়া, মজার ছড়া।

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *