স্ট্রিট ফিলোসোফারে ২৫ জন দেশ বরেণ্য কবি অভিনয় করবেন।

দু’বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী নির্মাতা ড. মাসুদ পথিক তার তৃতীয় সিনেমার ‘বক: দ্য সোল অব ন্যচার’ শুটিং শেষে সম্পাদনার টেবিলে। চতুর্থ সিনেমা ‘স্ট্রিট ফিলোসোফার’ নামের সিনেমাটির শুটিং শুরু হচ্ছে ১৫ অক্টোবর থেকে। সিনেমা বাংলা এবং ইংরেজি ভার্সন হবে। ‘জীবনের অন্তর্গত দর্শন, যেগুলো আমরা যাপন করছি—কিন্তু বুঝি না, জীবনের মগ্ন চৈতন্যের র’অনুভব, বলতে পারেন যে দর্শনগুলোর সঙ্গে আমরা ঠিক বোঝাপড়া করতে পারি না, তা। এতে নাগরিক শিল্প ও জীবনের টানাপোড়ন, অন্তর্গত সংগ্রাম,’ এ্যলিয়েনেশন, এই সবই গল্পের সারফেসে থাকছে স্ট্রিট ফিলোসোফার’ সিনেমার। তিনি আরও বলেন, এতে একজন বঞ্চিত ব্যক্তির গল্প বলা হবে। যাকে সমাজ বাঁকা চোখে দেখে। তিনি উচ্চতায় ছোট, চিন্তায় সাধারণ মানুষের মত নন। অসাধারণ। প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি একজন অপরিচিত শিল্পীকে বেছে নিয়েছেন। তার নাম আব্রাহাম তানিম। ইতোমধ্যে সিনেমাটির একটি পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে।

এই সিনেমায় অভিনয় করবে দেশে কিছু বরেণ্য কবিসহ মোট ২৫ জন কবি। কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা, কবি অসীম সাহা, কচি খন্দকার, ড. তপন বাগচী, আসলাম সানী, কবি আসাদ মান্নান, কবি হারিসুল হক, কবি বদরূল হায়দার, কবি ইউসুফ রেজা, কবি অনিন্ত্য চয়ন, কবি ফখরুল হাসান, কবি রাশেদ হাওলাদার, কবি রনি অধিকারী, কবি গিরিস গৈরিক, কবি রণজিৎ সরকার, কবি ফারুক সুমন সহ অনেকে। আন্তর্জাতিক দর্শকদের বাংলাদেশের ছবি সম্পর্কে জানানোর জন্যই এটি ইংরেজি ভার্সনকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ নির্মিত হয়েছিল নির্মেলেন্দু গুণের কবিতা অবলম্বনে এবং ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ নির্মিত হয়েছিল কামাল চৌধুরী ‘যুদ্ধশিশু’ কবিতা এবং শাহাবুদ্দিন আহমেদের পেইন্টিং ‘নারী’ অবলম্বনে। তবে ‘স্ট্রিট ফিলোসোফার’ নির্মিত হচ্ছে ফরাসী ও জার্মান দার্শনিক মিশেল ফোকো ও বের্টোল্ট ব্রেখট-এর চিন্তা বিশ্ব অবলম্বনে। এটি নির্মিত হবে মাসুদ পথিকের নিজের অর্থায়নে। ব্রাত্য ক্রিয়েশনের ব্যব্নারে। তিনি বলেন, ‘ছবিটি একটু নিরীক্ষাধর্মী। তাই নিজেই প্রযোজনা করছি। যদিও অনেক রিস্ক জব, তবুও আমি থামতে রাজি না।’ সিনেমার কাহিনি ও চিত্রনাট্য মাসুদ পথিকের। শুটিং শুরু হচ্ছে ১৫ অক্টোবর। এ সিনেমা ছাড়া মাসুদ পথিক আরেকটি ছবি নির্মাণ করবেন— ‘দ্য ওল্ড ইজ অ্যালোন’, দ্য আগস্ট ‘। ওগুলোর শুটিং শুরু হবে ‘স্ট্রিট ফিলোসোফার’-এর শুটিং শেষ হওয়ার পর পরই। মাসুদ পথিকের সিনেমা ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ ২০১৯ সালে ৮টি শাখায় ১০টি। ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ ২০১৪ সালে ৬টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *