সাক্ষাৎকার।। লেখার মধ্য দিয়ে আমি আমার সংস্কৃতির কথা বলতে চাই।। ইমাম মেহেদী

ইতিহাসের সন্ধানে ছুটেচলা তরুণ ইমাম মেহেদী একজন সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ইমাম মেহেদী । ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ বিভাগ থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা অর্জন করেন। বর্তমানে এমফিল গবেষণারত। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য সংষ্কৃতির প্রতি ছিলো গভীর আগ্রহ। ২০০৪ এ প্রথম পত্রিকায় ফিচার প্রকাশের মাধ্যমে হাতেখড়ি। ২০০৮ থেকে সাংবাদিকতাকে পড়াশোনার পাশাপাশি নেশা ও পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তখন থেকেই স্থানীয়, জাতীয় পত্রিকা,  লিটল ম্যাগ ও সাহিত্য পত্রিকাতে নিয়মিত লিখতে থাকেন। ২০১০ থেকে মুক্তিযুদ্ধের উপর মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেন। বাংলা বিভাগে পড়ার সুবাদে বিভাগের শিক্ষক বিশিষ্ট নজরুল গবেষক প্রফেসর ড. মুহা. জমির উদ্দীনের সান্নিধ্য লাভ করেন। সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলনের সময় তিনি কুষ্টিয়াতে সংগঠক হিসেবে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা ও সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত আছেন। ইতোমধ্যে এই তরুণের বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তন্মধ্যে রয়েছে কাব্যগ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এবং সম্পাদিত। বর্তমানে গবেষণা করছেন- স্থপতি কবি রবিউল হুসাইন এবং কুষ্টিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে। আবুল মনসুর আহমদ প্রবন্ধ পুরস্কার-২০১৯, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বেস্ট ট্যোবাকো কন্ট্রল জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড-২০১৩ এর মতো পুরস্কার রয়েছে তার অর্জনের ঝুলিতে। ইমাম মেহেদীর অসংখ্য প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও গবেষণা ধর্মী লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ইমাম মেহেদী বাংলাদেশ টেলিভিশনেও গবেষক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন একাধিক অনুষ্ঠানে। একটি সমৃদ্ধাশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এই তরুণ গবেষক।

 লেখক ও গবেষক ইমাম মেহেদী। জন্ম কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায়।ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত লেখালেখি ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। পেশাজীবনে কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরি করছেন রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে। লেখালেখির বিভিন্ন নিয়ে বিষয় ইমাম মেহেদীর মুখোমুখি হয়েছেন ফখরুল হাসান।

ফখরুল হাসান:  কাব্যশীলনে আপনাকে স্বাগতম।

ইমাম মেহেদী:কাব্যশীলনের জন্য শুভকামনা।

ফখরুল হাসান:লেখালেখিতে কেন আসলেন, অন্য কোন অঙ্গনে তো নিজেকে জড়াতে পারতেন? লেখালেখিটা কী শখে না নেশা, নাকি সবাই লিখছে তা দেখে আপনিও লিখছেন?  

ইমাম মেহেদী: ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য সংস্কৃতি খুব ভালো লাগতো। কবি সাহিত্যিকদের জীবনী ও লেখা বেশি বেশি পড়তাম। আমার বাবাও একজন লৌককবি। তিনি কবিতা পড়তেন। রাতে উঠোনে খেজুর পাতার মাদুরে বসে আমার সবাই কবিতা শুনতাম। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক লেখা ভালো লাগতো। তখন থেকেই লেখক হওয়ার স্বপ্ন আমাকে এগিয়ে নিয়ে যেতো। সেই থেকে দিনে দিনে লেখক হয়ে ওঠা। লেখালেখি এখন নেশা ও পেশা দুটোই হয়ে গেছে। আমৃত্যু পযর্ন্ত চালিয়ে যেতে চাই। লেখালেখির মাধ্যমে দেশকে কিছু দিতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস মানুষকে জানাতে চাই। বিশ্বের মাঝে আমাদের ভাষাকে তুলে ধরতে চাই, আমি আমার সংস্কৃতির কথা বলতে চাই।

ফখরুল হাসান: টেকনোলোজির এই যুগে, যেখানে ফেসবুকের কল্যাণে হাজার থেকে লাখো লেখা পোস্ট হচ্ছে বাংলা সাহিত্য নিয়ে। বা ই-বুকে সহজেই পিডিএফ ফাইল পড়া যায়। সেখানে বই কিনে বই পড়াটা কিভাবে দেখছেন?

ইমাম মেহেদী: তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লব খুব দ্রুত ঘটছে ফলে মানুষ সহজেই বই পড়তে পারছে কিন্তু ছাপার বইয়ের প্রয়োজন কখনো শেষ হবে না। হবার নয়। এই দেখেন আমাদের দেশে অনেক টেলিভিশন, অনলাইন পত্রিকা, সোসাল মিডিয়া হয়েছে কিন্তু ছাপার পত্রিকার প্রয়োজন কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। তেমনই ছাপারবই ও পত্রিকার একটি অদৃশ্য প্রাণ আছে, সুগন্ধ আছে। যেখানে লেখক ও পাঠকের মনের সুপ্ত বিকাশ এবং সফলতা স্বতস্ফুর্তভাবে বিকশিত হয়। যার সঙ্গে আমাদের হাজার বছরের ছাপা শিল্পের ইতিহাস জড়িত। ইতিহাসের বাইরে আমরা কখনো যেতে পারি না। তবে প্রযুক্তির ইতিবাচকতা সানন্দে গ্রহণ করতে হবে। প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে কোনভাবেই আমরা আগামীদিন এগিয়ে যেতে পারবো না।

ফখরুল হাসান: একজন নতুন লেখকের ২৪ ঘন্টায় কতটা সময়ে সাহিত্য চর্চায় বা বই পাড়ায় ব্যয় করা উচিত? আর কি কি বই পড়া উচিত বলে মনে করেন?

ইমাম মেহেদী:প্রথিতযশা ও প্রকৃত সাহিত্যিক হতে হলে জীবনে প্রচুর পরিমান ভালোমানের বই পড়তে হবে। এবং সেটা দৈনিন্দন কাজের মত প্রত্যহ করার চেষ্টা করতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে- গতিতেই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু। জীবন কর্মময়। সুতরাং সৌন্দর্য ও ইতিবাচকতা দিয়ে উপভোগ্য করতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে, জীবনে প্রয়োজনীয় কাজ বাদ দিয়ে বইপড়া বা সাহিত্যচর্চা করতে হবে। জীবন হতে হবে কর্মময়, পাঠ্যময়, সুখময় ও লেখ্যময়। সাধারণ মানুষ চোখ দিয়ে দৃষ্টি যতদূর যায় ততোদূর দেখে কিন্তু একজন লেখক বা শিল্পী আগামী দিনের হাজার বছরকে দেখে এবং দেখায়। সুতরাং হাজার বছরকে দেখার সম্ভার তৈরি করতে হলে অবশ্যই তাকে ভালোমানের বই পড়তে হবে। অন্যদিকে নিয়মিত লেখার চর্চাও করতে হবে। একটা কথা- লেখতে লেখতে কিন্তু লেখক, গাইতে গাইতে গায়ক। নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ কিন্তু একদিনে নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ হননি। সুতরাং কোনকিছু ধরে রাখা বা অব্যাহত রাখাটা আমাদের জন্য জরুরী। কোন ধরনের বই পড়বো বা পড়া উচিত সেটি কিন্তু আমাদের ইচ্ছাশক্তি, অন্তরের ক্ষুধা ও প্রাপ্তি এবং মানসিকতার উপর নির্ভর করে। শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের জন্য কিংবা ইচ্ছা করলে আমরা বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে পারি। তবে পান্ডিত্য অর্জন করতে হলে, বদলে যেতে হলে, বদলে দিতে হলে অবশ্যই আমাদের প্রবল ইচ্ছাশকক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে সেই বিষয়ভিত্তিক বই পড়তে হবে। শেকড়ের সঙ্গে থাকতে হবে। মা এবং মাটির কথা বলতে হবে।যার লেখার মধ্যে মা-মাটি, প্রেম ও প্রকৃতির কথা নেই তার লেখা কখনও ইতিহাস হয়ে উঠবেনা বলে আমি বিশ্বাস করি।

ফখরুল হাসান: আপনি কি মনে করেন, বাংলা সাহিত্যে বর্তমান তরুণদের লেখার জায়গা আছে? অনেকে বলেন শুনি, নবীনদের নাকি কিছুই হচ্ছে না। যেমন ধরা যাক শূন্য দশক। আপনি হয়তো লক্ষ্য করলে দেখবেন। শূন্য দশকের তেমন কোন লেখক নেই। এটাকে আপনি কিভাবে দেখেন?

ইমাম মেহেদী: এটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি। সাহিত্য সংস্কৃতি সমাজ ও রাষ্ট্রের চলমান প্রক্রিয়া। এই ধারা কখনো কখনো আমাদের কল্পনা শক্তিকেও ছেড়ে যাই, আবার কখনো কখনো আশানুরুপ হয় না। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, শুন্য দশকে ভালো মানের লেখক বা সাহিত্য নেই। হতে পারে সেটি তুলনামূলক ভাবে কম। আর একটি বিষয়, লেখককে কোন দশকেই প্রতিষ্ঠিত হতে হবে বা জনপ্রিয় হতে হবে বা হবে তেমন কোন বিষয় না কিন্তু। অনেক বছর পরও তার সৃষ্টি নন্দিত হতে পারে। যার উদাহরণ জীবনানন্দ দাশ। আমরা প্রথমার্ধে তাঁকে কবি হিসেবেই জানতাম বা এখনও জানি। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর অসাধারণ কথাসাহিত্যের সৃষ্টি পাওয়া গেল। তার উপন্যাস ও গল্পের সম্ভার আমাদের সামনে আসতে শুরু করলো।আমরা এখনও জীবনানন্দকে নতুন ভাবে চিনতে থাকি। অন্যদিকে বাংলা সাহিত্যেও কিন্তু অন্ধকার যুগ খ্যাত আছে সুতরাং এটি চলমান প্রক্রিয়া। আবার রাষ্ট্রের দিকে তাকান ৫২/৬৯/৭১/৯০ দিকে যে আন্দোলনে সাহিত্যেকদের সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছিলো তার সাথে কিন্তু কোন যুগের তুলনা চলে না। ঠিক এখনও তাই। রাজনৈতিক সংকট থাকলেও সাহিত্যে সংকট নেই। কারণ প্রতিবছর বহু নতুন লেখক সৃষ্টি হচ্ছে। হ্যা তবে যান্ত্রিক জীবন ও তথ্যপ্রযুক্তির অতিমাত্রায় বিপ্লবের কারণে আমরা সাহিত্য চর্চা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি কিছুটা।

ফখরুল হাসান:সাহিত্য আড্ডা হচ্ছে না বললেই চলে। অথচ দেখুন আমরা যতটা জানি ৬০/৭০/৮০ দশকে প্রচুর সাহিত্য আড্ডা হতো। এই আড্ডা না হওয়ার জন্য কি নবীনদের দায়ী করবেন? নাকি এর দায়ভার কিছুটা অগ্রজদেরও আছে।

ইমাম মেহেদী: সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার প্রধান অগ্রপথিক হল অগ্রজরা। তাঁরা নিজেরা সাহিত্য চর্চা করবেন, তরুণদেরকে বলবেন, স্বপ্ন দেখাবেন, পরিকল্পনা করবেন, স্বপ্ন বুনিয়ে দিবেন। তরুণরা সেটা বাস্তবায়ন করবে। এবং সেখান থেকে নতুনত্ব সৃষ্টি করবে। এটাই রীতি কিন্তু বর্তমানে অগ্রজরা কিছুটা দূরে চলে গেছেন আর তরুণরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছেন। এটার প্রধান কারণ সাহিত্য সংস্কৃতির নিয়মিত চর্চা না হওয়া। এই দেখেন আগে কতো লাইব্রেরি ও পাঠক ছিলো কিন্ত এখন বই আছে, লাইব্ররি আছে কিন্তু পাঠক কম। কারণ মাণুষ তার চাহিদা অনুযায়ী রাষ্ট্রে কর্মক্ষেত্র পাচ্ছে না। এ কারনে সাহিত্য চর্চা ও আড্ডা খুব জরুরী। কারণ সাহিত্য আড্ডায় ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত হয়। নতুন কিছু জানা-শোনা যায়। নিজের মাঝেও নিত্য নতুন ভালো সাহিত্য সৃষ্টির সম্ভার ঘটে।

ফখরুল হাসান: লেখকদের জন্য প্রচার একটি বড় বিষয় মনে করি। যেমন আপনি একটি ভালো বই কিনে পড়লেন অথচ কাউকে বললেন না, জানালেন না বইটি সম্পর্কে। তাহলে পাঠকেরা কি করে জানবে।

 ইমাম মেহেদী: বই প্রকাশ,  প্রচার,  প্রকাশক ও লেখকের যেহেতু একটি আর্থিক বিষয় নিহিত রয়েছে সেক্ষেত্রে প্রচার-প্রকাশকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কারণ বই বিক্রির সাথে শুধু প্রকাশক নন লেখকেরও একটি সম্মানী জড়িত। যদিও লেখকের সম্মানী খুবই সীমিত তারপরও তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে একটি ভালো বইয়ের মানের প্রচার, কাহিনীর প্রচার, বইয়ের ম্যাসেজ মানুষের কাছে পৌঁছানো জরুরী। সেটা প্রকাশক, লেখক, পাঠক যে কোন মাধ্যমেই হতে পারে।

ফখরুল হাসান: আমি যতটুকু জানি আপনি প্রবন্ধ লিখতে ভালোবাসেন। বিগত কয়েকবছর দেখছি আপনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়েই বেশি লেখালেখি করছেন। মুক্তিযুদ্ধের গবেষক হয়ে ওঠলেন কিভাবে।

ইমাম মেহেদী: যেহেতু আমার সাহিত্য ও সাংবাদিকতা একসাথে শুরু এবং সেটা কুষ্টিয়া থেকেই। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনেক দেরিতে পৌঁছেছে। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি এখনও সুযোগ পেলেই মাথাচাড়া দেয়। ইতিহাসকে ভুলপথে পরিচালিত করে কৌশলে। বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশকে মনে প্রাণে ধারণ করেন না। যারা এবং যাঁদের আন্দোলন, সংগ্রাম, সম্ভ্রভ এবং রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি ভাষা পেলাম,  একটি রাষ্ট্র পেলাম,  একটি পতাকা ও মানচিত্র পেলাম তাদের প্রতি আমাদের অনেক ঋণ আছে। তাদের সেই স্বপ্নের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে। তাদের স্বপ্ন ও স্মৃতির প্রতি ব্যক্তিগতভাবে আমার এক ধরণের দায়বদ্ধতা আছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমি মুক্তিযুদ্ধ নিযে গবেষণার কাজ কাজ করে যাচ্ছি। আমার এই কাজের প্রধান অগ্রপথিক ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন স্যার। স্যারের অনুপ্রেরণায় আমার গবেষণার প্রধান শক্তি। এছাড়াও বীর প্রতীক কর্ণেল সাজ্জাদ আলী জহির ও রাজশাহীর হেরিটেজ আর্কাইভ এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান স্যার আমাকে দারুণভাবে উৎসাহ প্রেরণা এবং তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন।গুণী এই সকল মানুষের সান্নিধ্যে যাওয়ার ফলে আমার কাজের পরিধি বিস্তর লাভ করেছে।আমার জানা ও শেখার ভান্ডার বিস্তর হয়েছে।

ফখরুল হাসান: অনেক সময় দিলেন। আপনাকে ধন্যবাদ।

 ইমাম মেহেদী: আপনাকেও ধন্যবাদ আপনাকেও। কাব্যশীলনের জন্য শুভকামনা রইল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *