প্রবন্ধ।। আসাদ চৌধুরীর ফাগুনের আগুন ঝরা কাব্য লেখক।। মীম মিজান

ভাষা ভাব বিনিময়ের মাধ্যম। পৃথিবীর সব প্রাণীর মধ্যে ভাব বিনিময় করার জন্য রয়েছে নিজস্ব ভাষা। আছে সেই ভাষাকে লিখনের মাধ্যম বর্ণ বা প্রতীক। সেই বর্ণ বা প্রতীককে রক্তকণিকা বলা যায়। আর সেই রক্তকণিকা যদি বিলীন হয় তবে একসময় সেই ভাষাই বিলীন হতে বাধ্য। ভাষা শুধু একটি মাধ্যম নয়। এটি একটি বাহন। যা সেই ভাষীক গোষ্ঠীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সত্তা ইত্যাদি বহন করে যুগ বা কাল পরম্পরায়।

আমাদের এই উপমহাদেশ আবহমান কালথেকে ঔপনিষদের নিগড়ে ছিল। এখানকার বীর সন্তানগণ তাই যুগে যুগে কালে কালে ফুঁসে উঠেছিল বেনিয়াদের উৎপাটনের জন্য। বেনিয়ারা আমাদের সবধরনের সত্তার উপর আগ্রাসন চালিয়েছিল। বিশেষ করে আগ্রাসী ভূমিকা চালিয়েছিল ভাষা ও সাংস্কৃতিক উপাদানের উপর। আর আমাদের দূরদর্শী চিন্তকগণ বুঝেছিলেন সেই আগ্রাসনের পরবর্তী করুণ ফলাফল। ফলে বিদ্রোহের দানা বেঁধেছিল। সেই দানাই কালের পরিক্রমা ও স্বকীয়তার টানে পরিণত হয়েছিল সুবিশাল এক মহীরুহ রূপী আন্দোলনে।

বৃটিশ বেনিয়াদের বিতারণের অব্যাহতি পরেই যখন আমরা ভ্রাতৃত্বের ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র পেলাম তখন পাকিস্তানি হঠকারী ও জোচ্চোর শাসকদের দ্বারা নানাভাবে অত্যাচারিত হতে থাকলাম। তারা বঞ্চিত করে যাচ্ছিল আমাদের নিয়তই। সহসা তারা ভাষার প্রশ্নে পশ্চিমের ব্যবহৃত ভাষা উর্দুকে আমাদের উপর চাপাতে চাইল। যেখানে আমাদের প্রাণের সাথে মিশে যাওয়া ভাষা বাংলা আছে। আছে বাংলা স্বতন্ত্র বর্ণমালা। আরো আছে শক্তিশালী ভাষাতত্ত্বগত এক সংস্কৃতি। আমরা রুখে দিলাম তাদের। তাদের অস্ত্রের ঝনঝনানি, কারফিউ, নিষেধাজ্ঞা পারেনি আমাদের দমিয়ে রাখতে।

বাংলা মায়ের কোলের দামাল ছেলেরা বজ্র ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে সামনে এগিয়ে গেল। জোচ্চোরদের আজ্ঞাবহ বাহিনী খৈ ফুটালো তাদের বিদেশি শত্রুর আক্রমণথেকে রক্ষাকারী অস্ত্রের দেশীয়দের উপর। ঝরেগেল তাজাপ্রাণ। অমর হল তাঁরা। আর তাঁদের রক্তের উপর ভেসে আসল আমাদের মুখের ভাষার অধিকার। আমরা হলাম ভাষার জন্য প্রাণদেয়া প্রথম জাতি। এই কৃতিত্ব গোটাবিশ্বে আজ প্রোজ্জ্বল। পেয়েছে বৈশ্বিক স্বীকৃতি। সুতরাং এই ভাষা আন্দোলন ও স্বীকৃতি আমাদের জন্য এক উন্নত মর্যাদার। একজন কবি তার দেশ, জাতি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা, সমাজ ইত্যাদিকে তুলে ধরে কাব্য করেন। লিখেন সমকালের ইতিহাস যা হয় কালজয়ী। আবার অতীত সোনালী অর্জনকে আশ্রিত করে লিখেন দায়বদ্ধতার পঙক্তিমালা। প্রজন্মকে জানিয়ে দেন তাদের ভিত ও শেকড়। এমনই একজন দায়বদ্ধ ও শেকড় সন্ধানী কবি হচ্ছেন আসাদ চৌধুরী। দক্ষিণের জনপদ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ায় ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মনেয়া এই বহুমাত্রিক মানস মূলত একজন প্রাতিস্বিক কবি। তিনি কবিতার পাশাপাশি গদ্যচর্চায়ও অনবদ্য। করেছেন অনুবাদ। সম্পাদনার হাত নিপুণ ও গতিময়। আবৃত্তিকার হিশেবে খ্যাতিমান। ‘তবক দেওয়া পান’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে যে আসাদ চৌধুরীর পথচলার প্রারম্ভ সেই কবির এখন সৃজনসম্ভার প্রায় শ’খানেক গ্রন্থে পূর্ণ। সাংবাদিক, শিক্ষক, বাংলা একাডেমির পরিচালক পদ অলংকৃত করা এই শিল্পমানস পেয়েছেন আগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার, বাংলা একাডেমী পুরস্কার, একুশে পদকসহ অন্যান্য পুরস্কার ও সম্মাননা।

আসাদ চৌধুরী মৌলিক কবি, নিজের সৃষ্টিতে মহিয়ান। বাংলার মানুষের দেশজ ও মরমি চিন্তা চেতনার প্রতিনিধি তিনি। তার কাব্য ভা-ারের অনেকাংশজুড়ে আছে আমাদের সোনালী অর্জনের মুকুট ভাষা আন্দোলন। অন্যান্য কবিদের কবিতায় ভাষা আন্দোলন যে ব্যঞ্জনা তুলে তার থেকে ভিন্ন ও মনোহর ব্যঞ্জনা প্রস্ফুটিত আসাদ চৌধুরীর কবিতায়।

ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখ ১৯৫২ সাল। সেদিন বাংলা ১৩৫৮ সালের ৮ ফাল্গুন ছিল। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার । আর আমরা জানি বাংলা সনের শেষ দুই মাস অর্থাৎ ফাল্গুন ও চৈত্র মাস মিলে হয় ঋতুরাজ বসন্ত। আমাদের রক্তের বিনিময়ে অধিকার অর্জনের সে কালটি ছিল বসন্তকাল। বসন্তকাল মানেই গাছে গাছে নতুন পাতা। প্রকৃতির আপন লীলায় এসময় ফুলের সমারোহ থাকে। কচিপাতার ফাঁক-ফোকরে বসন্তদূত কোকিল ডাকতে শুরু করে কুহু কুহু। এক কুহুতানের আবেশ ছড়ায় চারপাশে। আমরা সেই ফুলের ডালি থেকে ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে অর্পণ করি শ্রদ্ধার্হ। আসাদ চৌধুরী কুহু ডাকে মত্ত কোকিলকে কোকিল সম্বোধন করতে নারাজ। তিনি বলতে চান যে, আমরা যদি কোকিলকে কোকিল বলি তাতে তার কোন যায় আসে না। তিনি কোকিলকে ভাষা ও আশা বলতে চান। তিনি এই আগুনরাঙা ফাগুনকে প্রতিবাদের ঝড় হিশেবে দেখেন। যেমনটি তিনি তার ‘ফাগুন এলেই’ কবিতায় লিখেছেন,

“ফাগুন এলেই পাখি ডাকে
থেকে থেকেই ডাকে
তাকে তোমরা কোকিল বলবে? বলো।
আমি যে তার নাম রেখেছি আশা,
নাম দিয়েছি ভাষা,
কত নামেই ‘তাকে’ ডাকি
মিটে না পিপাসা।
ফাগুন আনে ফুলের তোড়া
কখনো প্রতিবাদ
ফাগুন যেন পাগলা ঘোড়া,
মানতে চায় না বাঁধ।”

একুশ বা ৮ ফাগুন আমাদের কি শেখায়? আমরা কি ভুলে বসেছি বিদ্রোহ। আমরা আজ বিষহীন কোন দোড়াসাপ। আমাদের ভিতরে নেই কোন বিদ্রোহের তেজ। শত জুলুম নির্যাতন আমাদের প্রত্যক্ষে ঘটে যাচ্ছে কিন্তু আমরা নির্বাক। একবার চেষ্টা করছি না বিদ্রোহ করার। যদি ক্ষতি হয়ে যায় নিজের। আবার পাকা পাকা বিশ্লেষণ হাজির করা হয় আমাদের সামনে, দিনশেষে কিন্তু আমাদের পিতা-মাতা বা আতœীয় পরিজন ছাড়া কেউ নেই। তাই অন্যায় অবিচার জুলুম যাই ঘটুক না কেন নিজেকে সেগুলো থেকে মুক্ত রাখতে হবে। আর সেটাই নাকি বুদ্ধিমানের কাজ। আসলে এরা স্বার্থান্ধ। এরা নপুংসক। নিজেরা যে ভীতু তার প্রভাব খাটিয়ে অন্যকে তেজহীন করে রাখবে। তাদের জানাও নেই বা তারা জানার চেষ্টাটুকুও করে না যে এই দেশ বা ভাষা কি এমনি এমনি পেয়েছি। তাদের মতো যদি রফিক, সালাম, বরকতেরা চুপ থাকতো বা দিনশেষে পরিবারের কথা ভাবত তাহলে কি আমরা হতাম স্বাধীন? পেতাম কি এই মধুর ভাষা? কস্মিনকালেও পেতাম না। আমাদের সময়ে দেখছি এমনই পরিস্থিতি। কালজয়ী কবি আসাদ চৌধুরী একুশের চেতনাকে আবারও ধারণ করে আমাদের সকল অনাচার, স্বৈরাচারীতার বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে বলেছেন তার ‘ফেব্রুয়ারি ’৮৩’ নামক কবিতায়। তার আহ্বান,
“সবল বিশ্বন্ত আর সাহসী পুরুষ
যেন নেই বোবা দেশে, যখন খরায়
পুড়ে যাচ্ছে বর্ণমালা,
যখন প্লাবনে
ভেসে যাচ্ছে মূল্যবোধ
বক বকম জিহবাগুলো স্থির
উচ্চারণযোগ্য কথা নেই যেন, চরাচরে হায়
এই বন্ধ্যা মৃত্তিকাকে দিয়েছো বিধি হে
চমৎকার নীরবতা।
যে একুশ বোবারও গান ধরে
………………….
উদ্যাম স্লোগানে
………………….
গর্জে ওঠে বটমূল, আমতলা, আইল্যান্ড”

কোকিলের কুহুতান যেমন কবিকে স্মরণ করিয়ে দেয় ভাষা কিংবা আশা। আবার এই কোকিলের উদাসী সুর লহরীর ডাক কবিকে করেছে উতলা। কবি নিজ ভাষার উপর বিজাতীয় আগ্রাসন দেখে হয়েছেন আশাহত। তিনি ব্যথিত হৃদে কোকিলের ফাগুনের ডাক শুনছেন। তাই কোকিলের ডাক বাড়িয়ে দেয় যাতনা। কবিমন কোকিলের ডাকে অনুভব করছেন আর্তনাদ। ফুলের ঋতু ও মনোহরা ঋতু বসন্ত হলেও তার যেন কোন আবেদন নেই। পানসে হয়েছে সবি। কবি যেমনটি লিখছেন,

“কোকিলের কণ্ঠে আজ
কেন শুনি
এত আর্তনাদ
কি হলো তোমার এই কোকিলের?
ফাল্গুনের দর্প বড় বেশি
বারুদেরও অহংকার আছে।

ও কোকিল তোমার কণ্ঠে বিদ্যাপতি নেই কেন?
এল ঋতুপতির রাজ বসন্ত।
সেকি এসে ফিরে ফিরে যাবে।”
(কোকিলের কণ্ঠে আজ: আসাদ চৌধুরী)

আমাদের এই স্বচ্ছ প্রসবণের ন্যায় মিষ্ট ভাষা বাংলা। এ ভাষার শব্দাবলী আমরা কে না চিনি। আমাদের রক্তকণিকায় মিশে আছে যে ভাষার উপাদান তা আমাদের নিকট পরিচিত। চির পরিচিত। আর এই ভাষার উপর খড়গ, রক্তের-জীবনের উৎসর্গ, প্রাপ্তি ও অর্জন আমাদের নিকট অনুরূপ জানাশোনা। আমরা শ্বাস গ্রহণ করি। আর দিনে কতবার শ্বাসগ্রহণ করি তার সংখ্যা হিশেব না হলেও অনুমেয়। তাই বাতাস বা সমীরণ আমাদের নিকট সম্যকভাবে পরিচিত। উপর্যুক্ত বিষয়াদি ও প্রত্যয়গুলিও আমাদের নিকট অনুরূপ পরিচিত। কবি আসাদ চৌধুরী তার ‘বাতাস যেমন পরিচিত’ ইঙ্গিতবহ কবিতায় পঙক্তির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন,

“আছেন বটে এমন মানুষ হয়নি দেখাই
দেখিনি যার যতেœ রাখা ঝাপসা ছবি
কুটুম্ব নন, আতœীয় নন, শত্রুও নন,
পিতৃবন্ধু… এসব কিছুর ধার ধারে না,
অথচ তার আনাগোনা সকল ঘরে,
সবাই চেনেন, বাতাস যেমন পরিচিত।

লাল-সবুজে ঝিলিক মারে কৃষ্ণচূড়া
পাগলা হ’য়ে ডাকতে থাকে কালো কোকিল
বাড়তে থাকে গাছের মত শহিদ মিনার
বুকের ভিতর শেকড়গুলো আলাপ করে।”

বৃটিশ বেনিয়াদের কালোথাবার চিহ্ন আজও আমরা বয়ে বেড়াই। বয়ে বেড়াই জোচ্চোর পাকিদের নগ্নথাবার নখরের আঁচড়। নব্য বেনিয়ারাও থেমে নেই এই শ্যামল বাংলাদেশের মাটিকে করতে গ্রাস। আকাশ সংস্কৃতি, ভাষার আগ্রাসন, বাজারের করায়ত্ত, রাষ্ট্রচালনার ক্রীড়নক আজ তারা। গুমরে গুমরে কেঁদে মরে শহিদানের চেতনা। তারা মুছে ফেলে দিতে চায় আমাদের শেকড়কে। আর ভাসাতে চায় এক গড্ডালিকাপ্রবাহে। কিছুটা সার্থকও হয়েছে এই গোষ্ঠী। কবি নিজে বলেছেন, “কবি তখন স্বপ্ন দেখান জাতি যখন দুঃস্বপ্নে”। তিনি একজন স্বপ্নবাজ কবি। জাতির কর্ণধার তরুণদের তিনি তাই জেগে উঠতে বলেছেন। বলেছেন দুমড়ে মুচড়ে দাও বর্গীদের আস্তানা। এমনি আশা করে ফাগুনের দ্রোহে স্ফুরিত হয়ে তরুণদের দিকে তাকিয়ে কাব্য করেছেন এভাবে,

“গানে গানে
স্লোগানে স্লোগানে
আশার ভাষাটি

শোনাবেন সে কোন তরুণ
দুই চোখে স্বপ্ন মেখে?
কান পেতে রই
কাঙালের মতো
আমি কান পেতে রই
ও আমার
আপন হৃদয় গহন দ্বারে
বারে বারে
কান পেতে রই।”
(আমি কান পেতে রই: আসাদ চৌধুরী)

আমাদের ভাষা আন্দোলন প্রথিত হয়েছে গানে, কবিতায়, গল্পে, নাটকে, সংলাপে, চলচ্চিত্রে, পালাগানে, উপন্যাসে, প্রবন্ধে কিংবা আবহমান বাংলাদেশের সূচিকর্মের জমিনে। এসবে মিশে আছে আবিররাঙা বর্ণমালা। আর এই বর্ণমালা আমাদের সবকিছুকে করেছে জীবন্ত অক্ষরের কালিতে পাতায় পাতায়। আমরা সে পাতা পড়ে নিজেকে করি শানিত। হই দ্রোহ ও স্বদেশীয় চেতনায় ভাস্বর। আমরা এই সত্য-ন্যায়ের পথে চলতে চেয়েছি কিন্তু স্বদেশের কিছু লেবাসধারী তাদের দোসর হয়ে করেছিল আমাদের নিপীড়ন। আমরা পথ হারাইনি। এখনো সে পথের বিল্পবী পথিক আমরা। তবে ভাষার অক্ষরের সেই রক্তের ঋণ আজও শোধ করতে বোধ হয় সক্ষম হইনি। তাই কবি কাব্য লিখেছেন আক্ষেপভরা ভাব নিয়ে। তার আক্ষেপ,

“ভুল পথে অনেক হেঁটেছি
বর্ণমালা, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র
মানবাধিকার
যেন এক সূত্রে গাথা,
জুলুমের অনেক দাগ তো এখনো রয়েছে।
স্বদেশী লুটেরাও বিভিন্ন লেবাসে
সঙ্গী হয়েছিল।
ভুলি নাই, ভুলতে পারিনি।
আমাদের ঋণ শেষ কবে হবে। আর?”
(আমাদের ঋণ: আসাদ চৌধুরী)

আসাদ চৌধুরীর আরেকটি ভাষা আন্দোলনভিত্তিক ছোট্ট কবিতার কয়েক চরণ পাঠকরলে তার একুশনিয়ে ভাবনার জগত সম্পর্কে আরো গভীরে প্রবেশ করা যাবে। সেই কবিতার চরণ কয়েকটি,

“খুঁজে মরি
বাক্যের অতীত সত্যবাণী।
মানুষ ফিরেছে শুধু কথা খুঁজে খুঁজে,
মানুষের আচরণে নিসর্গের উদাসীনতায়
বাঁশের শরীরেচামড়ার ভাঁজে ভাঁজে
মানুষ খুঁজছে বাণী
সেই সত্যবাণী।

ঘামে, রক্তে, অশ্রুর তুফানে
মানুষেরা দেনা রেখে যায়
(সব নয় কিছু কিছু মানুষের ছাও),
দেনার নিজস্ব ভাষা আছে, সত্যি আছে।”
(বাক্যের অতীত সত্যবাণী: আসাদ চৌধুরী)

ফাগুনের আগুনঝরা আবহ; কোকিলের কুহুতানে আশা; ভাষা, হতাশা-নিরাশা; তরুণদের জেগে ওঠার স্বপ্ন; প্রতিবাদ ও দ্রোহে মুখরতা আসাদ চৌধুরীর কাব্য সম্ভারের ভিতরে এক নান্দনিকতাকে অলংকৃত করেছে। যার ফলে কবির কাব্য পেয়েছে শ্লাঘা। কবি হয়েছেন ভাস্বর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *