অণুগল্প।। অনুভূতি।। খালেদা লিপি
সকালের নাস্তা খেয়ে সিগারেট প্যাকেটের শেষ সিগারেট লাইটারে ধরলো তমা।
ভাবলো, সিগারেট আনানো দরকার।
কিন্তু নিজের বাইরে যাওয়ার মোটেও ইচ্ছে নেই।
আর মেয়ে মানুষ বলে দোকানে সিগারেট চাইলে
দোকানী আড়চোখে,ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকে।
ব্যপারটা তার জঘন্য লাগে।
সিগারেটের প্যাকেটে তো লেখা নেই, সিগারেট শুধু
পুরুষের জন্য প্রযোজ্য। বরং তাতে লেখা আছে,
ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
তাহলে মেয়ে মানুষ কেন সিগারেটের অমৃত স্বাদ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হবে?
তমা হলো চেইন স্মোকার, সাধারণত ছেলেরা এমন হয়।তমা কি করে এমন হলো সে নিজেই বুঝতে পারছে না। এই স্বভাবের জন্য তার মেয়ে বন্ধু নেই বললেই চলে।
সিগারেটে শেষ টান দিয়ে শেষাংশ ছুঁড়ে ফেললো
জানালার বাইরে।
বুয়াকে দিয়ে সিগারেট আনাতে হবে৷ বুয়া কাপড় ধুচ্ছিলো।
যাচ্ছি, যাই বলে বুয়া আধাঘন্টা সময় পার করে দিলো।
তমা মনে মনে ভাবলো, এই আধাঘন্টায় আরও চারটা সিগারেটের ধোঁয়া কুন্ডুলি পাকানো হতো।
অবশেষে বুয়া কাপড় ধোয়া শেষ করে বললো,
আফা, টেকা দ্যান সিগারেট আইন্না দেই।
প্রায় ঘন্টা খানেক পর তমা নতুন সিগারেটের প্যাকেট হাতে পেলো।
খুশি মনে সিগারেটের প্যাকেট খুলছে তমা, আর মনে মনে বলছে,”সিগারেটের নতুন প্যাকেটের প্রথম সিগারেটের স্বাদ একদমই আলাদা”
এটা তমার একদম একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতি।