বেইল আউটের অপেক্ষায়।। মহির মারুফ

এই প্রেমের ওপর যত
শতাংশই প্রণোদনা দেই না কেন,
এতদিনে এটুকু বুঝে গেছি-
তুমি হুন্ডির পথেই হাঁটবে প্রিয়।
এই প্রেম ফিরে পেতে যত
সদস্যের কমিটিই গঠন করা হোক-
আমি নিশ্চিত, প্রতিবেদন জমা দেয়ার
তারিখ প্রতিবার পেছাবে।
এখন তুমি শিখে গেছো-
নিজের আবেগকে কীভাবে
নামে-বেনামে নিরাপদ কোনো
ঠিকানায় পাচার করে দিতে হয়।
আজ আমার মানিব্যাগে মাইগ্রেনের
ব্যাথা সত্ত্বেও- তোমার আঁচলে বাধা
টাফনিল- ওভার-আন্ডার ইনভয়েসিং
করে চালান করে দিচ্ছো- পশ্চিমের
কোনো বরফের দেশে। অথচ আট
নাম্বার বাসের মতো এই মনে- কত
কাকুতি-মিনতি করে একসময় ঝুলে
থাকতে চাইতে। লোলুপ দৃষ্টিতে বসে
থাকা আমার প্রেয়সীদের সিটের দিকে
তাকিয়ে থাকতে। আর এখন রাতারাতি
সেডান গাড়ির মালিক হয়ে- সাই করে
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলে যাও তুমি।
শুধু পকেটে টোলের ভাড়া নেই বলে- তোমার
পাশাপাশি যাতায়াতও বিলাসিতা ঠেকছে।
কিউবান চুরুট টানা ঠোঁটে চুমু খেয়ে- তোমার
বোধদয় হয়েছে, আমার চার টাকার তামাক
যতই ব্রিটিশ কিংবা জাপানিজ হোক, আদতে সস্তা ছিল।
অথচ এতকিছুর পরেও, ঋণখেলাপিদের দিকে যেভাবে
রাষ্ট্র তাকিয়ে থাকে- তেমনি ছলছল চোখে আমি তোমার অপেক্ষায়।
যদিও জানি- যতই কালো প্রেম সাদা করার সুযোগ দেই না কেন-
প্রেমের রিটার্ন দাখিল কিংবা নগদ আবেগ,
কোনটাই আর ফিরে পাওয়া যাবে না।
আমায় দেয়া তোমার এতদিনের মিষ্টি কথার জামানত,
বাজেয়াপ্ত করতে গিয়ে দেখি- পুরোটাই পলিথিনে
মোড়ানো গোলাপি হাওয়াই মিঠাই।
অথচ তোমার জানা উচিত ছিল,
রাষ্ট্র নির্ধারিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ যেমনি অধরা,
তেমনি তোমার প্রতি আমার এ প্রেম অতলস্পর্শী।
এখন উপায়ন্তর না দেখে, দেশি ঘি ছেড়ে,
আমিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি-
পশ্চিমেরই কোনো এক দয়াবতী এসে,
আমাকে এই বিতৃষ্ণার জীবন থেকে একদিন বেইল আউট করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *