ঈদসংখ্যার কবিতা।। আবু আফজাল সালেহ
(১)
পাপড়ির কান্না
মৌমাছিরা আর আসতে চায় না
ফুলদের অন্তরাত্মা ভেঙ্গে যাচ্ছে
আলোর অভাবে
দূষিত বাতাসে হতে চায় না পরাগায়ন,
শুনি কান্নার রোল।
পাপড়ির কান্না যেন
ঝিনুকের প্রদাহের বেদনার মতো
তবুও শুনতে চাই পাপড়িদের হৃৎস্পন্দন।
(২)
বিদেশী কুকুর
তেড়ে আসে কিছু বিদেশী কুকুর
দূরে সরে যাই
ভাষা বোঝা যায় না
তবে আমাদের ‘ঘেউ-ঘেউ’ শব্দের মতন।
অতঃপর কিছু স্বদেশী কুকুর যোগ দেয়
তাদের ভাষা ঠিকই বুঝে নেয়।
একটু দূর থেকেই
আমরা তাদের খেলা দেখি, মাখামাখি দেখি
ভাষা না বুঝে চুপ থাকি।
উচ্ছিষ্ট খাওয়ার শেষে রক্তের খোঁজ শুরু করে দেয়।
(৩)
আস্থাদের ভুলে গেলে
বৃষ্টিরা ছেড়ে গেল হঠাৎই
আমাকে না জানিয়েই
এক পাখি বলে গেল জনান্তিকে কিছু কথা।
শোনাকথায় সরিয়ে নিলে মন
আড়াল করেছ উদার
যেন ঢেকে দিলে আকাশ
ছেঁড়াখোঁড়া মেঘে গেল ঢেকে অতঃপর।
পোড়খাওয়া কষ্টগুলিকে এক নিমিষেই তুচ্ছ করলে!
তোমার কপালের আস্থার ছাপগুলি ভুলে গেলে এত সহজেই!
তবুও জ্যোৎস্নাভাঙা চুম্বন তোমার গালে।