খান মুহাম্মদ রুমেল-এর কবিতা
আহারে প্রত্যাখ্যান
ফিরিয়া আসি যখন আমি অবহেলায়
অপমানে নীল হইয়া যায় চাঁদ!
চাঁদের দুঃখে যদি তুমি ব্যথা পাও?
সেই ভাবনায় কাঁদিয়া মরি!
আমি তো লোলুপ- বেহায়ার দৃষ্টি
আমার অপমানে কিছুই না গো মেয়ে কিছুই না।
নিয়াছি তো মানিয়া অদৃশ্য ভাগ্যরে হায়!
তোমার হাতে পড়বো না হাতখানি আমার, জানি।
হাসিমুখ হাসিখানি আমার নয় তাও, মানি!
তবু ক্যান যাতনা জাগে?
ক্যান মনের ভিতর কেউ কয়-
রাই ক্যান আমার হবার নয়?
যুক্তিবিদ্যার তর্ক কইরা দিনভর
মনে হয়, যুক্তি কিছু নয়
আমার হইলা না তুমি, নিলা না পাশে
শুধাইলা না একটা বার-
‘ক্যান বারবার খুঁইজা মরো কবি?”
আমি তাই একলা রাতে হাঁটি
জোছনার আলোও কি ফিরাইবো আমারে?
জানি না, কিছুই না, শুধুই হাঁইটা চলি!
আলাপ
আমি আপনারে চাইলাম, আপনি আমারে
আমাদের চাওয়াটা রইয়া গেলো-
কেউ কাউরে পাইলাম না।
নাকি পাইলাম সেইটাও বুঝলাম না!
মাঝখানে জন্ম নিলো বিশাল সরোবর
সেই জলে নাইতে গিয়াও আমরা দ্বিধায় থাকি
সাঁতার কাটুম নাকি কাটুম না
ডুব দিমু নাকি দিমু না!
এইটারে তাইলে কি বলবেন এখন?
চাইলে ভালোবাসাও বলতে পারেন
চাইলে পাওয়া না পাওয়ার সংশয়ও।
এইসব আলাপ বাদ দিয়া অন্য আলাপে যাই
এই যে পাইলাম নাকি পাইলাম না
এই যে দ্বিধা আর এই যে সংশয়
এইটাও তো একটা সম্ভাবনা, তাই না?
চলেন- আমরা এই সম্ভাবনা লইয়া বাঁচি!
বাঁইচা থাকলে একদিন পাইতেও পারি
আবার নাও পারি!
ধুর সেই একই আলাপ- তারচেয়ে চলেন-
আমরা সরোবরের জলে নাইতে থাকি- ডুবাইতে থাকি!
সেদিন আমি শূন্য
আলোও নাই অন্ধকারও নাই
পালক পড়ে আছে শুধু!
আর আছে ফিরিয়ে দেয়া।
যতো যুক্তি তর্কে বলো-
সুযোগহীন অমাবশ্যার কথা
ওসব আমি মানি না গো মেয়ে!
তুমি চাইলে পথ বের হয়-
এক হাজার একটা
তুমি আরব্য রজনীর রানি
সুযোগহীন নিরুপায়- সব ছেলে ভোলানো বুলি!
বারবার ফিরে এসে আগুনে পুড়ি
আবার জ্বলে উঠি ফিনিক্স পাখি!
আবাবিলের প্রত্যয়ে তোমাকেই খুঁজি!
তুমি আমায় নাও না, কেন নাও না?
আমি কষ্টে জ্বলে জ্বলে নতুন করে জন্মাই
ফিরিয়ে ফিরিয়ে আর কতো পবিত্র করবে?
হয়তো একদিন জল হয়ে মিশে যাবো বাতাসে
জড়িয়ে রবো অস্তিত্ব জুড়ে তোমার
অনুভব করবে- দেখতে পাবে না!
কারণ আমি তখন শূন্য!