নূরনাহার নিপা’র কবিতা
তুষের আগুন
তোমাকে দেখি না বলে
এখন আর ভাসি না চোখের জলে,
তবে বুকের গহীনে লুকিয়ে রেখেছি তুষের আগুন।
সে আগুন, একদিন পুড়ে ছাই করে দেবে
তোমার আলোয় ভরা সুখের ফাগুন।
ফিরিয়ে দেব বলে
একদম শূন্য হাতে ফেরাওনি
দিয়েছ বাঁধভাঙা অশ্রু
যা শ্রাবণ ধারার মতো বয়ে যায়
চোখের নদীতে,
দিয়েছে সহস্র অভিযোগ।
গোলাপের মতো থরে থরে
সাজিয়ে রেখেছি যা বুকের অলিন্দে।
যে বুকে বিরাজ করছে
শ্মশানের পোড়াকাঠের সঙ্গে রাত্রির নিস্তব্ধতা।
একদিন বলেছিলে, আমি তোমার প্রেমের আকাশ
আজ সে আকাশে অপবাদের কৃীতমেঘ
বলেছিল, সুজলা সুফলা শঘ্যক্ষেএ আমি দেখো, সে ক্ষেত আজ কাঁটা-ক্যাকটাসে ভরা ধুধু মরুভূমি।
তবু ও তোমাকে ঘূণা করতে পারি না নিজেকে নিজেই ঘূণা
সযত্নে বয়ে বেড়াই তোমার দেওয়া সমূহ যাতনা।
একদিন সমূহ কাঁটাকে গোলাপ করে
ফিরিয়ে দেব বলে।
তোমার মতো
ছিলে সাগর, দিলে মরুভুমি
ছিলে পূর্ণিমা, দিলে মরাকটাল
ছিলে কথা পাখি, দিলে ডাহুক হৃদয়।
তুমিহীন আজ সবই মৃত-
তোমার মতো।
সর্ম্পকের টানাপোড়েন
হে পুরুষে। ওম,
মনের ক্যানভাস থেকে ছুঁড়ে ফেলে দাও
বেওয়ারিশ লাশ।
প্রণয়ের জলোচ্ছ্বাস বয়ে যাক।
প্রেম খুঁজে নিক অবারিত নীল
ভাটার টান ভুলে জোয়ারে ভাসাও
ভেঙে দাও দ্বন্দের কারাগার।
চলো, ইচ্ছেগুলো
মুখরিত করি ফের,
হাতে হাত ধরি,
খুলে দিই যাবতীয় দ্বন্দ-সমাস-
সর্ম্পকের টানাপোড়েন।
আবার প্রেমে করি স্বর্গের ধ্যান।