আসমা সুলতানা’র কবিতা

তোমার মুখচ্ছবি

দিচ্ছে না ছুটি আমায় তোমায় মুখচ্ছবি
হঠাৎ করে যখন তখন দিচ্ছে উঁকিঝুকি
কেঁপে ওঠে লোমকূপ ভেবে হই সারা
মেঘশূণ্য আকাশে ঝলসে ওঠে তারা
তোমায় দেখি বা না দেখি ঘুমে বা জাগরণে,
লুকিয়ে থাকে মুখচছবি যখনই ভাবি,
আমায় দিচ্ছে না ছুটি তোমার মুখচ্ছবি,
পাহাড়চূড়ায় ঝর্ণার তলে আড়াল হলে জল
তোমার সূর্যাসতের সোনামাখা মুখটি করে জ্বলমল
বিকেল বেলার আধেক রোদে আদর মাখা মুখ
বুকের ভেতর ইচ্ছে নদীর বইছে কত সুখ

আমার বিষন্ন দিন

স্মৃতি গুলো বড্ড কাঁদায়
বুকের ভেতর অশ্রু নামায়,
অষ্টপ্রহর কষ্ট নামায়
চোখের জলে কাব্য বানায়,
যায় না পড়া ডুব সাঁতার আর মিষ্টি গন্ধ,
মাঝে মাঝে একতারাটায় সুর তোলে,
জোছনা রাতে বকুল ফুলের গন্ধে মাতে
বুকের জমিন, স্মৃতিগুলো একলা একার
আমার বুকের শান্ত দীঘি।
স্মৃতিগুলো ঘুঘুডাকা আমার ছিল রঙিন দুপুর,
আজকে আমার স্মৃতিগুলো মজাপুকুর শ্যাওলাধরা কোন পুকুর ঘাটে পদ্যবিহীন খালি নুপুর

দোলনচাঁপার অরণ্য

অরণ্য সময় ঘড়ির আড়ালে আমার দিকভ্রান্ত মন,
পাতার গল্প গুলো তোমাকে শোনায়,
না বলা সেই বেহিসেবী চিঠি আমি পাঠিয়েছি নিঃশব্দ নীলিমায়,
তুমি জেনে নিও কি করে কাটত আমার এক একটা রোদেলা বেহুলা দুপুর,
জানো অরণ্য!
আমরা একটা আকাশ হতে পারতাম,
সেখানে বৈশাখে নামত এক পশলা বৃষ্টি,
রোয়া ওঠা মেঘের দুপুরে নেচে উঠত কোন ময়ূরী বালিকা,
কিছুই হয়ে ওঠেনি আমাদের,
তোমার এক পাহাড়ের অভিমানে।

চাইনি কেন সেই গোলাপটি

আমি রোদের আদর মেখে মেঘের বুকে চুমো খেতে চাই,
সেই শান্ত দীঘির জলে ঝড় তুলতে চাই,
আমি হয়তো কোনদিন জানতে পারতাম না,
তোমার বুকে একটা সমুদ্র বাস করে
যার তিনভাগ আমি এক ভাগ জল,
কতবার আমাদের দুপুরের গল্প গুলো সেই সমুদ্রে সাঁতার কেটেছে,,
আমার কথা গুলো হাওয়ায় হাওয়ায় চিৎকার করে তোমাকে ডেকেছে,
জমে থাকা মেঘগুলো থেকে বৃষ্টি নামিয়েছে,
বইয়ের ভাঁজের সেই শুকনো গোলাপ
অনবরত চুমো খেয়েছে আমার কবিতায়,
তোমাকে না দেখার আজ অনেক গুলো দিন সেই সমুদ্র থেকে জল নামায়,
খুব করে মনে পড়ছে আজ তোমায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *