প্রণব মজুমদার-এর কবিতা
পঞ্চাশে স্বদেশ
পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেছে সেই কবে
অথচ হিসাব কষিনি কোনদিন
সুবর্ণ সময় সাড়ম্বরে দেশ
একে একে তোমারও পার হয় পঞ্চাশ
অংকটা বেশ, তবুও স্বস্তি নেই
চৈতণ্যের বিবেকটা ভোতা হয়ে গেছে!
মুখে প্রগতির মন্ত্র জপ করে চলেছি
মনে পুষি প্রভেদ আর সাম্প্রদায়িকতা
হে স্বাধীন বাংলাদেশ, তোমার দেহ রক্তাক্ত
প্রতিদিন হানাহানি হয় শত্রুর সরব উচ্চারণে
অনিয়ম, হিংসা ও অসাম্য বোধের হতাশায়
এসব দায় আমিও এড়াতে পারি না
অর্ধ শতবর্ষেও কাঁদে প্রিয় স্বদেশ!
আসা যাওয়া
যে যায় সে কী আর ফিরে আসে?
যে আসে সে কী সত্যি ভালোবাসে?
যে থাকে এই জাগতিক সংসারে
লালসায় থাকে সে স্বার্থের ভারে
তাকে কী বুঝতে পারি?
অভিসন্ধে ছলাকলায় শুধুই হারি
আমি আসি তোমার কাছে
ভুলে যাই তাই ভাবি পাছে
তুমি ফেরাতে ভালোবাসো
লাঞ্চনা উপহাসে বড্ড হাসো
প্রহরে প্রহর যায় শূন্যতায়
একলা জীবন দম চলে যায়!
বাজছে সাইরেন
তোমার পাখীদের কাছে আমায়
নিয়ে চলো হে পথিক
পূর্ব পুরুষের সকলের ঋণ শোধ
বুঝি আমার হবে না?
ঘনিয়ে এলো জাগতিক সন্ধ্যা!
সেই কবে থেকে মৃত্তিকার
শেকড়ে হেঁটে চলেছি
গিরি প্রান্তর, ইচ্ছাগুলো চপল
পাইনি তবু মমতার স্পর্শ
সগৌরবের ঐতিহ্য সন্ধান
বিষন্ন মন, ক্লান্ত বিকেল
বেজে চলেছে শেষ সাইরেন!