মধুবন চক্রবর্তী’র কবিতা
এক বুক প্রেম
আমি একটা আস্ত সাগর চেয়েছিলাম।
সাগর যেনো গিলে খেতে এলো আমাকে।
পালিয়ে গেলাম নদীর বুকে। মুখ গুঁজে
বুকের ভীরে প্রবেশ করতেই নদীর ভেতরে
লুকিয়ে থাকা সামুদ্রিক মাছগুলো আমাকে
খেতে এলো। সাঁতরে পেরিয়ে এলাম একবুক নদী।
জিব্রাল্টার প্রণালী পেরোনো এক বলিষ্ঠ ঢেউয়ের
পিঠে উঠে নীরবে পেরোলাম অবহেলা।
বেলাশেষে অবহেলাগুলো লিস্তেজ হয়ে পড়ে
রোদ মাখা অবেলার অবলা প্রেমের ঐশ্বরিক স্পর্শে।
এবার এলাম অরণ্যের মাঝখানে। অরণ্যে রোদন সহ্য
করতে না পেরে লাফ দিলাম মরুভূমিতে।
পেলাম যৌনতা। মরিচিকার মতই চকচক করত।
পরশ পাথর ভেবে হাত দিতেই এক বুনো চুম্বন
আমার সারা অবহেলাকে হারিয়ে দিল।
আমি বুঝেছি প্রেম উড়ছে অন্ধকার থেকে আলোয়।
কবিতা রক্তিম অপেক্ষা
লন্ডনের এমিসের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে
একবার ভিক্টোরিয়ার নরম বিকেলের আলোয়
আমার লালটিপ আর ঠোঁটের inside স্টোরি পড়তে
এসো। সঙ্গে reading glass আনতে ভুলে যেওনা।
রাস্তার পাশের টেলিফোন বুথে অপেক্ষায় আছি।
আসার আগে ফোন করো রিংটোন পড়তে পারি
আমার কামরাঙা ঠোঁট দিয়ে। ফোনের ঘর, এক
ঔপন্যাসিক ঠোঁটের প্রশস্ত, নিরিবিলি অক্ষরগুলো সূক্ষ্ম। তাই reading Glaser কথা বললাম। লন্ডনের
পথ ধরার আগে একবার তোমার রাজশ্রীর কাছে
এসো বিপজ্জনক চোখ নিয়ে। বিবাহিত পুরুষের
সিগায়েট এর ছ্যাঁকায় একটা পোড়া আগুন থাকে।
এখনো সময় আছে
বিকেলের হলুদ পাখির মতো বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে
সময়। ঠোঁটে ঠোঁট রাখার মতই উষ্ণ ভালোবাসা মেখে
নিয়ে দাঁড়িয়েছে। মুখোমুখি সন্ধ্যায় বনলতা সেন।
সন্ধ্যার ডাকঘরে আজও কেউ অপেক্ষায় নিয়ন
আলোয় নীলখাম নিয়ে। মুখোমুখি বসবার এক দুরন্ত
সময়। এখনও নিভে যাওয়া আলোয় সময় যেনো
বিটোফেনের সুর। তারপর তো গলে খসে পড়বে রাতের
স্বপ্নগুলো আবার। মহামারীর ইস্পাত নগরীতে। যে
বিষণ্ণতা বুকে বাজছে সে যে ভায়োলিনের আনন্দ
ভৈরবী। সময় এসেছে তাকে সোহাগে জড়িয়ে ধরার।
ইটের ভেতরে ইট গুঁজে যে কংক্রিটের আকাশ তুমি
বানিয়েছ সে তো পুড়ছে জীবন্ত ভাইরাসে। এখনও
সময় আছে অসময়কে হিমঘরে পাঠানোর।