নাবিলা নূপুর-এর কবিতা
প্রাপ্য
এক জীবনে প্রাপ্য ছিলো
অনেক কিছুই আমার।
একটা ঘর আমারও হতো
যেমনটা হয় সবার।
একজোড়া চোখ অপেক্ষারত।
একটা হৃদয় প্রেমে অক্ষত।
একটা বাহুর আলিঙ্গনের
মাতাল করা ঘ্রাণে ভরা।
ওষ্ঠাধরের চুম্বনে যার
আমি হবো দিশেহারা।
জোছনা রাতে চাঁদের আলোয়
তোমার সাথে স্নানে।
নিশিদ্ধ এক প্রেমের ছোঁয়ায়
ভেসে যাবো বানে।
প্রাপ্য ছিলো এই জীবনে
একটা শুধু তোমার।
অপ্রাপ্যই হয়ে রইলে
তুমি শুধু আমার।
তোমাকে কখনো বলা হবে না
তোমাকে কখনো
বলা হবে না,
আমার মনখারাপের সন্ধ্যা
গুলো কিভাবে কাটে তোমাকে ছাড়া।
তোমাকে কখনো
বলা হবে না,
ভীষন কান্না পেলে তোমাকে জড়িয়ে
ধরে আমার
কাঁদতে ইচ্ছে করে।
তোমাকে কখনো
বলা হবে না,
সেই পুরনো পথ দিয়ে তোমাকে ছাড়া
এখন আর যেতে ইচ্ছে করে না।
তোমাকে কখনো
বলা হবে না,
একা একা রাতগুলো
কত কষ্টের হয়।
তোমাকে কখনো
বলা হবে না,
উৎসবমুখর দিনগুলোতে
আমি আর আনন্দ
খুঁজে পাই না।
তোমাকে কখনো
বলা হবে না,
বর্ষার প্রথম বৃষ্টি দেখলে
আমি আর চঞ্চল
হয়ে উঠি না।
তোমাকে কখনো
বলা হবে না,
জোছনা রাত আমার কাছে
আর আলোকিত লাগে না।
তোমাকে কখনো
বলা হবে না,
আমি আর স্বপ্ন দেখি না।
তোমাকে কখনো
বলা হবে না,
তোমার প্রতিক্ষায় আছি।
তোমাকে কখনো
বলা হবে না।
আমি আজও তোমায়
ভীষণ ভালোবাসি।
সে জীবন তো আমার নয়
যে জীবন হাওয়ার মাঝে
তুলোর মতো উড়ে যায়,
সে জীবন তো আমার নয়।
যে জীবনে আমায় ফেলে আমায় ছেড়ে
দূরে কোথাও চলে যায়,
সে জীবন তো আমার নয়।
যে জীবন এই পৃথিবীর মায়া
ছেড়ে অন্য কোথাও টেনে নেয় আমায়
সে জীবন তো আমার নয়।
যে জীবন প্রিয়জনের
ভিড় থেকে হঠাৎ
একলা করে দেয় আমায়
সে জীবন তো আমার নয়।
যে জীবন নিজ হাতে
মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেয় আমায়,
সে জীবন তো আমার নয়।
অপেক্ষায় থাকি
অপেক্ষায় থাকি,
এই বর্ষায় ঝুমপড়া বৃষ্টিতে
কেউ একজন হাত ধরে বলবে,
চলো বৃষ্টিতে ভিজি।
অপেক্ষায় থাকি,
ভরা পূর্ণিমায় কেউ একজন
পাশে থেকে বলবে,
চলো জোছনা মাখি গায়ে।
অপেক্ষায় থাকি
মধ্যরাতে হঠাৎ টেলিফোন করে
আমার ঘুম ভাঙিয়ে কেউ একজন
বলবে,পাগলি আমার ঘুমাচ্ছে?
অপেক্ষায় থাকি,
লোকচক্ষুর আড়ালে হঠাৎ আমায়
টেনে নিয়ে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে
চোখের মাঝে চোখ রেখে
জানতে চাইবে আদর করে,
তুই আমাকে ভালবাসি?
অপেক্ষায় থাকি,
কফি সপের কোন এক সন্ধ্যায়
মুখোমুখি দুজনে বসে কেউ একজন
জানতে চাইবে,
আমার সাথে জীবন কাটাবে।