বদরুজ্জামান জামান-এর কবিতা

গাছের পাতায় জলেরজীবণ

এই যে রক্ত রাক্ষুসের হাত ধরে বইছে নিশ্চিত গন্তব্যে
নির্বোধ কিংবা মূর্খতা সাবাড় করে নিচ্ছে সময়ের প্রয়োজনীয়তা,
প্রাগৈতিহাসিক পৈশাচিক উল্লাসে নিভে যাচ্ছে সত্যের মশাল
আর অনিশ্চিত হচ্ছে আগামীকালের সূর্যোদয়।

শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মস্তক যদি উঠে দাঁড়ায়
ধর্মীয় জীবাণু যুদ্ধের অনুসঙ্গ যদি দুষিত করে নিঃশ্বাস
তখন সভ্যতার কাষ্ট খন্ডে রক্তের অক্ষরে লিখা হতে পারে
ধর্ম মানে কিছুই নয়; আবেগ, অনুভূতি কিংবা বিশ্বাস এতই
ঠুনকো যেন ঝড়ের মাঝে গাছের পাতায় জলেরজীবণ।

পূর্ণ্যার্জনের নগ্নতা

ফেলে আসা একান্ত কিছু ব্যথা-
প্রশ্নবিদ্ধ স্বপ্রণোদিত প্রতিশোধদদ্ধ প্রণয় সুখে
কষ্টি পাথরে শান দেয় পূর্ণ্যার্জনের নগ্নতা।

সঙ্গমপূর্ব শৌর্য যেমন বীর্যস্নাত হয়ে নুয়ে পড়ে
অনিহা কিংবা ক্লান্ত সুখ আবেগ অনুভূতি
আর উদ্যাম তরঙ্গ তখন প্রশ্নবিদ্ধ প্রণয় সুখের দ্যুতি ছড়ায়।

নেকড়ের শৌর্য সুখ

রাতের অন্ধকারে বেশ্যার চিৎকার শুনে
যে খদ্দের পালিয়ে যায় নেকড়ের অরণ্যে,
নেকড়ের শৌর্য সুখ তখন অন্ধকারে ধূপ জ্বেলে দেয়।

বোধহীন মানুষ অতি আবেগি অনুভূতিতে
তুচ্ছ ক্রিয়ায় বিশ্বাস নিবিষ্ট করে পূর্ণ্যার্জনে
অথচ এই উন্মত্ততায় নিজেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে।

সীমান্ত পাড়ি প্রতীক্ষারত নেকড়ের দল

এই শহরের উচ্ছ্বিষ্ট ভক্ষণ শেষে নেকড়েগুলো এখন
রাত্রির আঁধারে সীমান্তপথ খুঁজে
বৈধ’-অবৈধতার নগ্ন সংঙ্গা বুকে পিঠে ঝুলিয়ে
মনুষ্য মুখোশে নগ্নতা ঢাকে।

যারা মানুষের গলা কেটে দ্বিখণ্ডিত মস্তকে লিখে ধর্মের নাম,
যারা বোবা শয়তান আর যারা সীমান্ত পাড়ি প্রতীক্ষারত নেকড়ের দল
তাদের সখ্যসঙ্গ সাঙ্গ হয় এক মোহনায়;
যেখানে রেখে যায় কলঙ্কছাপ।

আমি তোমার যন্ত্রণা বুঝি

আমি তোমার যন্ত্রণা বুঝি
আমি তোমার কষ্ট বুঝি
তুমি ছেড়ে দাও এই দেশ এই শহর
এই শহরের অলিতে গলিতে অঙ্কিত তোমার কলঙ্কছাপ মুছে যাক।

যারা নিরন্তর ছুটে চলে সম্মুখ পানে
তুমি পিছনে তাদের ফেলে যাওয়া উচ্ছিষ্ট গবেষক
তুমি মিছরির ছুরি হাতে একেক করে হত্যা করেছে স্বজন সূজন সব।
তুমি কেটে ফেলেছে তোমার হস্ত, অন্ধ করেছ তোমার চোখ,
কেটে ফেলেছে তোমার পদযুগল।
মানুষের সাফল্য দেখে তুমি আত্মিক উন্মাদনায় মেতে উঠো
শরীর বেয়ে ঝরে যন্ত্রণার ঘাম।
তুমি পরশ্রীকাতর তুমি বিবেকান্ধ।

আমি তোমার যন্ত্রণা বুঝি
আমি তোমার কষ্ট বুঝি
তুমি ছেড়ে দাও এই দেশ এই শহর
এই শহরের অলিতে গলিতে অঙ্কিত তোমার কলঙ্কছাপ মুছে যাক।
শিল্প শোভিত এই উদ্যানে হুতুম পেঁচা বড়ই বেমানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *