আফিয়া খানম রোমা’র কবিতা
নয়া পঞ্জিকা
নয়া বছরের আগমনে দেয়ালে ঝুলে পড়ে
একখানা ঝকঝকে নয়া পঞ্জিকা।
বিবিধ চিহ্নে আঁকা পুরোনো গন্ধ চাপা পড়ে
সাত রঙা অবয়বের নয়া পঞ্জিকার তলে।
খবর
খবর শোনবার ভয়ানক ভয়ে বন্ধ করে দিয়েছি
সবক’টা উড়ো খবরের চ্যানেল,
বিচ্ছিন্ন করে রেখেছি ডিজিটাল মিডিয়ার সবক’টা সংযোগ
দু’হাতে কান চেপে রেখে রাখি, দু’কানে তুলো গুঁজে রাখি
তবু হাওয়ায় ভর করে খবর আসে, কন্ঠ ভারী হওয়ার খবর।
খবর আসে-
আমার পোষা কবুতরের অপমৃত্যু হয়েছে তোমার আঙ্গিনায়
তুমি নাকি চেয়ে চেয়ে দেখেছো ছটফট করা মৃত্যুর যন্ত্রণা।
খবর আসে-
দেদারছে ভাগ বাটোয়ারারা করে নিচ্ছো রঙ বেরঙের সুখ
লাল কাফনের আস্তিনে মুছে ফেলেছো ভেজা ঠোঁটের গল্প।
কচি কচি লতা পাতায় ডেকে গেছে তোমার সাত পাল্লা মন,
তুমি নাকি পরম আদরে জাপটে ধরেছো উষ্ণতার আঙ্গুল।
সত্যি বলছি
সত্যি করে বলছি –
তোমাকে ভালোবাসতে গিয়ে
একখণ্ড অচেনা মৃত্যু আচঁড়ে পড়েছিল এ বুকে।
অহর্নিশ আত্নার অতল গভীরে প্রতিধ্বনিত হতো
ভাঙা সুরের কোরাস সঙ্গীত।
সত্যি বলছি-
ঐদিন তোমার দু’হাত টেনে নিবেদন করেছিলাম
জমজমের পানিতে ধৌত করা কিছু পাক ও গাঢ় প্রেম।
কিন্তু তুমি সবিনয়ে বেকসুর খালাস ঘোষণা করলে।
সত্যি করে বলছি
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সব নামি বেনামি ফুল জড়ো করে
পূজো করেছি তোমার ধুলোজমা বদ্ধ মন মন্দিরে
গলায় বেঁধেছি মাদুলি, আর সুতোয় মরচে পড়া মন।
তুমি দাঁড়কাকের ঠোঁটজোড়া দিয়ে, ছিন্ন করে বাধন।
দাঁড় করে দিয়েছিলে মৃত্যুর উপত্যকায়।