কবিতা।। শুক্লা গাঙ্গুলি।। ফেব্রুয়ারি কবিতা উৎসব সংখ্যা

 


উল কাটা- কুটি

উলের কাটায় ঘর তুলি- টু প্লাই উল সাথে

দশ নম্বর কাটা একটু সরু। আগলে রাখি হাতে- –

রাত বারে -ঘর ওঠে- মন জমে

ঘর সাইজ নকশা সবটাই নির্ভর করে মনে-

মন ই জানে ঘর কারসাজি- উল্টো দুই

সোজা চার একটু ঘুরিয়ে সামনে টেনে –

কাটায় উলোট পুরাণ।পরের কাটা সব উল্টো- –

যেন জীবনের গত্ ছক বিহীন-

হাত দুটো হাল্কা গরমে দিশেহারা। রঙের

গভীরে নির্দিষ্ট ফর্মে ফেলে প্রহর গোনা-

কত শত কথা রাজনীতি থেকে অর্থনীতি

ইংলিশ কালো চা ক্যালিফোর্নিয়ার ফি

বছরের আগুন- কঠিন দু: সময়েও

বুনে চলি একের ভেতর আর এক- সমন্বয়ে

কাটা ভর্তি ঘরে -মনোযোগে ডিজাইন

দুটো ঘর বন্ধ হয়-এক য়ে। সোজা উল্টোয়

এগিয়ে যাওয়া উষ্ণতায় দৈনন্দিন –

সন্তর্পণে।


আহির ভৈরব

যে বৈরাগ্যের দাগ মনের সর্বত্র জমানো

তুমি তাকে উসকে দৈনন্দিন কর

পুলসিরাত পার হতে হতে –

পাখি হয়ে উড়ে যাই আলোয়

দু ঠোঁট ধরে রাখে সুর ও মায়া

প্রতিটি ভোর এখন আহির ভৈরব আর

কাফি মধ্যলয়ে যাদুকরীর তিনতাল-

তবলার তেহাই দিয়ে

রিদম ধরে রাখা- – উঠোনময় ছড়ানো

নিপাট ভালবাসার মেটাফোর

পানীয় গ্লাসে নজরকাডা অ্যালকোহলের বুঁদ বুঁদ

দূরে কোথাও ফসল তোলার গান।ধান শূণ্য গোলায়

কিছু ইঁদুরের শেষটুকু খাওয়ার মহোৎসব কুটুর কুটুর

আহা সোনার ফসল ছায়ার মায়ায়-

মাতাল হই-

আহির ভৈরবে

বিহান বেলায়।

সবুজ হেমলতা

সকালের রোদে চনমনিয়ে দোল খায়- হেলে

পরা হেমলতা। রোজই খোঁজে শক্ত এক মাচান

নিদেন পক্ষে- – একটা ছোট্ট ফড়িং

পাক খেয়ে খেয়ে কেবলই পাখায় সাজায়

সুন্দর রঙ বিন্যাস-

দুরে কোথাও হাট ভেঙে বাড়ি ফেরার তাড়া

থাকে পটুয়ার।থরে থরে সাজানো মাটির পাত্র

আগুন পাওয়ার অপেক্ষায় বাড়তি

সময় কাটায় উঠোনে

জীবন-চাকায় আঁক কাটে তেল রঙ-যেন

কয়েকটি ঘোড়া গণদেবতা একটি নিস্পাপ

কালো চোখ ইজেলে

মাটি ছেনে ছাঁচে ঢালা কিছু হাত – ধান বুনে

গোলা ভরে সযত্নে- বর্গা জমির হিসেব

কষা ক্লান্ত কিষান- – প্রতিটি দানায় থাকে

জমা ক্ষোভ- না পাওয়ার

কলসীর কাণা উপচিয়ে- জল নামে

এক খিলি চমন বাহার পান আর পরিতৃপ্ত

হাসি- সুধা আনে সংসারে

সবুজ হেমলতায়।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *