নূরুন্ নাহার স্বপ্না’র কবিতা
অপ্রত্যাশিত ঝড়
মরুভূমির মাঝখানে দাঁড়িয়ে
জ্যোৎস্নায় ঝলমলে বালুর সাথে,
করেছি সখ্যতা।
বিষাদে ভরা মন-আকাশে
স্মৃতির আলপনা এঁকে
ভেসেছি স্বপ্নস্রোতে।
কাগজের ন্যায় জীবনের শুভ্রবুকে
রঙিনকালির আখরে সাজিয়েছি
হৃদয়জমিন।
সেদিন বুঝিনি অতি সন্তপর্ণে
ব্যথারঝড় এসে
এভাবে তছনছ করে দেবে
আমার সাজানো বাগান।
তাইতো, রঙিন বাসনার বিচ্ছিন্ন ধ্বংসাবশেষ দেখে
হেমন্তের ভোরের ন্যায় কুয়াশায় ছেয়েগেছে
আঁখিপল্লাব।
সন্ন্যাসী মন
ইচ্ছেগুলো শিকেয় তুলে
ধরেছি জীর্ণডাল,
জমকালো বিষন্নতাকে দুহাতে আগলে
পরিত্যক্ত ভূমিতে–
স্বপ্নলাশের সমাধি সাজাই।
অনাকাঙ্ক্ষিত তিক্ততায় ভরপুর জীবনে
বাজে বেহালার করুণসুর।
তাইতো মুগ্ধতার সংকটে আবদ্ধ হয়ে
পাড়ি দেই ঢেউহীন নদী।
যন্ত্রণার কৃতদাস
বেসামাল ইচ্ছাগুলো…
অজস্র, অদৃশ্য, শৃঙ্খলে
আহত পাখির ন্যায় বন্দী।
দ্বিধা, সংকোচ আর অনিশ্চয়তার ভিড়ে
ক্ষত-বিক্ষত ধূসর জমিন।
অপ্রতিরোধ্য উত্তাল সমুদ্র যেন
অন্তহীন অনুভূতিতে বিলীন,
ধূলোর আস্তরে ঢাকা লাগামহীন কল্পনায়
জেগেছে শৈল্পিক চর।
অস্পষ্ট অস্থিরতা গ্রাস করেছে
ছিঁড়ে যাওয়া বীণার তার।
তাইতো, নশ্বর পৃথিবীতে
অবোধ শিশুর ন্যায়
অব্যক্ত শব্দগুচ্ছ আজ ফেরারী।