নিগার শামীমা’র কবিতা


জখম

এই অস্থিরতা ধূসর হাওয়ার মতন বসন্তের কোকিল

যদিও চঞ্চল হাওয়ায় গগনবিদারী সুর চেরি কাঠের বন,

ফেঁটে যাওয়া কাঠঠোকরার ঠোঁট এই অস্থিরতা নিটোল ঘুমেরমতন
বিস্তারিত লিখতে গিয়ে লেখে ফেলি
নিজস্বতা, অনেক দূরে তোমাকে দেখি
জানো তো পপিফুল ফুটেছে পাহাড়ে
তোমার ঘুমের মাঝে এঁকে দেই সরলতা
ঠোঁটের এমন বহুদিনের কারিশমা
গর্জে ওঠে আত্মা লম্ফ বাঘের মতো
বাসনায় ভেসে যায় সমস্ত ধ্যানের কড়ি
হাত খসে পড়ে যায় মুঠো ভরা প্রেম
যেন ভেসে যায় কুচুরিপানা__কোন সুদূরে
ফুল, পবিত্র অন্ধকার,নির্জন রোদ
কবিতা কষ্ট চিরে, বেদনা খোদাই হয়
আমার মনের ভেতর যেন একেকটা
চেরিকাঠ ফালি হয়, আমার জখম কলিজা

বেদনা

স্বপ্নগুলো এমনই
অচেনা পাখিদের মুখ দেখে হাসে
বিষাদে পা ডুবিয়ে ভাসে
স্বপ্নগুলো এমনই কড়া রোদে পোড়ে,

অথচ একদিন বুনেছিলাম
ডালিমের লাল দানার মতো টকটকে বেদনা;

ইতি


ইচ্ছেরা
একবার যদি নিজেকে চিনতে পারতাম,
তবে তোমার ভেতর কী আছে জানতে পারতাম
দেখতে পারতাম
বুঝতে পারতাম
একবার যদি আগুন চোখ পেতাম
দেখতে পারতাম
তোমার চোখের ভেতরে থাকা,
অতি শক্তিময় কোষগুলোকে
একবার যদি ভালোবাসতে শিখে যেতাম
বুকের বোতামগুলি খুলে ঘৃণার পাত্র হৃদয়-
থেকে মুছে দিতে পারতাম,
একবার যদি নিজেকে দেখতে পেতাম
মুখোশগুলো তরতর করে খসে পড়ত,ওদাম
বক্ষ দেখতে আর তোমার দিকে তাকাতে হতো না!
জোর করে বারবার নিজের ব্যাখ্যা
নিজেকেই করতে হতো না,
একবার যদি জানতাম
আমার নান্দনিক চেহারার আদলে
কোন কংকাল দাঁড়িয়ে
তবে চোখবন্ধ করে-
কেটে যেত দীর্ঘ এসব দিনরাত্রিগুলি
পালিয়ে যেত বিস্ময়কর অতীতগুলি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *