কবিতা

অয়ন ঘোষ’র // গুচ্ছকবিতা

বেশি বেশি ভুল করি

ওই দেখো চেয়ে আছে এয়োতী বিকেল
মুখচোরা পানকৌড়ি, ডুব সাঁতারের ঢেউ,
অবাধ্য ঘাট, জল টপটপ সন্ধ্যে
এতগুলো চোখের দৃষ্টি অতিক্রম করে
যাওয়া যায় বল?
তবু কেনো যে জেদ করো, চৌকাঠ পেরোও। আমি গুছিয়ে রাখা আলমারি ঘেঁটে রাখি,
পড়তে পড়তে টেবিলে মাথা রেখে
ঘুমিয়ে পড়ি, হিমের রাতে
খুলে রাখি উত্তরের জানালা
যদি রাগ করে ফিরে আসো, আমার
অগোছালো দিন দেখে, আগের মতো।
চশমার ঝাঁপসা কাঁচে, কলঘরের আয়নায়
ভেসে থাকা চাঁদে বা অবেলার রূপোলি
রেখায় রঙে, জানি রোজ আসো
আমার ভুল গুলো শুধরে দিতে

তাই তো আরো বেশি বেশি ভুল করি…

লিখি শুধু বিভ্রান্তি

অপুষ্ট যন্ত্রণার মতো কিছু তারা
ঝুলে থাকে সন্ধ্যার কোলে
দুঃখী দেবতারা খোঁজে নিঝুম আশ্রয়
হাতি ঘোড়া রথ সব খুইয়ে দু পক্ষই
খানিক আনমনা, একটানা বেজে যায়
প্লাবন সংগীত, নির্ভার বেদনাকে ঘুম পাড়িয়ে
নরম পলি জমে উর্বরা বিভাজিকার আহ্বান
বালিঘড়ির ইঙ্গিতে ছিল নিষেধের নামতা
এরই সাথে ঘর বসত আমাদের।

সব খিদে যে চোখের নয়, তা বোঝাতে
আর কত বিভ্রান্তি যে লিখতে হবে কে জানে!!

শূন্য

শূন্যের উপর শূন্যস্থান। স্থির জলে
ভাসে কলঙ্ক। অক্ষর আর অঙ্কের
কোনো কোনো ধর্ম ছিল না
যে যার মতো করে সাজিয়েছি বাসর।

হেতালের লাঠি হাতে পাহারা দিয়েছি
দিনরাত, তবু আগলাতে পারলাম কই!

গাঙের ঘোলা জলে কান্না ভাসিয়ে
ভেলা ভেসে যায় পূর্ণতার খোঁজে…

পাড় আর জলের দূরত্বে
নিঃসঙ্গ আঁচল পেতে বসে আছে
বেহুলা আর লখিন্দরের মাঝের
অলৌকিক শুন্যতা…








Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *