রাশেদ রউফ -এর গুচ্ছ কবিতা
ধ্বংসের বিপরীত
বোকাচণ্ডীরা সঙ্গম আর ধর্ষণের মধ্যে কোনো পার্থক্য বোঝে না।
জীবনের ধ্বনি প্রতিধ্বনি থেকে
হিমালয়ের মতো ফুলে ফুঁসে ওঠে ক্ষুধা আর তৃষ্ণার জলবাষ্প
একদিকে সুতীব্র বাসনার মধ্যে জ্বলজ্বল করে স্বপ্নরাশি
উল্টাদিকে পাশবিক আক্রমণে বিধ্বস্ত হয় উপাসনালয়।
একপক্ষে শব্দসংগীতের মতো
কবিতার সুরের মতো
অমিত সম্ভাবনার বিপুল শক্তির মতো চলে সুন্দরের আরাধনা,
অন্যপক্ষে প্রচণ্ড ফুৎকারে নিশ্চিহ্ন হয় ঐশ্বরিক অস্তিত্ব
দুঃস্বপ্নের মতো সবকিছু দুমড়ে মুচড়ে বিস্তার ঘটে অন্ধকারের সাম্রাজ্য।
তোমার মায়াময় স্নিগ্ধ মুখের মতো
আমি জেগে উঠি আকাক্সক্ষার সুউচ্চ শিখায়
ক্রমাগত কল্লোলে উজ্জ্বল হই সফল পূর্ণতায়।
ক্রমাগত নির্মাণে আছি, আছি ধ্বংসের বিপরীত
আমার বুকের মন্দিরে বাজে প্রার্থনার অমল সংগীত।
আমার সোনালি প্রহর
তার সাথে শয্যায় গিয়ে বুঝেছিলাম
লজ্জায় কতোটা রাঙানো ছিলো তার মানবজমিন!
কতোটা অচর্চিত ছিলো তার শিল্পবাড়ি!
ভালোবাসাহীন স্বপ্নহীন সুখহীন ছিলো সে কতোটা দিন!
তার চোখ বেয়ে, ঠোঁট বেয়ে, নিটোল পয়োধর হয়ে
আমি পৌঁছে যাই তার নাভিমূলে!
মণিরত্নের মতো ঝলমল করে ওঠে তার তৃষ্ণার্ত আঙিনা।
পাথরের মতো ভয়ঙ্কর রাত্রির অন্ধকারও
ফিকে হয়ে আসে!
ফোটে আলো।
আসে ভোর।
এতো আলো
এতো উচ্ছ্বাস
এতো আনন্দ
ছায়ার মতো মায়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে আমার সোনালি প্রহর।
তার হাতে এই হাত, তার ঠোঁটে উষ্ণ চুম্বন
সবটাই দিয়েছি তাকে, যতোটা চেয়েছে এই মন।
পদ্যকুমার আর কবিতাবালা
মধ্যরাতে পুরুষগুলো আর পুরুষ থাকে না!
একসময় পদ্যকুমারের সঙ্গে কবিতাবালার
পরিণয় ঘটাতে চেয়েছিলেন তারাপদ রায়।
কিন্তু যদিদং হৃদয়ং-এর ঠিক আগে
পালিয়ে গিয়েছিলেন পুরুত।
তাই সব গল্পের শেষ থাকে না
সব চরিত্রের থাকে না পরিণতি!
মধ্যরাতে পুরুষগুলোও তাই ধারণ করে ভিন্ন রূপ
কেউ মাতাল হয়
কেউ আঁতেল হয়
আবার কেউ কেউ অপারঙ্গমতায় হয়ে ওঠে ঋষি!
অভিনন্দন রাশেদ ভাই। আপনার লেখাগুলো এখন সহজে পাবো আশা করছি। অসংখ্য ধন্যবাদ। উদ্যোগ সফল হোক। শুভ কামনা।
চমৎকার লেখনী 💓