কবিতা

সৈয়দ ইফতেখার’র গুচ্ছ কবিতা

লকডাউন শেষে

বুক ভরে নিশ্বাস হতে পারে-

হাত খুলে কবিতা লেখার শব্দ।

যে বর্ণ সাহিত্যে ছবি আঁকে-

মনের মোনালিসাকে

আমি পাথর হলেও জেগে উঠতে পারি

উঠতে পারি কোলাহল শুরুর আগের কাক ডাকা ভোরে।

নারীর চোখে

আমার একটা কবিতা ছিল

কবিতা লেখার কবি ছিল

আজ কেউ তা বলে না।

আজ ‍কেবলই হাহাকার

ফিরে ফিরে তাকাবার-

দিনগুলো মনে পড়ে না।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে

ভাবি আমি কি ফিরবো আবারও ঘরে

জটিলতা শেষে- দখিন হাওয়ার তরে।

আমি নারী, বাঁধনে আটকাতে জানি

পারলাম না নিজেকেই রাখতে

অন্তিম যাত্রায় তুমি কি কাঁদতে…

তবুও স্বপ্ন দেখি একদিন যাবো নীড়ে

তোমাতে রাঙা হয়ে, কবি সংসারে

কিছুই হলো না, এই বিশ্বের হাহাকারে।

ক্ষমা করো হে, কবিতায় রেখো

তোমার প্রিয়াকে আজ

এবেলায় দাও আঁধার সাজ।

সবই কৃত্রিম

সবই কৃত্রিম!

দেয়ালের মতো।

দালানের মতো।

কংক্রিটের আদলে তৈরি অনুভূতি।

হ্রাস আজ শ্রদ্ধা ও সম্মানের অভিরুচি।

শরীরও বুঝেছে ওসব-

মনটাই খালি সেকেলে

সে বলে, আত্মসম্মান সেই সবুজেই।

`ইশ যদি পারতাম’ বলে সে বন্দি।

তাকে মুক্তি দেবে কে!

স্বস্তি দেবে কে!

হতাশার মহাকাব্যের রচনা করলে,

বাদামি ইটগুলো কি পড়বে?

শুধু তুমি আমি যান্ত্রিক নই।

দুটি কল্পনা সই!

প্রিয়, পৌষের মতোই স্নিগ্ধ হোক পথচলা।

বুঝে নিও

অসমাপ্ত কাব্যের শেষ লাইনের মতো তুমি আমার

যদি নয়ন ভেঙে কান্না পায়-

বুঝে নিও আমি নেই!

কবি:

ছোটগল্পের না হওয়া শেষটাই আমার ভালোবাসা!

৩ thoughts on “সৈয়দ ইফতেখার’র গুচ্ছ কবিতা

  • kobi showkat alam

    সৈয়দ ইফতেখার’র “গুচ্ছকবিতা” এই লগডাউনে বুকভরে আমরা নিশ্বাস নিতে পারি। পাথরের মত কঠিন থেকে কঠিনতম হতে পারি।আরো উঠতে পারি অতি ভোববলা এই জীবনে বেঁচে থাকার তাগিদে। নারী কবিতার মত কিন্তু করোনায় কেড়েনিলো তার জীবন প্রদীপ। কবি’র মনটা সেকেলে,শহরে ইট পাথরের মত।পৌষের মত মন চায় কবি। কবি’র ভালোবাসা কাঁন্না হয়ে ঝরে পড়ে। চমৎকার- গুচ্ছ কবিতা।

    ……….কবি শওকত আলম

    Reply
    • সৈয়দ ইফতেখার

      অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা জানবেন।

      Reply
  • kobishowkatalam

    সুন্দর

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *