কবিতা

রাশেদ রেহমান- এর কবিতা

পাখিমন

বারান্দা ভর্তি যে আকাশ আমার,
সে আমার ইচ্ছাবিরুদ্ধ স্বাধীনতা।

ডানাভাঙা সামর্থ্য গুলো প্ররোচিত প্রলম্বিত করে।
স্বপ্নভঙ্গ হয় বারংবার!

তবুও অযাচিত সাধ্যহীন সাধ আমার ওড়ার!
সারাক্ষণ পাখিমন। উড়াল উড়াল ঢেউ।

কেন…!
গণতন্ত্রহীন পালকবিহীন স্বচ্ছলতা আমার।
কে বলল-ডানা ছিলনা মানুষের!
ডানাওয়ালারাই হত্যা করে মানুষ, মানবিকতা।

পথ হেঁটে হেঁটে যে হেলান দেয়া শহর,
তার চাতাল খুঁড়েই পৃথিবী বানাবো!
ছাদ তুলে দিবো আকাশ।

এক চিলতে মেঘ হয়েই উড়তে চাই।
প্রতিজ্ঞা প্রতীক্ষা উড়বোই।

মানুষ তো উড়েই।
নাহয় ফুরে গেলেই

জীবননাট্যশালা

আমি আমরা অভিনেতা, জীবন স্বল্পদৈর্ঘ্য নাট্য।
মঞ্চস্থ হয় স্বার্থের অর্থের সামর্থ্যের কাঁদি হাসি অট্ট।

ঐশ্বর্যরা প্রেম করে প্রেমকে করে দ্রোহের উপাখ্যান।
বিত্ত-বৈভবে সৎকে অসৎ ভাবি ভুলে ব্যবধান।

সাধু সাবধান, সাধুতা সাবধান, কী আশ্চর্য ব্যবধান!
সময়ের চিলে কুঠুরে বিরতিহীন চলে নাট্যাভিনয়।

খল! মনটাকে
ইস্ত্রির পূর্বেই বিঁধে যায় যমদূতের শেষ পেরেক

তিনটি ঘর

তিনটি ঘরই উদোম দরজা।
আমরা যেন বাসিন্দা একই রুমের।
মনে হয় বসে আছি ড্রইংরুম বা বেলকনিতে।
যে যার মত কর্মে বিভোর রাতভর, একই পৃথিবী।
দরজা গুলো আমাদের আলাদা করে দেয় ঘুমে।
অন্ধকার বাঁধা হয় সম্পর্কের,ছিটকেরি গুলো তালা।
ভিন্ন ভিন্ন গ্রহের মানুষ হই তখন রাত্রি যখন।

অথচ!
ছাদহীন পৃথিবীতে অহংবোধের দেয়াল তুলে
ভুলে যাই মানবতা।মনুষ্যত্ব সেতো দূরের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *