ঈদসংখ্যার ছোটগল্প মিরাকেল- সিদ্ধার্থ সিংহ
মিরাকেল- সিদ্ধার্থ সিংহ
শুধু কাবেরীই নয়, কাবেরীর আকাশ বিদীর্ণ করা চিৎকার শুনে, বাবা আর নেই বুঝতে পেরেই হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করে দিল তাঁর দুই মেয়ে। পাথরের মতো স্থির হয়ে গেল তাঁর একমাত্র ছেলে। ক’দিন ধরে শরীরটা ঠিক যাচ্ছে না শুনে, যাঁরা তাঁর সঙ্গে সকালে মর্নিং ওয়াক করতে বেরোন, তাঁরা বেশ কয়েক জন অন্যান্য দিনের মতোই ফেরার পথে সমীরণবাবু কেমন আছেন, খোঁজ নেওয়ার জন্য চলে এসেছেন। তাঁরা কেউ কেউ কাবেরীকে সান্ত্বনা দিতে লাগলেন। কেউ কেউ আবার ‘সমীরণবাবু নেই’, এটা জানানোর জন্য মোবাইল টিপে অত্যন্ত চাপা স্বরে ফোন করতে লাগলেন একে ওকে তাকে।
সমীরণবাবু খেলাধুলো করা মানুষ। এখনও, এই চৌষট্টি বছর বয়সেও, ক’দিন আগে পর্যন্ত প্রত্যেক দিন একেবারে নিয়ম করে ঘেরা মাঠে যেতেন। সকালে বিকালে বাচ্চাদের ফুটবল প্র্যাকটিস করাতেন। পাড়ার যে কোনও কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। তাঁর বাজখাই গলা শুনলে কয়েক ক্রোশ দূরের মানুষও চমকে উঠতেন।
কিন্তু সেই মানুষটাই দিন কতক হল কেমন যেন একটু ঝিমিয়ে পড়েছেন। না, টাকাপয়সা নিয়ে তাঁর তেমন কোনও চিন্তা নেই। রিটায়ারমেন্টের পর অফিস থেকে যা পেয়েছেন তা এমন ভাবে গুছিয়ে রেখেছেন যাতে সংসার চালাতে তাঁকে কোনও বেগ পেতে না হয়।
তাঁর ছিল একটাই চিন্তা। আর সেটা হল— মাঠ। মাঠটা বেশ বড়। ছোটবেলায় তিনি নিজে এখানে খেলাধুলো করেছেন। এত বড় মাঠ আশপাশে আর কোথাও নেই। তাই এখানকার সব চেয়ে বড় টুর্নামেন্ট এখানেই হয়। তিনি প্রায় একার উদ্যোগেই আয়োজন করেন সেই টুর্নামেন্ট। তিন মাস আগে থেকেই সাজ সাজ রব পড়ে যায়। পাড়ার গণ্যমান্যরা তো থাকেনই, খেলার জগতের তাবড় তাবড় লোকেরাও উপস্থিত হন সেই দিন। না, শুধু ফুটবল খেলার সঙ্গে জড়িত লোকেরাই নন, হাজির হন বক্সিং, সাঁতার, দৌড়, তীরন্দাজি এমনকী দাবাখেলার স্বনামধন্য লোকেরাও। আসেন স্থানীয় পৌরপিতা, বিধায়ক, শাসক এবং বিরোধী দলের নেতানেত্রীরাও। একবার তো কাকে ধরে যেন স্বয়ং ক্রীড়ামন্ত্রীকেও নিয়ে এসেছিলেন তিনি।
সব ঠিকঠাকই চলছিল। হঠাৎ সমস্যা শুরু হল বছর পাঁচেক আগে। ইলেকশনের মুখে। তাঁদের খেলার মাঠের যেখানে সেখানে গর্ত করে বিশাল প্যান্ডেল বেঁধে শাসক দল মিটিং করেছিল। এতে মাঠের ক্ষতি হবে বুঝতে পেরে উনি প্রতিবাদ করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ক্লাবেরই ফিজিওথেরাপিস্ট রাকেশ শর্মা। যিনি যে-কোনও শারীরিক চোটকে শুধুমাত্র ম্যাসাজ করে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই একেবারে ম্যাজিকের মতো গায়েব করে দিতে পারেন। ছিলেন ক্লাবেরই কয়েক জন হোমড়া-চোমড়া।
কিন্তু তাঁদের প্রতিবাদ ধোপে টেকেনি। তবু তাঁদের প্রতিবাদে বিরক্ত হয়েই তাঁদের উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার জন্য শাসক দলের স্থানীয় পাণ্ডারা শীতকালে সার্কাস পার্টি বসিয়েছিল সেই মাঠে। সার্কাস চলে যেতেই বসিয়েছিল মেলা। মেলা চলাকালীনই কে বা কারা যেন রাতের অন্ধকারে মাঠটা ঘিরে ফেলেছিল কোমড় সমান উঁচু পাঁচিল দিয়ে। সদ্য জিতে আসা স্থানীয় কাউন্সিলরের প্রত্যক্ষ মদতে।
না, এই মাঠের কোনও ব্যক্তি-মালিকানা ছিল না। শোনা যায় রানি রাসমণি নাকি এখানে এক সময় প্রচুর জমি কিনেছিলেন। তার মধ্যে এই মাঠটাও ছিল। সেই মাঠটার মালিকানা কী করে এক প্রোমোটারের নামে হয়ে গেল কেউই কিছু বুঝে উঠতে পার না। সমীরণবাবু ছুটে গিয়েছিলেন থানায়। স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে এম এল এ, বড় বড় নেতাদের কাছে। তাঁরা প্রত্যেকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একটা কথাই বলেছিলেন, ঠিক আছে দেখছি।
কেউ কেউ তো সরাসরি বলেইছিলেন, এখন তো আর সেই ভাবে ফুটবল খেলা হয় না। ওই দু’-চারটে বাচ্চা নিয়ে কেন শুধু শুধু মাঠটাকে আটকে রেখেছেন? তার চে বরং আপনি যদি চান, বলুন, ওরা না-হয় আপনাদের খুশি করে দেব। সমীরণবাবু সঙ্গে সঙ্গে কড়া গলায় বলেছিলেন, এ কী বলছেন আপনি? দরকার হলে আমি কোর্টে যাব। চ্যালেঞ্জ করব। এই মাঠের জন্য যত দূর যেতে হয়, আমি যাব। সেটা শুনে ওই এম এল এ বলেছিলেন, ঠিক আছে, ঠিক আছে, আপনি যখন বলছেন, আমি ওদের সঙ্গে কথা বলে দেখছি। যত দিন না ওরা ওখানে প্রোমোটিং শুরু করছে, অন্তত তত দিন যাতে আপনারা ওই ঘেরা মাঠে খেলাধুলো করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। সেই নেতা যে দিন উচ্চারণ করেছিলেন ‘ঘেরা মাঠ’, সে দিন থেকেই কী করে যেন লোকের মুখে মুখে ‘মাঠ’টা হয়ে গিয়েছিল— ঘেরা মাঠ।
বারবার উনি প্রতিবাদ করেছেন। প্রথম প্রথম তাঁর ক্লাবের কর্মকর্তারা, যারা তাঁর ক্লাবে খেলে, তাদের অভিভাবকরা এবং লোকাল কয়েক জন লোকজনকে পাশে পেয়েছিলেন। কিন্তু যত দিন গেছে, এক-এক করে তাঁরা পাশ থেকে সরে গেছেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন, তিনি ক্রমশ একা হয়ে যাচ্ছেন। হেরে যাচ্ছেন। একেবারে গো হারা হেরে যাচ্ছেন। তাঁকে আরও কাবু করে দিচ্ছিল তরুণ প্রজন্মের ফুটবলের প্রতি অনিহা। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা ঝাঁক বেঁধে বেঁধে সব ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকছিল। তিনি তাঁদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন— সব খেলার সেরা ফুটবল… কিন্তু কে শোনে কার কথা!
তাঁর আর মাঠে যেতে ইচ্ছে করত না। বরং বাড়ির ও দিককার কোণে বউয়ের লাগানো ফুল গাছগুলোর পরিচর্চা করতেন। যে ফুলের মতো কচি কচি বাচ্চাদের তিনি খেলার মাঠে একটু একটু করে বেড়ে ওঠা দেখতে চেয়েছিলেন, সেই দেখাটাই বোধহয় তিনি দেখতে পাচ্ছিলেন, বাড়ির এক কোণে সামান্য এক চিলতে জায়গায় ছোট্ট ছোট্ট চারাগাছগুলোর বেড়ে ওঠার মধ্যে। তবু কোথায় যেন একটা দুঃখ, একটা চাপা যন্ত্রণা তাঁর বুকের মধ্যে জমাট বেঁধে উঠছিল।
এরই মধ্যে হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। যে লোকটা এত বছর বয়সেও কোনও দিন কখনও কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে একটা রাতও কাটাননি, তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যেতে হয়েছিল নার্সিংহোমে। চেক আপ করে ডাক্তার তাঁর ছেলেকে বলেছিলেন, বাবাকে একটু সাবধানে রাখবেন। বয়স হচ্ছে তো! এখন যেন কোনও কিছু নিয়েই বেশি টেনশন না করেন। সে কথা শুনে সতর্ক হয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। তাঁর ছেলেমেয়েরাও। তাঁর মন জুগিয়ে চলার চেষ্টা করত তারা। যাতে তিনি সব সময় খুশিতে থাকেন। তাঁর জন্য তারা কি না করত। তবু… আগের দিন রাতেও যিনি কবজি ডুবিয়ে আয়েশ করে খেয়েছেন। শুতে যাওয়ার আগে কয়েক জনকে ফোন করেছেন। মেয়েকে ফোন করে জেনেছেন, নাতনি কেমন আছে। রাত আড়াইটে অবধি টিভিতে সিনেমা দেখেছেন। সেই লোকটার জন্য তাঁর স্ত্রী যখন প্রতিদিনকার মতো এই সাত সকালে বেড-টি নিয়ে তাঁর বিছানার পশে গিয়ে ডাকলেন, যিনি এক ডাকে না হলেও দ্বিতীয় বা তৃতীয় ডাকে ঠিক উঠে পড়েন, সেই তাঁকেই আজ যে কত বার তিনি ডেকেছেন, শেষে চায়ের কাপ টেবিলে রেখে গায়ে হাত দিয়ে এত বার ধাক্কা দিয়েছেন যে, তার আর কোনও হিসেব নেই।
ঠিক তখনই তাঁর কেমন যেন একটা খটকা লাগল। তিনি চিৎকার করে ডাকলেন ছেলেকে। পাশের ঘর থেকে শুধু ছেলে নয়, সেই চিৎকার শুনে ছেলের বউ, এমনকী তাঁর ছ’বছরের নাতিও পড়ি কি মড়ি করে ছুটে এসেছিল দাদুর ঘরে। বাবার গায়ে হাত দিয়ে, নাকের কাছে আঙুল নিয়ে ছেলে থ’। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেছিল ডাক্তারকে। এসে হাজির হয়েছিল তার কয়েক জন বন্ধুও। পাড়ার দু’-চার জন প্রতিবেশীও। সব দেখে-টেখে ডাক্তার বলেছিলেন— সরি।
‘সরি’ মানে যে কী, সেটা তৃণা জানতেন। তাই চিৎকার করে আছড়ে পড়েছিলেন স্বামীর বুকে। একবার নয়, দু’বার নয়, তিন বার নয়, বারবার। আর গলা ফাটিয়ে কাঁদছিলেন— এ আমার কী হল গো… তুমি আমাকে একা ফেলে কেন চলে গেলে গো….
তাঁকে কিছুতেই ধরে রাখা যাচ্ছিল না। মেয়েরাও চুপ নেই। মায়ের মতো ও ভাবে হাউমাউ করে না কাঁদলেও তারাও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। একমাত্র ছেলেই কেমন যেন পাথরের মূর্তির মতো নিথর। যাওয়ার সময় ডাক্তারবাবু বলে গেলেন, চার ঘণ্টা কাটুক। তার পরে আমার চেম্বারে গিয়ে ডেথ সার্টিফিকেটটা নিয়ে এসো। ডাক্তার বলামাত্র লোকের মুখে মুখে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল খবর। এসে ভিড় করতে শুরু করলেন পাড়ার লোকজন। কেউই কাবেরীকে থামাতে পারছে না। হঠাৎ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। চোখে-মুখে জলের ঝাপটা দেওয়ামাত্র যেই জ্ঞান ফিরছে, অমনি ফের গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে সে কী কান্না!
আবার যেই চিৎকার করে স্বামীর বুকে আছড়ে পড়েছেন, অমনি তার চেয়েও জোরে একেবারে বাজখাই গলায় কে যেন চিৎকার করে উঠলেন, কী, হচ্ছে কী? আমাকে একটু ঘুমোতে দেবে না, না কি? সক্কালবেলায় মড়ার কান্না জুড়ে দিয়েছে একেবারে। স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলেন তৃণা। থমকে গেল মেয়েরা। ছেলে তো বটেই, পাড়া-প্রতিবেশীরাও একেবারে হতভম্ব। কারণ, এ তল্লাটে এ রকম বাজখাই গলা একজনেরই আছে। আর তিনি হলেন— এই সমীরণবাবু।
সমীরণবাবুর সঙ্গে এত দিন ধরে থাকতে থাকতে তৃণাও হয়ে উঠেছিলেন খানিকটা স্পোর্টসম্যানের মতো। তাই ও রকম অবস্থাতেও তাঁর মনে হল, এটা আবার ওই রকম কোনও ঘটনা নয় তো! ও সব তো আজকাল আকছাড়ই ঘটে! এই তো ক’দিন আগেই নিমতলায় একটা মৃতদেহ দাহ করতে গিয়ে মুখাগ্নি করানোর সময় হঠাৎ তাঁর বাড়ির জনেরা দেখেন, তিনি নড়াচড়া করছেন। ভাল করে তাকিয়ে দেখেন, হ্যাঁ, তিনি নিশ্বাস নিচ্ছেন। সঙ্গে সঙ্গে হইহই পড়ে যায়— বেঁচে আছেন তিনি, বেঁচে আছেন। আশপাশের লোকজনেরা তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে ধরাধরি করে দশ মিনিটের মধ্যে নিয়ে যান হাসপাতালে। ডাক্তারেরা পরীক্ষানিরীক্ষা করে জানান, তিনি মৃতই।
এখন সে রকম কিছু ঘটছে না তো! তিনি কি সত্যি সত্যিই তাঁর গলা শুনছেন! শুনলে তো তিনি একা শুনবেন। তা হলে তাঁর ছেলেমেয়ে, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরা সবাই মিলে একসঙ্গে এই ভাবে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন কেন! তা হলে কি…
বাবা কি তা হলে বেঁচে আছেন! ছেলে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করল ডাক্তারকে। মানুষমাত্রই ভুল হয়। হয়তো ডাক্তারেরও হয়েছে! আরে বাবা, একবার যখন সন্দেহ হয়েছে, দেখে নিলে ক্ষতি কী! এই তো বেরোলেন। মনে হয় দু’মিনিটও হয়নি।
ফোন পেয়েই সিঁড়ি ভেঙে আবার ওপরে এসে সমীরণবাবুর নাড়ি দেখলেন তিনি। নাড়ি দেখামাত্র ভ্রু কুঁচকে গেল তাঁর। তার পর চোখের তলার চামড়াটা এক আঙুল দিয়ে একটু নীচের দিকে টেনতেই একেবারে চমকে উঠলেন তিনি। বললেন, মিরাকেল।
— তার মানে? সবার চোখেমুখে তখন একটাই প্রশ্ন।
ডাক্তারবাবু বললেন, উনি শুধু বেঁচে নেই। বহাল তবিয়তে বেঁচে আছেন।
ছেলে বলল, তা হলে যে আপনি বললেন, মারা গেছেন!
— হ্যাঁ, তখন দেখে তো আমার তাইই মনে হয়েছিল।
— তা হলে উনি বেঁচে উঠলেন কী করে?
না, সে প্রশ্নের উত্তর আর ডাক্তারবাবুকে দিতে হল না। ওই ভিড়ের মধ্যেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সমীরণবাবুর ক্লাবেরই একজন। রাকেশ শর্মা। যিনি পেশায় একজন ফিজিওথেরাপিস্ট। তিনি বললেন, আমার মনে হয়, ডাক্তারবাবু যখন দেখেছিলেন, তখন সমীরণদার শ্বাসনালীতে হয়তো কোনও শ্বাস আটকে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার রাস্তাটা বন্ধ করে দিয়েছিল। মানে ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে। তাই ডাক্তারবাবুর মনে হয়েছিল সমীরণদা বুঝি আর নেই। কিন্তু স্বামীর শোকে পাগল হয়ে বউদি যে ভাবে সমীরণদার বুকের উপরে বারবার আছড়ে পড়ছিলেন, তাতে হয়তো কার্ডিয়াক পাম্পের কাজ করেছিল। মানে কার্ডিও পালমোনারি রিসাসসিটেশন। ফলে বুকের ভিতরে আটকে থাকা সেই শ্বাসটা বেরিয়ে গিয়েছিল। তাই আবার আগের মতোই স্বাভাবিক হয়েছিল সব। এটাকে কিন্তু এক রকম পুনর্জন্মই বলা চলে।
রাকেশের কথা শেষ হওয়ার আগেই ডাক্তারবাবু বললেন, আমারও তাই মনে হয়! যখন ঘরের মধ্যে এই সব কথা হচ্ছে, ঠিক তখনই বিছানার ওপর ঝপ করে বসে সমীরণবাবু বিরক্ত হয়ে আবার বললেন, কী, হচ্ছেটা কী? এত কথা কীসের? আমাকে কি দু’দণ্ড ঘুমোতেও দেবে না?