ছোটগল্প

ঈদসংখ্যার গল্প।। একটি মসজিদের ইতিবৃত্ত।। সালাহ উদ্দিন মাহমুদ

গ্রামের নাম বরকতপুর। 

একশ পাঁচটি ঘরের একটি গ্রাম। বারোটি বংশে বসবাস হাজার মানুষের। কারো টিনের ঘর। কারো বা আধা পাকা। প্রবাসীদের পাকা ঘর।  নামের মতোই সুন্দর গ্রামটি। সবুজ-শ্যামল ছায়া সুনিবিড়। নামের মতোই বরকতময়। শিক্ষায়, শান্তিতে বা অর্থে কোনো অভাব নেই। অভাব একটাই। এই গ্রামে কোনো মসজিদ নেই। ধর্মপ্রাণ সবাই পাশের গ্রাম রহমতপুরের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েন। সেখানে তাদের কোনো বাধা নেই। পাশের গ্রামের মুসল্লিরাও তাদের খুব সমাদর করেন। ইফতারে বা তারাবিতে, ঈদুল ফিতর বা কুরবানিতে দুই গ্রামের মানুষকে একটি সমাজের অন্তর্ভুক্তই মনে করা হয়।

তবে অসুবিধা একটাই। জামাতে নামাজ পড়তে অসুবিধায় পড়তে হয় বরকতপুর গ্রামের মুসল্লিদের। আজান শুনেও অজু করে জামা-কাপড় পড়ে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারেন না তারা। প্রতি ওয়াক্তের নামাজের জামাতের প্রথম তাকবির ছুটে যায় অনেকেরই।  বরকতপুর গ্রামের মাঝখানে সরদার বাড়ির সামনে একটি মুদি দোকান। দোকানটি আলম সরদারের। সেখানে সকাল-সন্ধ্যা চায়ের বন্দোবস্তও হয়। রহমতপুরের মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে এসেছেন কয়েকজন মুরুব্বি। তাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ কলিম খা। তিনি কাছে ডাকলেন ছলিম, দবির ও সালামতকে। তারা কলিম খার সমবয়সী না হলেও গ্রামের মুরুব্বিস্থানীয় বলা চলে।

ছলিম সরদার বললেন, জে মেয়া ভাই কন, কী কইবেন?

কলিম খা কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে রাখলেন। কপালে চিন্তার রেখা। মাথা একটু তুলে তাকালেন সবার দিকে। তার মুখের দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে সবাই। দোকানের সামনে তখন পিনপতন নীরবতা। সবারই ভাবনা, নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবেন কলিম খা। তা না হলে তিনি এভাবে গম্ভীর স্বরে তাদের তিন জনকে ডাকতেন না। নীরবতা ভেঙে প্রথমেই দবির ঢালী বললেন, কাকা চুপ কইরা আছেন যে। কোনো সমস্যা অইছে নাকি? ওই গ্রামের কেউ কিছু কইছে আপনেরে? নামাজ পইড়া আহার পর থেইকাই কেমন মেন্দা মাইরা আছেন। কলিম খা দু’বার কাশি দিলেন। গলা পরিষ্কার করলেন। এরপর মাথা একটু উঁচু করে বললেন, এত কষ্ট কইরা নামাজ পড়ন যায় কও দেহি? প্রথম তাকবির পাই না প্রায় সময়ই। আমাগো গ্রামে এত পাকা বাড়ি, অথচ একটা পাকা মসজিদ কি অইতে পারে না? তোমরাই কও! 

কলিম খার কথা শেষ হলে সবাই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচেন। সালামত বেপারী তখন জোর দিয়ে বললেন, কেন অইতে পারে না কাকা? অবশ্যই অইতে পারে। কলিম খা যেন শরীরে একটু জোর পেলেন। একটু নড়েচড়ে বসলেন। দোকান থেকে সবার হাতে চায়ের কাপ তুলে দিচ্ছে আলম সরদারের ছেলে কালু। কালুর হাত থেকে চায়ে কাপটা নিয়ে তিনি বললেন, তাইলে ব্যবস্থা করন লাগবো কিন্তু। আগামী শীতের আগে কাম শুরু কইরা দিতে অইবো। বর্ষা আহনের আগে শেষ করন লাগবো। আমাগো যাতে আর বিষ্টিতে ভিইজা রহমতপুর যাইতে না অয়, নামাজ পড়তে।

দবির ঢালী এবার জোর গলায় বললেন, আপনে মুরব্বি মানুষ। খালি আমাগো লগে থাকেন। আর খালি কইবেন, কহন কি করা লাগবো।

কলিম খা চায়ের কাপটা এবার বেঞ্চের ওপর রাখলেন। তারপর সোজা হয়ে দাঁড়ালেন। শরীরের জোর যেন আরও একটু বেড়ে গেছে। ততক্ষণে জরুরি সভা ভেবে গ্রামের ছোট-বড় অনেকেই দাঁড়িয়ে গেছে দোকানের আশেপাশে। সবার উদ্দেশে কলিম খা বললেন, প্রিয় হাজেরিন! সবই তো কমবেশি শুনলেন আপনারা। এহোন আমরা চাই, আমাগো এই গ্রামে একখান নতুন মসজিদ অইবো। আপনারা কী কন? আপনারা আছেন আমাগো লগে?

সবাই সমস্বরে জবাব দিলেন, অবশ্যই অইবো। ক্যান অইবো না? আমরা আছি আপনাগো লগে।

আলহামদুলিল্লাহ বলে বেঞ্চের ওপর বসলেন কলিম খা। আলমের দিকে তাকিয়ে বললেন, আজকের চায়ের বিল সব আমি দিমু। কারো কাছ থিকা কোনো পয়সা রাখবি না। অনেক কিছু ভেবে, নানাবিধ সমস্যার কথা চিন্তা করে গ্রামের নেতৃস্থানীয় কয়েকজন মুরুব্বি বসলেন সমাধান করতে। সেদিন দোকানের সামনে প্রকাশ্যে ঘোষণার পর কলিম খা আরও তৎপর হয়ে উঠলেন। দবির ঢালী, সালামত বেপারী, ছলিম সরদারও সঙ্গে আছেন। সেদিন যারা ছিলেন না, তাদের মধ্য থেকেও দু’চার জনকে রাখা হয়েছে। আজ তারা বসেছেন দবির ঢালীর কাচারি ঘরে। দবির ঢালীর ঘর থেকে এক থালা পান-সুপারি দিয়ে গেছে তার বড় ছেলে মিলু। কলিম খা একটি পান হাতে নিয়ে চুন লাগাতে লাগতে বললেন, সেইদিন তো আমি একটা উদ্যোগ নিয়া ফেলছি। এহোন কেমনে কী করন যায়, সবাই একটু বুদ্ধি-সুদ্ধি দাও।

সভায় আজই প্রথম উপস্থিত আবুল কাশেম ফকির। মুরুব্বি না হলেও বয়স চল্লিশের ওপর। কাজে-কর্মে চালু অনেক। দৌড়াদৌড়ি ভালোই করতে পারবেন। আবুল কাশেম সবার অনুমতি নিয়ে বললেন, চাচাজান, মসজিদ করতে চান ভালো কতা। তয় জায়গা কিন্তু আগে দরকার। জায়গা দিবো কেডা? ছলিমও এবার যোগ করলেন, কাশেম তো ঠিকই কইছে। আগে তো জায়গা-জমি দরকার। 

সালামত বললেন একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে, আমার মনে অয় গ্রামের মাঝখানে মসজিদ অইলেই বেশি ভালো অয়।  

কলিম খা সবার কথা শুনে মাথা নাড়লেন। মধ্যমা আঙুলে লাগানো চুন থেকে একটু মুখে পুড়ে নিলেন। পান-সুপারি চিবিয়ে রসটা গলায় টেনে নিয়ে বললেন, সবাই ভালো কথা বলছো। সবার আগে জমি দরকার। আমিও দেখতাছি, গ্রামের মাঝখানে একটা জমি বছরের পর বছর খালি পইড়া থাহে। একেবারে রাস্তার পাশেই। 

কলিম খার কথা শুনে উপস্থিত সবাই একে অপরের দিকে তাকান। 
দবির ঢালী সোৎসাহে বললেন, তাই তো, আপনে ঠিকই কইছেন কাকা। জায়গাডা তো গ্রামের মাঝখানেই। তয় জমিডা তো আব্দুল বারেকের। 

কলিম খা এবার একটু আশ্বাস পেলেন যেন। উচ্ছসিত কণ্ঠে বললেন, বারেকরা বাড়ি থাকে না কেউ। ওগো ঘরটা পইরা আছে খালি খালি। বছরে দুই-একবার আহে। ঢাকায় বাড়ি-গাড়ি অইছে তাগো। গ্রামের প্রতি টান নাই তেমন। আমরা চাইলে জমিডা দিতেও পারে। মসজিদের জন্য চাইলে না করবো না মনে হয়। সবাই মোটামুটি সায় দিলেন কলিম খার কথায়। আজকের মিটিং অনেকটা সফলই বলা যায়। আলোচনা শেষে সবাই গ্রামের মাঝখানের ওই সুবিধাজনক স্থানটিই নির্বাচন করলেন। সেখানেই স্থাপিত হবে মসজিদ। নামও নির্ধারণ করে ফেলেছেন। বেশিরভাগই সায় দিয়েছেন, ‘বরকতপুর জামে মসজিদ’ হবে নাম। 

জমিটি যেহেতু আব্দুল বারেকের। তার সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব পড়েছে আবুল কাশেমের ওপর। আবুল কাশেমের সঙ্গে আব্দুল বারেকের যোগাযোগ বেশ ভালো। আব্দুল বারেকের জমি-জিরাত আবুল কাশেমই দেখাশোনা করেন। বছর শেষে চাল-ডাল, শাক-সবজি, ফল-মূল পাঠান আব্দুল বারেকের বাসায়।
পরদনি সকালে আব্দুল বারেকের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করলেন আবুল কাশেম। অপর প্রান্ত থেকে ভেসে এলো আব্দুুল বারেকের কণ্ঠস্বর, হ্যালো! হ্যাঁ, কাশেম বলো।
আবুল কাশেম বললেন, ফ্রি আছেন নাকি মামা? একটু কতা কওন যাইবো?

আব্দুল বারেক বললেন, হ্যাঁ, ফ্রি আছি। কী বলবা বলো। দশ মিনিটি পরে একটা মিটিং আছে। জলদি বলে ফেলো।
আবুল কাশেম কাচুমাচু করে বললেন, কইছিলাম কি বাড়ির রাস্তার পাশে আপনার জমিডা তো খালি পইড়া আছে।
আব্দুল বারেক এটুকু শুনেই বললেন, হ্যাঁ পড়ে আছে। তাতে কী?
ভয়ে ভয়ে আবুল কাশেম বললেন, গ্রামের সবাই কইছিল, আপনে অনুমতি দিলে ওইখানে একটা মসজিদ করবো। 
আব্দুল বারেক বললেন, আমার জায়গায়ই মসজিদ করতে হবে কেন? সবাইকে বলে দাও, আমি জায়গা দিতে পারবো না। আমি পরিবার নিয়ে শহরে থাকি। আমার তো মসজিদ দরকার নাই। যাদের দরকার, তারা জায়গা দেবে। 

আবুল কাশেম বিনয়ের সঙ্গে বললেন, জায়গাডা এমনিতেই পইড়া আছে মামা। সবাই আশা করছিল আপনি মসজিদের জন্য জমিডা দিবেন। আইচ্ছা, রাখি তাইলে মামা। আমি সবারে জানায়া দেই যে, আপনে জমি দিবেন না।
সন্ধ্যায় আলমের দোকানে বসে কথা ওঠালেন আবুল কাশেম। কলিম খা, সালামত বেপাারী, দবির ঢালীও আছেন। আবুল কাশেম বললেন, জায়গাডা তো বারেক মামা দিতে চায় না।
কলিম খা বললেন, ওই জায়গায় কী করবো সে?
আবুল কাশেম বললেন, তা কিছু কয় নাই।
দবির ঢালী প্রসঙ্গ পাল্টে বললেন, কাশেম ভাই, আমরা যদি জায়গাডা কিনতে চাই? 
সালামত বেপারী অবাক চোখে তাকিয়ে বললেন, এত টাকা কই পাইবো আমরা?
কলিম খা বললেন, দবির একটা ভালো কথা বলছে। টাকার সমস্যা অইবো না। বিদাশে যাগো পোলাপান আছে, সবাই মিইল্যা টাকা দিলেই অইয়া যাইবো। মসজিদের কামে কেউ না করবো না।

আবুল কাশেম অসহায়ের মতো মুখ করে তাকালেন সবার দিকে। মনমরা হয়ে বললেন, আমি আবার ফোন কইরা দেখমুনে।
বাসায় গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে আব্দুল বারেককে ফোন করলেন আবুল কাশেম। রিসিভ করেই আব্দুল বারেক বললেন, কী খবর কাশেম? আবার ওই জমির জন্য ফোন করেছো?
আবুল কাশেম একটু হেসে বললেন, হঅ মামা। টাকা জোগাড় কইরা জায়গাটা সবাই কিনতে চায়।
আব্দুল বারেক একটা কাশি দিয়ে বললেন, না মামা। জায়গাটি আমি বিক্রিও করবো না। 
আবুল কাশেম এবার বিভিন্ন ভাবে বোঝাতে শুরু করলেন। অনুনয় করে বললেন, মামা, আল্লায় আপনেরে অনেক দিছে। গ্রামের এইটুক জায়গা ছাইড়া দিলে কিছু অইবো না মামা। তারপর আবার এইখানে অইবো মসজিদ। আপনের ছোওয়াবও অইবো।

আব্দুল বারেক কিছুটা নরম হলেন মনে হয় আবুল কাশেমের কথায়। পরে রাজি হলেন বিক্রি করতে। তবে দাম হাঁকলেন তিনগুণ বেশি। আবুল কাশেম সকালে মুরুব্বিদের সে কথা জানালেন। উপায় না দেখে মসজিদের উদ্যোক্তারাও তাতে রাজি হয়ে গেলেন। 
আজ জমির রেজিস্ট্রেশন হবে। সকালেই গ্রামে এলেন আব্দুল বারেক। 

আলমের চায়ের দোকানে বসলেন সবাই। আব্দুল বারেক এবার কলিম খার হাত থেকে টাকা বুঝে নিয়ে জমির কাগজ বের করলেন। সবাই তাতে চমকে গেলেন।  
আবুল কাশেম বললেন, মামা, আইজ না ভূমি অফিসে যাওয়ার কতা! 
আব্দুল বারেক একগাল হেসে বললেন, যাওয়ার আর প্রয়োজন নেই মামা। আমি নিজেই সব লিখে নিয়ে এসেছি। 
মসজিদের উদ্যোক্তারা কাগজ দেখে অবাক। আব্দুল বারেক পুরো জায়গাটা মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন। জমির জন্য নেওয়া টাকাটা কলিম খার হাতে ফেরত দিয়ে বললেন, শুধু জমি দিয়ে হবে কাকা? মসজিদের জন্য ঘর ওঠাতে হবে না? আসুন, এই টাকা দিয়ে সবাই মিলে মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করি।

ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক সবাই। 

এবার সবার মুখে হাসি। কলিম খা জড়িয়ে ধরলেন আব্দুল বারেককে। আব্দুল বারেক মুচকি হাসলেন। বললেন, প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনারা আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি কাজটি না করলে আপনারা এই টাকাও এত তাড়াতাড়ি ম্যানেজ করতে পারতেন না। দেখুন, মসজিদ ঘর আমি একাই করে দিতে পারি। তবে আমি চাই, আল্লাহর ঘরে সবারই অংশগ্রহণ থাক। 
কলিম খা বললেন, তা ঠিকই কইছো বাপজি। আমরাও তোমার কাজে খুশি অইছি। তয় প্রথমে একটু মনে মনে কষ্ট পাইছিলাম। এহোন আর কষ্ট নাই।  
কলিম খার কথা শেষ হতেই আব্দুল বারেক বললেন, তবে আমার একটি অনুরোধ আপনাদের কাছে। তা হলো, কোনো সুদখোর, ঘুষখোর, বেনামাজি কখনোই যেন মসজিদের সভাপতি-সেক্রেটারি না হন। এই মসজিদের ইমামই হবেন সভাপতি। আর মুয়াজ্জিন হবেন সাধারণ সম্পাদক। উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন গ্রামের পাঁচ মুরুব্বি।

সবাই সমস্বরে বললেন, ঠিক ঠিক। আপনি যা বলছেন, তা-ই অইবো। এই নিয়ম কেয়ামত পর্যন্ত বলবত থাকবো।
কলিম খা বললেন, গায়ের শিক্ষিতরা তো বাড়িতে থাহে না। আমরা অশিক্ষিতরা থাহি বাড়ি। তয় স্কুলের মাস্টার আছে রমিজ শিকদার। লেহালেহি যা লাগে অই করবো। হিসাব-কিতাব আরকি।
সবাই সায় দেন কলিম খার কথায়। রমিজ মাস্টারও অমত করেন না। মসজিদের ক্যাশিয়ার হন তিনি। 
গ্রামে শীত পড়তে শুরু করেছে। এই শীতের শুরুতেই মসজিদের কাজ আরম্ভ করার আশা করেছিলেন সবাই। 

সে অনুযায়ীই কাজ হচ্ছে। পঁচিশ নভেম্বর সকালে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে মোনাজাত করেন সবাই। মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের ইমাম সবুর মৌলবী। মোনাজাত শেষে মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। প্রথম ইটটি তুলে দেন মৌলবী সাহেব। 

জমি বিক্রেতা আব্দুল বারেকও এসেছেন ঢাকা থেকে। তিনি দাঁড়িয়ে সব দেখলেন। তার মুখে তৃপ্তির হাসি। তিনি এমনটিই চেয়েছিলেন। টাকার গরমে কেউ যেন মসজিদের কর্তৃত্ব কেড়ে নিতে না পারেন। তিনি তা হতে দেননি। গ্রামের এমন একটি ভালো কাজে, ধর্মীয় কাজে যুক্ত হতে পেরে মনে মনে গর্ববোধ করছেন। তার চোখের কোণ বেয়ে দু’ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল নিজেরই অজান্তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *