ছোটগল্প।। ম্যাস-মেন্টাল ডিসঅর্ডার।। মো. রেজাউল করিম

ঘুম ভাঙতেই পাভেল সোমাকে মাথার কাছে বসে থাকতে দেখল। সোমা বলল, তাড়াতাড়ি ওঠো, অফিসে যাবে না? চোখেমুখে প্রচণ্ড অনিচ্ছার রেশ। সোমা বারবার অনুরোধ করায় পাভেল উঠে বিছানায় বসল; তখনও ওর ঘুমের রেশ যায়নি। সোমা ততক্ষণে টুথব্রাশের মাথায় বেবিজেল টুথপেস্ট লাগিয়ে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। ওয়াসরুমে চল বাবু, ফ্রেস হয়ে নাও। বাবু? বিয়ের পরে সোমা আর বাবু বলে ডাকেনি; আজ বাবু সম্বোধনে পাভেল খুব মজা পেল। দাঁত ব্রাশ শেষ হতেই সোমা তোয়ালে এগিয়ে দিল। মুখ মুছে সোমাকে বলল, এবার যাও। টয়লেট করব। আমি বড়ো না? বাথরুম থেকে সোমা বের হতেই টয়লেট শেষ করে পাভেল শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে গেল। বাইরে থেকে সোমা তখন চিৎকার জুড়ে দিয়েছে।
বাবু তুমি কাপড়-চোপড় না নিয়েই গোসল শুরু করে দিয়েছ।
পাভেল ভেজা কাপড়ে দরজা খুলে অপরাধীর মতো দাঁড়িয়ে থাকল। সোমা ওর শরীরের পানি মুছে দিয়ে নতুন কাপড় পরিয়ে দিল।
নাস্তার টেবিলে পাভেল বায়না ধরল হাতে বেলা রুটি খাবে না। ব্রেড টোস্ট আর নুডুলস খাবে। সোমা বলল, আজ রুটি খাও বাবু, তা নাহলে অফিসে ক্ষুধা লাগবে। আমি টিফিন বক্সে নুডুলস দিয়ে দিচ্ছি। ঠিক এগারোটায় খাবে । আর কাল সকালে ব্রেড টোস্ট দিয়ে নাস্তা দিব কেমন? খাও সোনা! কাল সকাল থেকে পাভেলের শিশুসুলভ আচরণে হতভম্ব। তবে বুদ্ধিমতী সোমা পাভেলকে না খ্যাপিয়ে সে যা চায় সেভাবেই সবকিছু ম্যানেজ করছে। সোমার বাবা, ভাই, শ্বশুর উচ্চ পদে চাকরি করে। তাদেরকে ফোন করেও সে একই রকম আচরণ পেল। মা বাবাকে নিয়ে, শাশুড়ি শ্বশুরকে নিয়ে, ভাবী ভাইকে নিয়ে একই সমস্যা মোকাবিলা করছে। সোমা কিছু বুঝে উঠতে পারছে না কী হলো? এত বড়ো বড়ো পদে চাকরি করা মানুষগুলো বাচ্চাকাচ্চার মতো আচরণ করছে কেন? পাভেল বুঝতে পারছিল না, সোমা সেই সকাল থেকে অফিস অফিস করছে কেন? সোমা অনেক তকলিফ করে প্যান্ট, শার্ট, কোট, টাই পরিয়ে দিল। হাতে অফিসের ব্রিফকেস ধরিয়ে দিয়ে লিফটে করে নিচে গাড়ি পর্যন্ত এলো ও। নিচে নামতেই গার্ড সশব্দে মাটিতে বুট ঠুকে স্যালুট দিল। ড্রাইভারও যথারীতি পুলিশি রীতিতে সেলাম দিল। সিটে
বসতেই সিট বেল্ট বেঁধে দিল ড্রাইভার। গাড়ি ছাড়তে না ছাড়তেই পাভেল ব্রিফকেস থেকে ট্যাব বের করে গেম শুরু করল। দু’দিন ধরে গোটা দেশেই এই অবস্থা চলছে। প্রিন্ট মিডিয়া সম্পূর্ণ বন্ধ। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা আগে রেকর্ড করা অথবা আগেই প্রচার করা হয়েছে এমন অনুষ্ঠানগুলো পুনঃপ্রচার করছে। দোকানপাট খোলা আছে। সেগুলোতে নিম্নবিত্তের ক্রেতা-সাধারণের আনাগোনা আছে। শপিং মলগুলো খোলা থাকলেও সেখানে ক্রেতা খুব কম। কিছু গৃহিনি সেখানে কেনাকাটা করছেন। শহরের বাস সার্ভিস চালু আছে। কিন্তু বাসগুলোতেও একই অবস্থা নিম্নবিত্ত, সাধারণ কর্মচারী, খেটে খাওয়া মানুষ দেখা যায়। আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে দেশের এই অবস্থা গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জেনেভাস্থ সদর দপ্তরে দফায় দফায় বৈঠক চলছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কী করা যায়? চিন্তার বিষয় হচ্ছে এদেশে তাদের অফিসেও একই অবস্থা। সাপোর্ট স্টাফ ও নিম্নপদস্থ কর্মচারীরা স্বাভাবিক আচরণ করছে। কিন্তু ঊর্ধ্বতনরা অস্বাভাবিক আচরণ করছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞবৃন্দ জানিয়েছেন, মেডিক্যাল সায়েন্স মানুষের ৩০০ রকমের মানসিক বৈকল্য চিহ্নিত করতে পেরেছে।
ম্যাস হিস্টিরিয়াও এ ধরনের মানসিক বৈকল্য। কিন্তু একটা দেশের ঊর্ধতন পদে কর্মরত সকল ব্যক্তি শিশুসুলভ আচরণ করে আর নিম্নতম পদে চাকরিরত মানুষগুলো
কোনোরকমে দেশকে চালিয়ে নেয় এমন ধরনের মানসিক বৈকল্যের অস্তিত্ব মেডিক্যাল সায়েন্সে উল্লেখ নাই।

অফিসে প্রথমেই বড়ো একটা কক্ষে কর্মচারীরা বসে। তারা সকলে নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। নিজের ঘরে যাবার আগে মহাপরিচালকের সেক্রেটারির ছোট্ট কক্ষে ঢুকে স্যারের ঘরের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে দেখে স্যার ট্যাব নিয়ে কী যেন করছে, সম্ভবত কোনো গেমস নিয়ে ব্যস্ত। স্যার কাল থেকে Temple Run, Subway Surfers খেলাগুলো নিয়ে মেতে আছেন। চেয়ারে বসতেই সাপোর্ট স্টাফ ঘরে ঢুকে কড়া সালাম দিয়ে বলল, স্যার, কফি না টি?
পাভেল চোখ ছোটো করে ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল, চকলেট কফি।
চকলেট কফির কাপে চুমুক দিতেই ব্যক্তিগত সহকারী রায়হান ঘরে ঢুকে আজকের ‘টু ডু লিস্ট’ ধরিয়ে দিয়ে বলল, ‘স্যার, আজ দশটায় বোর্ড রুমে মিটিং। সব ভিআইপি অংশগ্রহণকারীকে ফলো আপ করা হয়েছে। সকলেই আসবেন। মিটিং সংক্রান্ত সব নথিপত্র আপনাকে গতকাল মেইল করা হয়েছে। হার্ডকপি আপনার সামনে টেবিলে রাখা আছে স্যার। আচ্ছা তুমি যাও। কফি শেষ করে পাভেল আবার ট্যাব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। রায়হান ঠিক দশটার দশ মিনিট পূর্বে অনেকটা জোর করেই পাভেলকে সভাকক্ষে নিয়ে গেল, যদিও জোরাজুরির মধ্যে ছিল অনুরোধ ও আদর-সোহাগ। মহাপরিচালক সভাকক্ষে আসবেন ঠিক দশটায়। শহরের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, অ্যাকটিভিস্ট, শিক্ষাবিদ সকলেই উপস্থিত। কেউ ছবি আঁকছেন, কেউ মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে আছে। বেশির ভাগ অংশগ্রহণকারীই ট্যাব হাতে কোনো না কোনো গেমস নিয়ে ব্যস্ত। বারোটার সময় এমডি স্যারের সচিব এসে স্যারের কানে কানে কী যেন বললেন। অমনি এমডি স্যার বললেন, দুইটায় তাকে একটা কর্মশালায় যেতে হবে মিটিং শেষ। লোকটা পাভেলের কাছে এসে বলল, স্যার গত কালকের সভার প্রতিবেদন লিখেছি, আপনি সম্পাদনা করে দিলে ভালো হয়। সভার প্রতিবেদন উনি হাতে করে নিয়েই এসেছিলেন। ওটা টেবিলে মেলে ধরতেই পাভেল লিখল, ‘সম্পাদনা শেষ।’

স্যার একটা সই!
আমার নাম লিখলে হবে?
জি স্যার হবে।
পাভেল কলম চেয়ে নিয়ে আঁকিবুকি করে নিজের নাম লিখল। পাভেল মহাপরিচালক মহোদয়কে বলল, স্যার আপনি কোথায় যাবেন। আমাকেও নিতে হবে স্যার। মহাপরিচালক স্যার তাকে আজ আরলি লাঞ্চ করে দেড়টায় রেডি থাকতে বললেন। থ্রি স্টার হোটেলের সুসজ্জিত সেমিনার কক্ষে প্রায় জনা তিরিশেক অচেনা বিশিষ্টজন উপস্থিত। কর্মশালার বিষয়বস্তু ‘একুশ শতকে দাপ্তরিক কাজে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার’। পাভেলের মহাপরিচালক আজকের কর্মশালায় মূল সহায়ক, অধস্তন কর্মচারীরা স্মরণ করিয়ে দিল দুটো বেজে গিয়েছে। মহাপরিচালক স্যার ডায়াসে উঠলেও সেদিকে কারোর ভ্রুক্ষেপ নেই। কর্মশালায় উপস্থিত অংশগ্রহণকারীবৃন্দ প্রায় সকলেই মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত। কেউ ভিডিও কলে কথা বলছে, কেউ কীসব লেখালেখি করছে কেউ-বা গেম খেলছে। স্যার নিজেও ডায়াসের চেয়ারে বসে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মহাপরিচালক স্যারের সেক্রেটারি মাইক্রোফোনে বারবার সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চলেছেন, এক পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কেউ কেউ একজন অপরজনকে ঠেলা-ধাক্কা দিয়ে মোবাইল ফোন ছেড়ে ডায়াসের দিকে তাকানোর জন্য বলছে। দুপুরের খাবারের পরে ঠান্ডা ঘরে আরামদায়ক চেয়ারে কয়েকজন ঘুমিয়ে পড়েছিল। পাশের জনের আচমকা ধাক্কায় ঘুম ভেঙে গেল। সাধের ভাতঘুম হঠাৎই ভেঙে যাওয়ায় এক বেচারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে অ্যাটেনশান ভঙ্গিতে বড়ো বড়ো চোখে সামনের দিকে তাকিয়ে রইল। ঘোর ভাঙতে তার বেশ কিছু সময় কেটে গেল।
ওদিকে ডায়াসে কর্মশালার মূল সহায়ক মহাপরিচালক স্যার ট্যাবে একটা মুভি দেখছেন ও মিটিমিটি হাসছেন। তাঁর সেক্রেটারি তাঁকে কিছুতেই কর্মশালা পরিচালনার জন্য রাজি করাতে পারলেন না। অবশেষে সেক্রেটারি নিজেই মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে অংশগ্রহণকারীদের কাছে প্রশ্ন চাইলেন। দুটো প্রশ্ন পাওয়া গেল।
১. কোনো বিষয় গুগলে খুঁজলে পুরো বই চলে আসে। ছোটো একটা প্রশ্নের উত্তরের জন্য পুরো একটা বই ডাউনলোড করে, পড়ে, উত্তর বের করা অনেক কষ্ট। এই সমস্যার সমাধান করা যায় কীভাবে?
২. কোনো বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশান তৈরি করতে কষ্ট হয়।
কীভাবে সহজে এটা তৈরি করা যায়?
বেচারা সেক্রেটারি সাহেব মহাপরিচালক মহোদয়ের দিকে তাকাতেই উনি সেক্রেটারির দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে চালিয়ে যেতে বললেন।

বেচারা সেক্রেটারি মহাপরিচালক মহোদয়ের সেমিনার পেপার তৈরি করে দেন। তবে এরকম সুসজ্জিত সেমিনার কক্ষে এতসব বিশিষ্টজনের সামনে কর্মশালা পরিচালনা করতে গিয়ে ভড়কে গিয়ে আমতা আমতা করতে লাগলেন। তার কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে মিউমিউ কণ্ঠে হালকা বাতচিৎ শুনে সকলেই হাততালি দিয়ে চালিয়ে যেতে বলল; কে একজন সামনে থাকা মাইক্রোফোন অন করে বলে উঠল, খুব ভালো হচ্ছে। সেক্রেটারি মহাপরিচালক মহোদয়ের পেপার তৈরির অভিজ্ঞতা থেকেই শুরু করলেন।
বললেন, ১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর: গুগল থেকে পুরো বই বা রিসার্চ পেপারটি ডাউনলোড করে নিন।
পুরো ডকুমেন্ট পড়তে হবে না। শুরুতেই থাকে দুই/তিন পৃষ্ঠার অ্যাবস্ট্র্যাক্ট বা এক্সিকিউটিভ সামারি। ওখানেই পেয়ে যাবেন আপনার মৌলিক প্রশ্নের উত্তর। বাংলা
করতে হলে গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্য নিতে পারেন।
২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর: আপনি যে বিষয়ের পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশান তৈরি করতে চান গুগল সার্চ-এ গিয়ে বিষয়টা এভাবে লিখুন : (উদাহরণ) Disasters in Bangladesh PPT| মনে রাখবেন, বিষয়ের শেষে PPT লিখতে হবে। এবার এন্টারে ক্লিক করুন। অনেক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশান চলে আসবে। ডাউনলোড করে যেটা আপনার জন্য সুবিধাজনক সেটি নিয়ে নিন। প্রথম স্লাইডে প্রস্তুতকারীর নাম পাল্টে আপনার নাম ও পদবি লিখে নিন। পরিশ্রম করতে হবে না। এরই মধ্যে দুজন সুন্দরী দীর্ঘাঙ্গী শাড়ি পরিহিতা সাপোর্ট স্টাফ বৈকালিক বিরতির নাস্তা ট্রলিতে নিয়ে হাজির। অনেক পদের খাবার: ফ্রুট জুস, আইসক্রিম, চকলেট মিল্ক- সাথে বেশ কিছু ফিডার। ওগুলো নেয়ার জন্য অনেকেই নিজ আসন থেকে উঠে এসে হুড়োহুড়ি বাঁধিয়ে দিল। যারা ফিডারে জুস বা মিল্ক নিয়েছে স্টাফরা তাদের গলায় বিফ ঝুলিয়ে দিল যেন শার্ট নষ্ট না হয়। নাস্তা শেষে একজন আবদারের সুরে সেক্রেটারিকে বললেন, ‘বেবিস ডে আউট’ ছবিটি মাল্টি মিডিয়াতে চালিয়ে দিতে।
সকলে খুব মনোযোগ সহকারে দেখতে থাকলেন।
সাড়ে চারটায় প্রোগ্রাম শেষ। পাভেল মহাপরিচালক মহোদয়ের গাড়িতে করেই অফিসে ফিরল। অফিসে তখন চলছে এলাহী কাণ্ড। সাধারণ স্টাফরা বুঝিয়ে সুঝিয়ে ধরে বেঁধে অফিসারদেরকে হলরুমে নিয়ে যাচ্ছে। মহাপরিচালক মহোদয় জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার? তোমরা জোর করে তোমাদের স্যারদেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?’ মহাপরিচালক মহোদয় পাভেলকে নিয়ে অফিসে ঢুকলেন। একজন স্টাফ বিনম্র কণ্ঠে জানালো, ‘স্যার, হলরুমে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ দল বসে আছেন। সারা দেশের চিন্তাবিদ, অ্যাকটিভিস্ট, শিক্ষাবিদ সকলেই অস্বাভাবিক আচরণ করছেন। এত মনোচিকিৎসক আমাদের দেশে নেই। তাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা ছোটো ছোটো দলে ভাগ হয়ে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত হয়েছেন। দয়া করে আপনিও যাবেন স্যার।
ভালো তো। সেবা গ্রহণ করা খুবই মজার বিষয়। তো কী সেবা করবে তারা?
স্যার, আজকে আপনাদের মানে অফিসারদের প্রাইমারি অ্যাসেসমেন্ট হবে। কাল থেকে সাইকোলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট শুরু হবে। একথা শুনে মহাপরিচালক মহোদয় বেঁকে বসলেন। তাঁর এক কথা- তিনি দেশে কোনো ট্রিটমেন্ট নেন না। ট্রিটমেন্ট নিতে তিনি রাজি, তবে তা হতে হবে বিদেশে।

One thought on “ছোটগল্প।। ম্যাস-মেন্টাল ডিসঅর্ডার।। মো. রেজাউল করিম

  • ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩ at ১:০৫ পূর্বাহ্ণ
    Permalink

    Excellent example of a story written in Magic realism theme

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *