ছোটগল্প।। তুমি আছো বলে।। তামান্না স্মৃতি

গাড়ীতে সুনসান নীরবতা। এসি চলার কারনে গাড়ীর জানালার গ্লাসগুলো উঠানো বলে বাইরের শব্দ তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। কুয়াশাও একেবারে চুপ করে আছে। আদনানের মনে হলো, এই মুহুর্তে তার বোধহয় একটু শব্দের প্রয়োজন ছিল। বিষণ্ণ এই নীরবতা তাদের দুজনের কষ্টের তীব্রতাকে বহুগুন বাড়িয়ে দিচ্ছে। আদনান এটাও খুব ভালো ভাবে জানে, এই সময় কোনো সান্ত্বনার বাণী কুয়াশার জন্য তেমন স্বস্তিদায়ক হবে না। বরং উল্টোটা হবে। এমন কিছু করতে গেলে কুয়াশা নিজেকে আদনানের কাছ থেকে এমন ভাবে আড়াল করবে যে, আদনান ওর নাগাল পাবে না। আর এখন আদনানের কুয়াশার পাশে থাকা খুব প্রয়োজন। আদনান সামনে বসা ড্রাইভারের দিকে একবার তাকিয়ে কুয়াশার আরো কাছে এসে বসলো। তার হাতের উপর একটা হাত রাখলো।
অন্য কোনো দিন হলে কুয়াশা বিরক্ত হয়ে বলতো, করছিস কী? দেখছিস তো গাড়ির ভেতর আরেকজন মানুষ আছে।
আদনান নির্বিকার ভাবে বলতো, ও আমাদের দেখছে না। মনোযোগ দিয়ে গাড়ী চালাচ্ছে। ওর চোখ সামনের দিকে।
—চোখ সামনের দিকে বলে তো কান আর বন্ধ নেই, তাই না?
—আদনান কুয়াশাকে আরো খেপানোর জন্য বলতো, ওর চোখ, কান দুটোই এখন এনগেজ। তোকে চুমু খেলেও সে কিছু বুঝবে না, আর বুঝলেও কাউকে কিছু বলবে না।
এই সময় কুয়াশা রেগেমেগে একটা হুলস্থুল কান্ড বাঁধাতো। রাগে চোখ মুখ লাল করে বলতো, আমি এই মুহুর্তে তোর গাড়ী থেকে নেমে যাবো। তুই এক্ষুণি তোর ড্রাইভারকে গাড়ী থামাতে বল। তা না হলে আমি কিন্তু চলন্ত গাড়ী থেকে লাফ দিব।
এই পর্যায়ে আদনান হো হো করে হেসে উঠতো। তারপর একটু থেমে কুয়াশার দিকে তাকিয়ে গাঢ় চোখে বলতো, তুই এমন কেন রে? তোর ইচ্ছের বিরূদ্ধে আমি তোর সাথে কিছু করবো? তুই আমাকে চিনিস না? গত এক বছর ধরে আমরা এক-ই অফিসে চাকরী করছি, এর আগে আমরা একসাথে অনার্স, মাস্টার্স শেষ করেছি। আর কদিন পর আমরা বিয়ে করবো। তারপরেও আমাকে নিয়ে তোর এত ভয়?
এরপর কুয়াশার চেহারা দেখার মতো হতো। তার মুখটা মলিন হয়ে যেতো। নিজেকে সামলে নিয়ে ড্রাইভারের দিকে একবার তাকিয়ে ফিসফিস করে বলতো, তুই রাগ করিস না প্লিজ। তুই তো জানিস শরীরের এই ব্যাপারগুলো নিয়ে আমি ভীষণ রিজার্ভ। এমন পরিবেশে, লোকজনের সামনে তুই আমার সাথে এই ধরনের আচরণ করলে আমি খুব অস্বস্তিতে পড়ে যাই। তারপর একটু ভেবে নিয়ে বলতো, ঠিক আছে তুই চাইলে এখন আমার হাতটা ধরতে পারিস।
আদনান হাসতে হাসতে বলতো, মাফ চাই, দোআও চাই। এই হাত আমি আর ধরবো না। এই কোটি টাকার হাত আমি একেবারে বিয়ের পরেই ধরবো। আদনানের কথা শুনে কুয়াশা খিলখিল করে হেসে উঠতো।

ড্রাইভার একটা শক্ত ব্রেক করলো। আদনান তার ভাবনা ভুলে আড়চোখে কুয়াশার দিকে তাকালো। কুয়াশা এক-ই ভাবে মাথা নীচু করে বসে আছে। আদনানের কুয়াশার দিকে তাকিয়ে মনে হলো, যে মেয়ে প্রেমের আট বছর পরেও নিজের সঙ্গীটির সাথে একটা সীমারেখা বজায় রেখে চলে, প্রচন্ড ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও নিজেদের সম্পর্কের ভেতর সূক্ষ্ম একটা দূরত্বের দেয়াল টেনে রাখে, নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনকে অতি যতনে আগলে রাখে বাইরের পৃথিবী থেকে, সেই মেয়ে আজ রেপ কেইস করতে যাচ্ছে তার দশ বছরের সিনিয়র এক কলিগের বিরুদ্ধে! এ-ও কী সম্ভব! এ-ও কী হয়!

আজ সকালে কুয়াশা যখন তার বাড়িতে আদনানকে ঘটনাগুলো বলল, আদনান এতটাই অবাক হয়ে গিয়েছিল যে প্রথম কয়েক মিনিট সে নির্বাক হয়ে ছিল। কী বলবে কিচ্ছু বুঝতে পারছিলো না। হতভম্ব ভাবটা কাটার পর প্রথম যে কথাটা সে বলেছিল তা হলো, এত কিছু হয়ে গেছে আর তুই আমাকে এখন জানাচ্ছিস?

কুয়াশা মাথা নীচু করে বলেছিল, জানাইনি কারন গত এক বছর আমরা দুজন এক-ই অফিসে চাকরী করছি। তুই আর আমি আমরা দুজনই রায়হান ভাইকে আগে থেকে চিনি। সে আমাদের ক্যাম্পাসের সিনিয়র ভাই ছিল। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রোগ্রামে তার সাথে আমাদের দেখা হয়েছে। তার সাথে আমাদের একটা ভালো সম্পর্ক ছিলো। ইন ফ্যাক্ট সে-ই আমাদের দুজনকে এই অফিসে চাকরি করার সুযোগ করে দিয়েছে। শুরুতে ভেবেছিলাম আমি বোধহয় ভুল ভাবছি। যখন তখন গায়ে হাত রেখে কুশল বিনিময় করা, যে কোনো অকেশনে অভিনন্দন জানানোর অজুহাতে কাছাকাছি আসার চেষ্টা করা এগুলো বোধহয় আজকালকার সো কলড্ ফ্যাশন। তারপরেও আমি একদিন রায়হান ভাইকে সরাসরি জানিয়েছিলাম, এসব আমার পছন্দ নয়। উনি যেন আমার সাথে এই ধরনের আচরন না করেন। তা না হলে আমি এইচ আর ডিপার্টমেন্টকে জানাতে বাধ্য হব। আমার কথা শুনে কিনা জানি না, কিছু দিন সে আমার কাছ থেকে বেশ দুরত্ব বজায় রেখে চলেছিল। আমিও ভেবেছিলাম, ব্যাপারটা বোধহয় এখানেই শেষ হয়ে গেছে। শুধু শুধু তোকে জানিয়ে ব্যাপারটাকে আর ঘোলা করার দরকার নেই। আমি জানতাম এসব জানলে, তুই এখানে আর চাকরি করতে চাইবি না। আমার কারনে তোকে আমি শুধু শুধু ঝামেলায় ফেলতে চাইনি। তাছাড়া আমি ভেবেছিলাম, সবাই তো খারাপ না। শুধু রায়হান ভাইয়ের মতো দু একজন খারাপ মানুষের জন্য নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দেয়ার কোনো মানে হয় না। তবে আমি যে ভুল ভেবেছিলাম, কাল রাতে তার খুব ভয়ঙ্কর প্রমান পেলাম। গতকাল তুই অফিস থেকে আমার আগে বের হয়ে গেলি। তোর পিচ্চি ভাগনিটার জন্মদিন ছিল। কথা ছিল অফিস শেষে আমি তোকে জয়েন করবো। পাঁচটা বেজে গেল। প্রায় সবাই অফিস থেকে বের হয়ে গেল। অফিস মোটামুটি খালি ছিল বলা চলে শুধু দুই একজন কর্মকর্তা, কর্মচারী ছাড়া। আমিও আর দুই তিন মিনিটের মধ্যে বের হয়ে যাব এর মাঝে রায়হান ভাই আমার হাতে বিশাল একটা ফাইল ধরিয়ে দিল। বলল, আজকের মধ্যেই এই কাজটা আমাকে শেষ করতে হবে। রায়হান ভাইকে আমি তোর কথা বললাম। জানালাম, আজ তোদের বাসায় আমার যেতে হবে। সে বলল, তার-ও নাকি তোদের বাসায় ইনভাইটেশন আছে। সে-ও অফিসের কাজগুলো শেষ করে তোদের ওখানে যাবে। আমি চাইলে তার সাথে যেতে পারি। তবে যাবার আগে কাজগুলো শেষ করতে হবে। আমি কাজে লেগে পড়লাম। কাজের মাঝে কখন যে সাতটা বেজে গেল টের-ই পাইনি। এর মাঝে রায়হান ভাই এসে আমাকে এক কাপ কফি দিয়ে গেল। আমি কফিটা শেষ করলাম। কফিটা শেষ করার কিছুক্ষণ পর কী যে হলো আমার, ভীষণ ঘুম পেয়ে গেল, মাথাটা ভারী ভারী লাগলো। এরপর আমার আর কিছু মনে নেই। যখন ঘুম ভাঙলো তখন রাত নয়টা বাজে। আমার তখন খুব বাজে অবস্থা। মাথার ভিতর দপদপ করছে, চোখ ভীষণ জ্বালা করছে আর ভারী ভারী লাগছে। রায়হান ভাই তখনো অফিসে ছিল। আমি তাকে অসুস্থতার কথা বলে বাড়ি চলে এলাম। তোকেও মেসেজ করে আমার শরীর খারাপের কথা জানালাম। তুই আমাকে বাসায় যেয়ে রেস্ট নিতে বললি। সেই সময় আমার শরীরের নীচের দিকে ভীষণ অস্বস্তি আর ব্যথা হচ্ছিল। কেন এমন হচ্ছিল বুঝতে পারছিলাম না। বাসায় যাওয়ার পর যখন বাথরুমে গেলাম তখন বুঝতে পারলাম। আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। কী করব কিচ্ছু বুঝতে পারছিলাম না। কিছুক্ষণ চিন্তার পরে, আদনান ভাইকে একটা ফোন করলাম। সব শুনে সে বলল, যা হয়েছে আমি যেন তা ভুলে যাই। ফোনটা রেখে অনেকক্ষন চীৎকার করে কাঁদলাম। রাতটা আমার কীভাবে কেটেছে আমি জানি না। সকাল হতেই আমি তোকে ফোন করলাম।

একসাথে এতগুলো কথা বলে কুয়াশা হাঁপাচ্ছিল। আদনান কুয়াশার হাতে এক গ্লাস পানি দিয়ে শক্ত গলায় বলেছিল, আমি রায়হানকে এত সহজে ছাড়ব না। আমি খুন করব রায়হানকে। আমি ওকে শেষ করে ফেলব।
কুয়াশা কাঁদতে কাঁদতে ভাঙা গলায় বলেছিল, এসব বলে কোনো লাভ নেই আদনান। রাগের মাথায় নেয়া কোনো সিদ্ধান্ত ঠিক হয় না। কাল রাতে আমি অনেক ভেবেছি। অনেক ভাবনার পর একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
—কী সিদ্ধান্ত?
—আমি রায়হান ভাইয়ের নামে কেস করব।
—তুই কী বলছিস কুয়াশা? তোর মাথা ঠিক আছে। তুই জানিস এর পর তোর কী হবে? রায়হানকে নিয়ে কারো মাথাব্যথা থাক্ কিংবা না থাক্ তোকে নিয়ে সবার মাথা ব্যথা থাকবে। সবাই তোর চরিত্রের দিকে আঙ্গুল তুলবে, সবাই তোকে নিয়ে কটু কথা বলবে। এমনটা হলেও আমি অবাক হবো না যে, সবাই বলবে রায়হান নয়, বরং তুই রায়হানকে মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়ে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছিস।
—আমি জানি আদনান। তবে এসবে আমার এখন আর কোনো যায় আসে না।
—তোর বাসার সবাই জানে?
—হুম জানে।
—তারা কী বলছেন?
—তোর কথাগুলোয় বললেন। শুধু তাই নয়, আমার বাবা মা তো তোকেও ব্যাপারটা জানাতে নিষেধ করেছিলেন। বলেছিলেন, ভালোমত ফ্রেস গোসল দিয়ে আমি যেন একটা ঘুম দেই। আমার আর চাকরি করার দরকার নেই। কিছুদিনের মধ্যে তোর সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিবেন। তারপর নাকি আমার জীবন আবার আগের মত হয়ে যাবে। কী অবস্থা চিন্তা কর! নিজের বাবা মা-ই যদি মেয়ের কষ্ট না বোঝেন!
—এভাবে বলছিস কেন? তোর বাবা মা তো তোর ভালোর জন্যই এগুলো বলেছেন, তাই না?
—আচ্ছা আদনান আমি কী ক্রিমিনাল? আমি কী কোনো ক্রাইম করেছি যে আমি চাকরি ছাড়বো? সত্য গোপন করে ভুলিয়ে ভালিয়ে তোকে বিয়ে করব? তোকে কী আমার এমন মেয়ে মনে হয়?
—তুই ভুল ভাবছিস কুয়াশা। আমরা তোকে এমন ভাবছি না। কী করবো বল, আমাদের সমাজটাই এমন। এই ধরবের কেসে মেয়েদের চরিত্রের দিকে সবাই আঙ্গুল তোলে। সবাই মেয়েদের ভুল বোঝে।
—বুঝুক। তবুও আমি এত সহজে এত বড় অন্যায় মেনে নিব না আদনান। তুই একবার ভাব্ কতটা উদ্ধত হলে, কতটা বেপরোয়া হলে একজন পুরুষ কলিগ তার মহিলা কলিগের সাথে এমন আচরণ করতে পারে। সে ধরেই নিয়েছে আমি টু শব্দটি করব না। চাকরীর ভয়ে, সম্মান হারানোর ভয়ে, তোকে হারানোর ভয়ে আমি সব বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকব। আজ আমি যদি চুপ করে থাকি তাহলে রায়হান ভাইয়ের সাহস আরো বেড়ে যাবে। এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা সে ঘটাতেই থাকবে। কী জানি হয়তো এর আগেও সে ঘটিয়েছে। আর আজ আমি যদি মাথা তুলে দাঁড়াই তাহলে শুধু এই রায়হান কেন, সব রায়হান এই ধরনের কাজ করার আগে একশ বার ভাববে। অনেক কুয়াশার আবার নতুন করে জন্ম হবে। এক সময় না এক সময় আমাদের সমাজের চিন্তা ধারার ঠিকই পরিবর্তন ঘটবে। কাউকে না কাউকে তো শুরু করতেই হবে আদনান।
আদনান চুপ করে ছিল। একদিকে তার কুয়াশার সিদ্ধান্ত সঠিক মনে হচ্ছে অন্যদিকে এরপর কুয়াশার সাথে যা যা ঘটবে সেগুলো মনে হলেই সব ভুলে পিছিয়ে যেতে মন চাইছে। তাছাড়া তার বাবা মার কানে এই ঘটনা গেলে তারা কি আর কুয়াশাকে নিজের একমাত্র পুত্রের পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে চাইবেন?
কুয়াশা বোধহয় সেই সময় আদনানের মনের কথা বুঝতে পেরেছিল। সে আদনানের মুখের দিকে তাকিয়ে স্পষ্ট গলায় বলেছিল, আদনান আজ আমি তোকে আমাদের সম্পর্ক থেকে মুক্তি দিলাম। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আমি খুব ভালোভাবেই জানতাম, আমার সাথে তোর নিজের ব্যক্তিগত জীবনও জড়িয়ে যাবে। আমার কারনে আমি তোর জীবনটাকে জটিলতার মধ্যে ফেলতে পারি না।

আদনান ভাই আমরা রমনা থানায় চলে এসেছি।
ড্রাইভারের গলায় আদনানের চিন্তার রেশ কাটলো। সে দেখলো, তাদের গাড়ী ইতিমধ্যে রমনা থানায় চলে এসেছে। কুয়াশাও গাড়ী থেকে নেমে যাচ্ছে। আদনান ড্রাইভারকে বাইরে দাঁড়াতে বলে কুয়াশার একটা হাত ধরে বললো, কুয়াশা একটু বস্। তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে। কিছুক্ষণ আগে তুই বাড়িতে আমাকে আমাদের সম্পর্ক থেকে মুক্ত করার কথা বলছিলি। তখন আমি কিছু বলিনি। সেই সময় মনে হয়েছিল, তোর কথার পৃষ্ঠে জবাব দেয়ার চেয়েও তখন তোর বাবা মাকে পুরো সিচুয়েশনটা বোঝানো আমার জন্য বেশী জরুরি। তাদের আমি বোঝাতে পেরেছি। তারা অনেক ভেঙে পড়েছেন একথা সত্য, তবে আমার বিশ্বাস খুব শীঘ্রই তারা নিজেদের সামলে নিবেন। এখন আমার কথা বলি। জানি, এরপর আমার পরিবার হয়তো অনেক ঝামেলা করবেন। তোকে সহজে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে চাইবেন না। তাই আমাদের কবে বিয়ে হবে, কবে আমরা আবার সহজ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাব সেটা আমি জানি না। শুধু এইটুকু জানি, এই মুহুর্তে তোর একজন বন্ধুর প্রয়োজন, একজন বিশ্বস্ত সঙ্গীর প্রয়োজন। তাই একজন বন্ধু হিসেবে এই সময় আমি তোর পাশে থাকতে চাই। তোর হাতে হাত রেখে একজন বিশ্বস্ত সঙ্গীর মতো তোর এই যুদ্ধে তোর সাথে সামিল হতে চাই।
কুয়াশা মুখে কিছু বলল না। তবে এত কষ্টের মাঝেও তার মনে হলো, এই পৃথিবীতে বোধহয় রায়হানদের চেয়ে আদনানের মত মানুষের সংখ্যা এখনো অনেক বেশী। আর এই কারণেই হয়তো এই পৃথিবীতে এখনো ভালোবেসে বেঁচে থাকা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *