ঈদ সংখ্যা ২০২১-এর ছোটগল্প ।। আমি আসছি।। ইসরাত জাহান

ইমিগ্রেশন, বোডিং পাস সহ প্রয়োজনীয় সব কাজ সেরে তনুকা একটু দম নিতে যখনই
চেয়ারটায় এসে বসে, তখনই জয়ন্তর ফোন ।
-তনু আমার পার্পেল সিলভার স্টার দেয় টাইটা কোথায়?
-তোমার আলমারিতে।
-সেখানে খুঁজেছি, পাচ্ছিনা। কোথায় রেখেছো মনে করে বলো।
-জয়, আমার ঠিক মনে পড়ছেনা। তুমি একটু খুঁজে নাও।
-প্লিজ একটু মনে করে বলো, আমার খোঁজার সময় নেই।
-আমি মনে করতে পারবোনা, আর এখন এই টাই নিয়ে ভাবার বা চিন্তা করার সময়
আমার নেই। ফোন রাখলাম।
ফোন রাখার পরপরই তনুকা এনাউন্সমেন্টা শুনতে পায়, ঘন কুয়াসার কারনে প্লেন দেড়
ঘন্টা ডিলে হবে। টেক – অফ করতে পারছেনা। সময়টা দেখে, কোলকাতায় এখন সকাল
৮টা ১৪ মিনিট। প্লেন ছাড়ার সময় ছিলো ৮টা ৩০ মিনিটে। ঢাকায় এখন ৮টা ৪৪ মিনিট।
তনুকা ভেবে ছিলো বেলা ১২টার ভিতরে ঝিকাতলার বাসায় পৌঁছাতে পারবে। এখন যদি
দেড় ঘন্টা দেরী হয় তাহলে আজ ওর পুপাইয়ের কাছে পৌঁছতে নির্ঘাত দুপুর গড়িয়ে
বিকেলও হতে পারে। ঢাকায় আজকাল বড্ড বেশ জ্যাম।
পুপাই তনুকার ছেলে, কয়দিন পরেই এ- লেভেল পরীক্ষা দেবে। মা আর ছেলে মিলে ঠিক
করেছে পরীক্ষা শেষ হলে দুজনে মিলে অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে যাবো। ও-লেভেল পরীক্ষার
পরে পুপাইকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়া ঘুরে এসেছিলো। ইন্দোনেশিয়ার কথা মনে পড়তেই
তুনকা নিজের মনে একটু হেসে ফেলে। যদিও ওর ভেতরে অজানা, অন্যরকম ঝড় বয়ে
যাচ্ছে। ছেলে সেবার ওকে জোড় করে লুয়ার্ক কফি খাইয়ে ছিলো। প্রথমে খেতে চায়নি।
পরে পুপাইয়ের অনেক জোড়জোড়ির কারনে খেতে বাধ্য হয়। কফির কথা মনে পড়তেই
তুনকা কফি কেনার জন্য উঠে দাড়ায়।
গতকাল তনুকা অফিস থেকে একটু আগেই ফেরে। মোদি সরকারের নাগরিকত্ব আইন ও
এনআরসি নিয়ে সারাদেশে কোথায় কি হচ্ছে তাই দেখছিলো রাতের খাবার খেতে খেতে।
জয়ন্ত তখনও বাসায় ফেরেনি। নতুন এক প্রডাক্ট লঞ্চিংয়ের প্রোগ্রাম নিয়ে
মিটিংয়ে ব্যস্ত। ইকবাল তখন বাংলাদেশ থেকে ফোন করে পুপাইয়ের মোবাইল থেকে।
তাড়াতাড়ি ওকে ঢাকায় ফিরতে বলে।
অনেকদিন পরে ইকবালের কণ্ঠ শুনে তুনকা কিছুক্ষন চুপ করে থাকে, আওয়াজ বের
হয়না কোন। কিছু সময় পরে শুধু বলে,
─কি হয়েছে? পুপাই ভালো আছে?
─তোমার আসা দরকার, প্লিজ এসো।
চিরচেনা দৃঢ় ইকবালের কণ্ঠটা কেমন যেন আর্দ্র লাগে ওর। অবশ্য এটা অভিনয় ও
হতে পারে। ওই ব্যাপারে তিনি বেশ পার্রদশী।
তনুকা সাথে সাথে জয়ন্তকে মেসেজ করে,
আমাকে ঢাকায় যেতে হবে আগামীকালের টিকিট ম্যানেজ করো প্লিজ;
কফি নিয়ে দ্রুত হেঁটে আসার সময় কফির ওয়ান টাইম ইউজের কাপটা ওর হাত থেকে
পড়ে যায়। তনুকার শরীরটা কেমন যেন গুলিয়ে উঠে সেইসময়টায়। মাথাটা ঝিমঝিম করতে
থাকে। আস্তে আস্তে হেঁটে এসে পাশের চেয়ারটায় বসে পড়ে। চোখটা বন্ধ করে চেয়ারে
এলিয়ে দেয় শরীরটা। জয়ন্তকে ফোন করতে গিয়ে আবার ফোনটা ব্যাগে রেখে, তাকায়
ডিসপ্লের দিকে। এখনও ওর ফ্লাইটের পাশে ডিলে লেখাটা উঠে আছে। বিমানবন্দরের
কাঁচের দেয়ালের বাহিরে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে, যেন মনে হচ্ছে পুরো এলাকাটা সাদা
চাদরে মোড়ানো। বিমান ছাড়াতে দেরী হবে সেটা তনুকা বেশ বুঝতে পারে। কিন্তু বুকের
ভিতরের হৃদয় নামক বস্তুটি একটু পরপর মোচড় দিয়ে উঠে। একবার ইকবালকে কল
করতে ইচ্ছে করে, পরে এক অজানা আশংকায় কলটা করতে পারেনা।
তনুকা ব্যানার্জী কোলকাতার মেয়ে, বেড়ে উঠা লেখাপড়া সব এখানেই। পুনে
ইউনিভার্সিটি পড়তে গিয়েছিলো আর্কিটেকচার। সেখানেই পরিচয় ইকবালের সাথে, ওরা
একই ডিপার্টমেন্টের, তবে ইকবাল ওর সিনিয়ার ছিলো। মাঝেমধ্যে পড়াশুনা ডিসকাস
করতে করতে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ডিসিশন নিয়ে ফেলে ওরা বড়দের মতামত
ছাড়াই। যার কারনে তনুকাকে বাড়ীঘর সব ছেড়ে বাংলাদেশে চলে যেতে হয় স্বামী
ইকবালের সাথে। ওরা বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে করে। তুনকা আর ইকবাল যে যার ধর্ম
পালন করতো। বাংলাদেশে আসার পরে তনুকার ইকবালের পরিবারে জায়গা হয়না। দুজনে
আলাদা বাসা নিয়ে চাকরী আর ঘরসংসার শুরু করে। ভালোই কাটতে থাকে তনুকার
বাংলাদেশের জীবন। নতুন এক বির্ল্ডাস কোম্পানীতে চাকরী জুটে যায় ওর । ইকবাল
বাবার কোম্পানীতে জয়েন করে। ইকবালের বাবা ছেলের বউকে মেনে নিতে না পারলেও
ছেলেকে হাত ছাড় করেনা। সময়ের পরিক্রমায় স্বাধীনচেতা তনুকা ধীরে ধীরে সংসারের
বলয় আবদ্ধ হতে থাকে। বিয়ের তিন বছর পরে পুপাইয়ের জন্ম হয়।শশুড়বাড়ীতে ধীরে
ধীরে ওর যাতায়াত বাড়তে থাকে। সেই সময়টা তুনকার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়
ছিলো। হঠাৎ কোলকাতা থেকে বাবার মৃত্যু খবর শুনে ছুটে যায় ওদের বেলেঘাটা গুরুসদয়
রোডের বাড়ীতে। মা,ভাই সবাই ওর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তবে সেই মুহুর্তে
কোলকাতা থেকে ওর ফিরে আসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বাবার রেখে যাওয়া চিঠি ও
কিছু দায়িত্ব। পৈত্রিক প্রিন্টিং প্রেসের দায়িত্ব ওর উপর দিয়ে যায়। যেখানে তনুকা
পুরোপুরি অনভিজ্ঞ। ঢাল হয়ে পাশে এগিয়ে আসে ওদের বিশ্বস্ত ম্যানেজার কানু লাল
কাকা। বাবার শ্রাদ্ধ সেরে বাংলাদেশ ফিরে আসে । পুপাইকে স্কুলে ভর্তি করায়।
মাঝেমাঝে ছেলেকে স্বামীর কাছে রেখে কোলকাতায় গিয়ে কাজকর্ম তদারকি করে
আসতো তনুকা।
আস্তে আস্তে মায়ের সাথে আন্তরিকতা ভাইয়ের সাথে বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে। ওই যে
কথায় আছেনা, নদীর একূল ভাঙে তো ওকূল গড়ে। তনুকার জীবনেও সেটা বাস্তব রূপে
দেখা যায়। ইকবালের সাথে মনমালিন্য, দুরত্ব দিনেদিনে বাড়তে থাকে , বেশী বেশী
কোলকাতা আসা যাওয়ার কারনে। একদিন চুড়ান্ত লেভেলের ঝগড়া করে তনুকা
কোলকাতায় ফিরে আসে পুপাইকে নিয়ে। একজনের রাগ আর অন্যজনের অভিমান তাদের
আর একছাদের নিচে এনে দাঁড় করাতে পারেনা পুপাই থাক স্বত্বেও। ছেলেকে নিয়ে নতুন
জীবন শুরু করে কোলকাতায়।
ইকবাল বাবার পছন্দের মেয়ের সাথে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে। স্বামীর
দ্বিতীয় বিয়ের কথা শুনে তনুকা যতোটা না অবাক হয়, তারচেয়েও বেশী কষ্ট পায়, এই
শুনে যে এই বিয়েটা ইকবাল সম্পুর্ন নিজের পছন্দে করেছে। ওর বাবার পছন্দ ওটা
পুরোপুরি মিথ্যা বানোয়াট। কারনে ইকবাল ওকে ফোনে জানিয়ে ছিলো, বাবা জোড় করে
ওকে বিয়ে করাচ্ছে। তনুকার ছেলেকে নিয়ে মা আর ভাইয়ের সাথে নতুন সংসার গড়ে উঠে
কোলকাতায়। ছেলেকে নতুন স্কুলে ভর্তি করায়, সময়টা তার নিত্যদিনের কাজ
ঠিকঠাক মতো করে ক্যালেন্ডারের পাতাকে উল্টাতে থাকে ধীরে ধীরে। তনুকা ওদের
প্রিন্টিং প্রেসের ব্যাবসাটা সামলে নতুন অ্যাড এজেন্সি খুলে বসে বন্ধুর ছোট ভাই
জয়ন্তর সাথে।
তুনকার ফোনটা রিং হয় কয়েকবার, অন্যমনস্কতার কারনে ফোনটা ধরতে দেরী হয়ে
যায়, যথারীতি ফোনটা কেটে যায়। কল লিস্টে গিয়ে দেখে পুপাইয়ের ফোন থেকে ফোন
এসেছে। তনুকা ফোন ব্যাক করে।
─হ্যালো ফোন করেছিলে?
─জি, আপনার প্লেন কি ডিলে হবে?
─কে বলছেন?
─আমি সোনিয়া।
─জি ,প্লেন দেড় ঘন্টা ডিলে হবে বলেছে। তাও তো অনেক সময় হয়ে গেলো। পুপাইয়ের
কি হয়েছে? আমাকে একটু বলবেন।
─তেমন কিছু না, খেলতে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছিলো। মাকে দেখতে চাচ্ছে, তাই আপনাকে
আসতে বলছি।
─আমাকে বলেছিলো ওর ম্যাচ আছে। ওকে ফোনটা দেয়া যাবে?
─ডাক্তার ফোন এলাউ করছেনা কেবিনে। আপনি আসুন।
এই বলে ফোনটা রাখে দেয় ইকবালের স্ত্রী। আজই প্রথম কথা হলো ওদের। ওখান
থেকে চলে আসার পরে তুনকা কখনোই ইকবাল বা ওদের পরিবারের কারো সাথে
যোগাযোগ রাখেনি।পুপাইয়ের কাছেই সব খবরাখবর জানতো।
তনুকা ছেলেকে কখনো কোল ছাড়া করতে চায়নি। বাংলাদেশ ছেড়ে আসের সময় ছেলের
বাবা একবারের জন্যও সন্তানেকে নিজের কাছে রাখার ব্যাপারে কোনপ্রকার জোড়াজুড়ি
করেনা। পুরোপুরি স্বাধীন হৃদয়ে ছেলের দায়িত্ব তনুকাকে দিয়ে দেয়। কিন্তু পুপাই যখন
ক্লাস সেভেনে পড়ে তখন থেকে ছেলেকে নিয়ে ঘোরাঘুরি শুরু করে কিছুদিন পরপর। এর
পরের বছরে ছেলেকে নিজের কাছে নেবার জন্য দেনদরবার শুরু করে। প্রথমে ভদ্রভাষায়
রিকোয়েস্ট, পরে পুরোপুরি চাপা দেয় শুরু করে। তুনকা প্রথমে রাজী হয়না, পরে ছেলের
আগ্রহের কাছে হার মেনে নেয়। রক্তের টান অনেক সময় নাড়ীর টানকে উপেক্ষা করে।
ছেলে একটু বড় হবার পরে মায়ের সাথে প্রায় ব্যাপারে মতের অমিল হতে শুরু করে।
বাবার কাছে অফুরন্ত স্বাধীনতা, যখন তখন ইচ্ছেপূরন, সব ব্যাপারে হ্যাঁ-বাচক
শব্দের কারনে পুপাই ওর থেকে বাবাকেই বেশী পছন্দ করা শুরু করে। বাংলাদেশে চলে
যাবার আরো একটা কারন ছিলো, সেটা হলো তুনকার নতুন করে স্বপ্ন দেখা।
পুরোনো কথা আবার মনে পড়ে ওর। পুপাই যেদিন ওকে ছেড়ে বাংলাদেশ চলে আসে,
সেইদিন তনুকা ছেলেকে ছাড়তে এয়ারপোর্টে যায়না। ছেলের উপর প্রচন্ড রাগ হয়েছিলো
ওর। কানু লাল কাকাকে দিয়ে পাঠিয়ে দেয়, যেখানে ছেলের বাবা অপেক্ষা করছিলো।
জয়ন্তকে সাথে নিতে বলেছিলো তনুকা, পুপাই রাজি হয়না।ওর কোলকাতা ছেড়ে আসার
জন্য জয়ন্ত সাথে ওর সম্পর্ক অনেক অংশে দায়ী। অনেকটা কাল একা চলতে চলতে
তনুকা হঠাৎ করে জয়ন্তকে নিয়ে নতুন করে ভাবনা শুরু করে । যা পুপাই মেনে নিতে
পারেনা। মাকে কখনো সরাসরি কিছু বলেনা, তবে আচার-আচরণে সেটা বোঝাবার চেষ্টা
করে। তনুকা বুঝেও না বোঝার ভান করে। ওর বিশ্বাস ছিলো হয়তো সময়ের সাথে সাথে
পুপাই জয়ন্তকে মেনে নেবে। কিন্তু পুপাই মায়ের সব বিশ্বাস ভেঙে বাবার কাছেই ফিরে
যায়। তনুকা এখন একটি এ্যাড এজেন্সি কোম্পানির ডিরেক্টর। তবে পুরোটা মোটামুটি
জয়ন্তই দেখে।
এনাউন্সমেন্ট শুনে তনুকার ভাবনায় ছেদ পড়ে। বিজি -৯২ এর যাত্রীদের নয় নম্বর
গেটে যেতে বলা হচ্ছে। এনাউন্সমেন্টা শুনে মোটামুটি ছুটে গিয়ে প্রথম সারিতে দাঁড়াবার
চেষ্টা করে।
অবশেষে তনুকা কোলকাতার মাটিকে বিদায় জানিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা
দেয়।ফোনটা বন্ধ করার আগে, পুপাইকে মেসেজ পাঠায়,
বাবাই আমি আসছি
ওকে এয়ারপোর্টে নিতে আসে পুপাইয়ের ফুপা শরীফ। এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি নিয়ে
যাওয়া হয় ল্যাবএইড হাসপাতালে। সবার মুখের প্রতিচ্ছায়া ওর অজানা আশংকাটাকে
আরো জোড়ালো করে দেয়। তবে মনকে বোঝায় হাসপাতাল তো আনন্দের জায়গা না তাই
হয়তো সবার মন খারাপ। মায়ের মনে শূন্যতা তৈরী হয়।
ইকবালকে খুঁজে পায় অনেকের ভীড়ে।চোখে চোখ পড়তেই চোখ নামিয়ে নেয় ইকবাল। বসে
পড়ে ফ্লোরে তনুকাকে দেখে।
─পুপাইয়ের কাছে যাবো ইকবাল, ছেলের কাছে নিয়ে চলো।
─তুমি বাসায় যাও, আমি পুপাইকে নিয়ে আসছি।
─কেন বাসায় যাবো? আমি ওকে নিয়ে যাবো।জন্মের পরে ওকে নীল তোয়ালে মুড়িয়ে
আমার কাছে এনেছিলে। মনে আছে তোমার? আজ তুমি সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে আনবে না
তো?

ইকবাল আর কথা বলতে পারেনা, চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। ওর কান্নায় পুরো
হাসপাতাল কেঁপে উঠে। তুনকা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। অনেক মান, অভিমান,
তিক্ততার কারনে আলাদা হয়ে যাওয়া দুজন মানুষ আজ নিজের মাঝে একাকার হয়ে যায়।
ভালোবাসার শেষ চিহ্নের স্মৃতি খুঁজে পেত।
পুপাইয়ের মোবাইলে ওর মায়ের পাঠানে মেসেজটা ঠিকই আসে,
বাবাই আমি আসছি
তবে পুপাইয়ের আর সেটা পড়া হয়ে ওঠেনা। ক্রিকেট খেলতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে
তিনদিন কোমায় থাকার পরে, না ফেরার দেশে চলে যায় ।পৃথিবীতে রেখে যায় ওর অনেক
ইচ্ছে, গল্প, আর বাবা মায়ের প্রতি অব্যক্ত অভিমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *