কাব্যশীলন

কাব্যশীলন

বিজ্ঞান কল্পকাহিনি।। ইলাবৃত।। কমলেশ রায়।। পর্ব বিশ

বিশ. দরজা খুলে চমকে গেলেন ডা. অমিয়। বিশ্বাস হচ্ছে না। নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছে না। এ কাকে দেখছেন তিনি? এটা

Read More
কবিতাকাব্যশীলন

মেঘের ছাউনি ও অন্যান্য কবিতা / জিন্নাত আরা রোজী

এই নিরালাতে তাঁরা ঝলমল এই জ্যোৎস্না রাতেএসো বসি দু’জন নিরিবিলিতে–বলাকা মন কত কথা চায় বলতে ও শুনতে।তাই অপূর্ণ গোপন ইচ্ছে

Read More
উপন্যাসকাব্যশীলন

উপন্যাস।। ছায়াপথ।। মোজাম্মেল হক নিয়োগী।। ১১ম পর্ব

অন্তর্দৃষ্টিকে তীক্ষ্ণ করার জন্য অনুভূতিই যথেষ্ট কী বল তুমি? হোমার কিংবা মিলটন ওঁরা তো কোনোমতে যদি কবিতাটা ছাপে তাহলেই হলো।

Read More
কাব্যশীলন

গদ্য।। নতুনধারা, কেন কিভাবে ।। ফারুক আফিনদী

নতুনধারা ব্যক্তি নয়, ব্যাপকভাবে ব্যক্তিদলের নিবিড় জীবনঘনিষ্ট। ব্যক্তি সেখানে সাড়ামাত্র। অনুঘটক। সাহিত্যে এ অনুঘটনের ব্যাপার একেবারেই নতুন নয় কিন্তু সেটা অনেকটাই সরল, সুসমঞ্জস ও সংযত গোছের। এই চিরন্তনতা সবসময় সুগন্ধী রূপে এসে হাজির হয় না। এর ঘেয়েমির একটা গন্ধও থাকে। সময় সে গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে চায়। সেজন্য বুঝি সে তৈরি করে নিচ্ছে নতুনধারা। নতুনধারায় শিল্পক্রিয়া-বিক্রিয়ার মধ্যে ব্যক্তির একক অস্তিত্বের বদলে সামাজিক গঠন- সংগঠনের  রূপে স্বক্রিয় সমাবেশ ঘটে। এভাবে কাব্যমূল থেকে বহুকাব্য ছড়িয়ে পড়ে, গোলাপ যেমন, অথবা রক্তজবা, অথবা টর্চ লাইট, হ্যাজাক। আরো ঘরোয়া করে বললে ঝর্নার কল। জলের ক্রিয়াটা ভেবে নিক শতজন, সহস্রজন, কোটি মানুষ। নতুনধারা সেই ক্রিয়াটা নিয়ে তীক্ষ্ণভাবে কাজ করে চলেছে। নতুনধারা কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত কবিতা। কবি ফাহিম ফিরোজের হাতধরে মোড় ঘোরানো ধারার কবিতার দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো প্রমিত ও আঞ্চলিক ভাষার মিলন।নতুনধারা বলতে চায়, গণমানুষের মুখের ভাষই মূল ভাষাএ ভাষায় কথা বলাতে পারলেই হৃদয়ের দিক থেকে ইটসুড়কিতলার মানুষগুলোকে কাঠখড়তর মানুষগুলোর কাছাকাছি নিয়ে আসা যায় এবং এটা সমৃদ্ধির সোপান তৈরির জন্য অনিবার্য। হাজার বছরের বাংলা কবিতায় অনুপস্থিত সামাজিক সম্বন্ধের প্রভাব আমাদের নতুনভাবে জীবনঘনিষ্টতা এবং শেকড়ের অন্বেষার পথ দেখাবে নতুনধারা, এটা ব্রতসম। ভাষাগত দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য ছাড়াও নতুনধারার চিন্তনভিত্তিক (আদর্শ) কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সম্পদ, রাজনীতি, ধর্মরাগ-ধর্মবিরাগ ইত্যাদি বিষয়ে প্রচল পুরানা আধুনিকতা থেকে নতুনতর করে বিবেচনা করছে নতুনধারা। পুঁজি ও অপুঁজির যে বিরোধ, নতুনধারা সেটা ভেঙে সন্ধি স্থাপনে আগ্রহী। সংঘাতঘন বিশ্বে শান্তির ফাগুনি বাতাস বইয়ে দিতে এটাই সহজ পথ মনে করে নতুনধারা। আর, খুব সহজভাবে বলা যেতে পারে- স্বীকৃত শিক্ষিত ভদ্রজনদের ভাষার সঙ্গে প্রান্ত তথা অন্তঃশ্রেণি তথা মাটির ভাষার মিলন ঘটিয়ে একটি কার্যকর ‘মানুষসমাজ’ তৈরি করাই নতুনধারার লক্ষ্য ও শ্রেষ্ঠাংশের লক্ষণ, যার মণিরূপ হলো সম্বন্ধ বা আত্মীয়বাচক শব্দের উল্লেখযোগ্য প্রয়োগ। ভাষা, বিষয় [সকিনা বু, সুন্দর আলী মামু, বন্ধু ভুবন শেখ প্রমুখকে] ক. শুধু কথ্য ভাষায় লেখা নতুনধারার সাহিত্য নয়। নতুনধারার কবিতার প্রধান মুখবৈশিষ্ট্য লেখ্য/প্রমিত ও কথ্য/আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রণ। একে মিশ্রণ বললেই চলবে না। বরং বলা হবে ‘মিলন’। মিলন যেমন আনন্দ-স্বস্তি-শান্তিকর তেমনই নতুন ভাষার এ নান্দনিক কাজ। এ মিলনসৌন্দর্যের মধ্যদিয়ে কেন্দ্রীয় গোষ্ঠীর মনোকাঠামোতে প্রান্তীয় জনগোষ্ঠীর সংগ্রাম, সাহজ্য (সহজের ভাব-স্বভাব), জীবনাচার একটা দাগ কেটে যাক-নতুনধারা সেটা দেখতে চায়। নতুন এ ভাষা কেবল কবিতার মাধ্যম হিসেবেই দেখা দেয় না, মিলনটা একটা শিল্পরূপে হাজির হয়। আর অবশ্যই, যতটা সহজ মনে করা হবে এ জনভাষা তৈরি, ততটা সহজ-সাবলীল নয়, একদমই নয়। নতুনধারার সৌন্দর্যটা এখানেই। শক্তিটা এখানেই। শিল্পটাও। খ. নতুনধারার ভাষার মিশ্রণটা হতে হয় এমন যে তা লেখ্য নাকি কথ্য তা চটজলদি নির্ণয় করতে পারবে না মন। এই ভাষার ক্ষেত্রে কানকে সবচে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়। কানে যদি কথ্যের টান লাগে তবে সেটা কথ্যই। নতুনধারার ভাষা লেখ্য নয় কথ্য নয়, হতে হয় মধ্যবর্তী একটা প্রাণভাষা। এখানে কেন্দ্র ও প্রান্তের ভাগটা থাকবে সমান। ১. শুধু কথ্য/আঞ্চলিক কিংবা ১০ লাইন কথ্য/আঞ্চলিক লেখার পর ১০ লাইন প্রমিত- নতুনধারা নয়। এ প্রবণতা নতুনধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সাহিত্যের দুর্বৃত্তরা সুযোগ নেবে।

Read More
কাব্যশীলনকাব্যশীলন সংবাদ

বগুড়ায় দুই দিনব্যাপী কবি সম্মেলন ও বইমেলার উদ্বোধন

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহি সাহিত্য সংগঠন বগুড়া লেখক চক্রের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার উদ্বোধন করা হয়েছে দুই দিনব্যাপি কবি সম্মেলন ও বইমেলার।

Read More