ঈদসংখ্যার কবিতা।। আয়েশা মুন্নি
বিক্রি হবে….
নীল নয়নের প্রেমিকের পাপে
সাদাকালো ফ্রেমে বাঁধানো
একগুচ্ছ রঙিন ভালোবাসা বিক্রি হবে।
কপোতীর মুক্ত নীলাকাশ
জীবনযাত্রার অক্ষমতা সহ
প্রেমিকের ক্ষতবিক্ষত হৃদয় বিক্রি হবে।
কুড়িয়ে পাওয়া জ্যোৎস্না রাত,
প্রেমকাব্যের আহত পাণ্ডুলিপি,
দিয়াশলাই এর বারুদ আগুন বিক্রি হবে।
নিষিদ্ধ আলিঙ্গন,বিস্তর বিরহ
বেলাভূমির মরিচিকা পথ সহ
প্রেমানলে পোড়া সমস্ত দীর্ঘশ্বাস বিক্রি হবে।
স্পর্শের অস্পষ্ট প্রেম
স্পর্শের অস্পষ্ট প্রেম
তবু অনুভূতি সীমাহীন
জলকেলি প্রথম পলকেই
মোমের মতো ক্ষীণ…।
শশ্মানের কোলাহল
কবরের নীরবতা চোখে ভাসলেই
অজানা আতংক ভয়ে,
তোমাকে দেখি স্মৃতির আয়নায়।
ভাবনার মহাপ্রলয়ে
শারদীয় সংলাপে,
তুমি এসেছিলে বহুবার
বহুপথ হেঁটেছিলাম ভয়ে।
আবার যদি স্পর্শ দাও
অস্পষ্ট সেই প্রেমের
তবে পুড়ে যাবে জলাধার
মোমের মত ক্ষীণ।
ফুল্লশোভন
চোখে অকস্মাৎ নদী ঝাঁপিয়ে পড়লো
এত অসীম জল ধারণে সক্ষমতা রাখে চোখ!
আচ্ছা,অতলান্ত এই জলধারা কোন গভীরে লুকিয়ে রাখা ছিল!
অথচ দৃশ্যমান চোখের গহিনে কি কোন অতলান্ত জলাধার আছে!
কৃষ্ণগহ্বরের মত অসীম অনন্ততায়, আর কে ধারণ করতে পারবে এই জলভান্ডার!
অকল্লোলিত নিপ্রবাহে ভাসমান জল
নিস্তরঙ্গ নদীহীন নদীর বিপুল জলায়তন
সংক্ষোভে সন্দেহে সংস্রব পরিত্যাগ করে দেয়
অচিরাৎ আকাশ্চ্যূত নক্ষত্ররাজি শিউলির মত ঝরঝর।
চোখ ও জলের মেলবন্ধন
আকাশ ও নক্ষত্রের সখ্য সুহাস
জাগতিক ও বিমূর্ততার সহাবস্থান
লৌকিক অলৌকিকের সীমানা অচিহ্নন
এভাবেই পরিক্রমমানতার চির ইত্যাবসান।
চোখের ভেতরে
নদীর বিস্তার
সুফলা অমৃত প্রবাহে সে জল অপ্রকাশ বহমান।
জল নদীতে থাক
জল চোখেও থাক
যার যার অবস্থানে ছন্দক্রমে ফুল্লশোভন থাক!