শব্দনীল-এর কবিতা
১
খপ করে, বাতাসে ওড়া শিউলি ধরে
ভাবি, দিবো তোমার খোপায়।
চুরমার করে ভেঙ্গে পড়া কাঁচের মতো
ভাঙ্গবো অভিমান।
কতশত রাত, দিন, ক্ষণের ভাবনা গেড়ে বসতে বসতে
শতাব্দীরর সাক্ষী হয়ে দাঁড়াচ্ছে বটগাছ।
প্রতি তীব্র যোগ-বিয়োগ শেষে
স্বভাবসুলভ হাত নাড়িয়ে, গম্ভীর কণ্ঠে “হায়!” বলার
ভঙ্গির জন্য, আমার “স্বাগত তোমাকে” রাখা।
যে অভ্যাস দিয়েছো গোড়ে, তা তো আর পারছি না ডিঙ্গাতে
কি করে দিবো পারি এটুকু দূরত্ব!
- তোমাকেও বা দিব দোষ কি করে
- ২
খোঁপা খোলার বয়স হতেই, নাইয়রের ঘর বাঁধলা। বুঝলাও না, পুতুল খেলার সংসারে একজন বিক্রি হয়ে গেলো, নাজুক লেবুর পাতায়। যেই এখন নাকের কাছে নেয়, ঘ্রাণ পায়। আলা-ভোলা- তাঁতি- বৃদ্ধ, কার কথা বলো বাদ দিবো!
কুয়ার গভীরতা দেখো, তেষ্টা পাওয়া কন্ঠের প্রশান্তি কেনও দেখো না!
- তালাক
৩
তোমার বারান্দায় বসে বৃষ্টির শব্দে আজান শুনবো, মাগরিবের পেটে হাত রেখে অগোছালো করবো চুল
এবং
মহামান্য জীবনকে বলবো, তুমি সনামধন্য।
- সার্থক
তোমার কোমরে লেগে থাকা,
ক্ষয়প্রাপ্ত দিনের এক চিমটি রোদ্দুর দিও,
দুপুরে পেটপূজা করবো।
- আহার
আমাকে তুমি উড়ন্ত মেঘ দিও,
তৃষ্ণা পেলে চিবিয়ে খাবো।
- স্পর্শ
দাদা আমার কবিগুলোর নাম নিচে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।