ফারা দিবা’র ছড়া
ডাক আনন্দ
তিড়িং বিড়িং
ফড়িং নাচে
ফুর্তি করে বেশ,
হালুম হুলুম
বাঘটি ডাকে
খুশির তো নাই শেষ।
করুণ সুরে
হাম্বা ডেকে
যাচ্ছে ষাঁড় ও গাই,
কেকা বলে
পেখম মেলে
ময়ুর নাচে ধাই।
বৃংহিত ওই
গজের ধ্বনি
এরচে বড়ো নাই,
ডাক জানে না
মানুষ খালি
কী আর করি ভাই!
মাথার মুন্ডু
ঝিং কুড়কুড় নাকুর নাকুর
ছাতার নিচে লক্ষী ঠাকুর
ব্যাঙটা কাশে খ্যাকুর খ্যাকুর
নাচাই তুলে পা
তবলা বাজায় রাম সদরে
ঢ্যাং ঢ্যাঙা ঢ্যাং বাজছে ওরে
বিড়াল মাসি হাসছে জোরে
কোথায় যাবি যা!
ইচিং বিচিং হ্যাবলা ছানা
তুলতুলে ওই থাবা খানা
মিষ্টি খেতে সবার মানা
পলায় খাবি-খা।
মনের সাধে বাজাই ভুঁড়ি
চিন্তা ছেড়ে মারো তুড়ি
যাচ্ছো কোনে! পাকনা বুড়ি
আবোল তাবোল? হা
টুনি এবং রিক্সামামা
এই যে মামা রিক্সা যাবা?
বললো জোরে টুনি
বাজার দিয়ে ঘুরিয়ে নিবা
ভাড়া কতো শুনি।
তিরিশ টাকা! ও বাবাগো
ডাকাত নাকি মামা?
মা বলেছে বিশ টাকা তো
দেবো ঘষে ঝামা।
হুটটা নামাও দিন ভালো না
কয়েচে আপা হানি
কারোর আদেশ পায় ফেলিনা
সবার কথাই মানি
সাহস কতো! পুচকে আমি
শ্যাম্পু সাথে ফিরি
তেরো ঘরের নামতা জানি
পড়ি কিলাস থিরি।
হিঁ হিঁ হিঁ হিঁ
তেঁতুল পাতা তেঁতুল ফল
সবই লাগে ভাঁলো
ঝাঁকড়া চুঁলে নাঁড়াই কল
দেঁখতে আমি কাঁলো
নাঁকটা বাঁকা চোখটা বঁড়
দাঁতটা উঁচু উঁচু
লম্বা আঁমার হাতটা পঁড়ো
রেখাত নাঁই কিঁচু।
আঁশটে স্বাঁদে মন ভঁরে যাঁয়
জীঁবনে নাই পুঁন্ন্যি
মঁটকে দেঁবো ঘাঁড়টি পেঁলেই
আঁমি শাঁকচুন্নি
হাঁ হাঁ হাঁ
হিঁ হিঁ হিঁ।
খুব সুন্দর ছড়াগুলো।এমন ছড়া হলে পড়তে কার না ভালো লাগে?
খুব ভালো। এগিয়ে চলুক ছড়ার দরিয়া।