নির্জন অঙ্কন-এর কবিতা
আহার
ক্ষুধার প্লেটে কাঁচা রুটি রেখে পুরিয়ে নেয় হাড়মাটি
চাউল সিদ্ধ দেখে তলপেটে পাখি ডাকে “আমি ক্ষুধার্ত, আমি ক্ষুধার্ত”
দরবার
দূষিত হচ্ছে হাওয়া
দিন বদলের গানে সজনে মেতে ওঠে
ফাঁসির আসামি ঝলসে মোমের মতো গড়িয়ে যাচ্ছে— ইজম ধরে।
সূর্যহীন সকাল
নষ্টালজিক দিন
মাষ্টারবেসন রাত
গ্রন্থ গুলোর যৌবন নাপাক করে তোলে।
কাঠিন্যের গলা খাকারি সরবর
ঝিনুকঠোঁট
নুপুরহাসি
মাতিয়ে রাখে পিনিক দরবার।
আমাদের সুখ দুখ
আঙুলে আঙুল ডুবিয়ে আমরা উড়ে আয়
যে ভাবে উড়ে যায় দুই ইঞ্জিনের সুখ।
আকাশ ও সুমদ্রের দূরুত্ব সল্প দৈঘ্যের
তাই আকাশে পা’দিয়ে সুমুদ্র ছুঁয়ে বেড়াই।
ঘুরে বেড়াই সূর্য থেকে চাঁদে
সুখ থেকে দুখে।
হোতে চেয়েও পারিনা
পাখি হোতে চেয়ে
হয়েছি মাছ।
ময়র হোতে চেয়ে
হয়েছি কাক।
গাছ হোতে চেয়ে
হয়েছি কাকতাড়ুয়া।
প্রেমিক হোতে চেয়ে
হয়েছি শিখা।
শুধু হোতে চাইনি
বিচ্ছেদের নিরেট কাব্য।
যা হোতে চাই
তা হোতে পারিনা!
দুঃখ হয়
তবুও মন বলে এ দুঃখ আমার না।