কবিতা

লুনা রাহনুমা’র কবিতা

ভ্রমর

বক্ষে বাঁধিয়া বিষের থলি
চক্ষে ফোটাও ফুল-
বন্ধু তোমায় প্রেমিক বলি
জানি, করছি ভুল।

পঙ্কিলে ফোটে কোমল পদ্ম
নর্দমাতে নামি নাই-
হৃদয়ে এসেছে যে প্রেম সদ্য
লাজ ঘেন্না শেখে নাই।

জোনাকিরা আলো জ্বালছে জ্বালুক
বাসুক আরকেটু ভালো-
ভুল সোহাগরে কামনায় ঢুলুক
বাসনার তৃর্ষ্ণাত আলো।

জাগছে তিমির রজনী তোমার
বন্দনা করে আমারই-
হউক কিছু তার মিথ্যা আদর
বাকটিুকু ক্ষমার প্রহরী।

গলিতে অনলে দোহরে সম্মতি
কণ্ঠে জলরে সুধা-
বুকের ভেতর পুড়ুক বসতি
উবে যাক কুঞ্জটিকা।

শব্দের খেলায় উচ্চারণ করো
সুশোভন অনুরাগ-
চোখের তারায় পেয়ালা ভরো
প্রমোদরেও অভলিাষ।

প্রেমেতে বাঁধয়িা পরানখানি
কণ্ঠে ফোটাই ভাষা-
তোমার হৃদয়ে কামনার রাশি
আমাত, প্রেণয়রেই দুরাশা।

শীত আখ্যান

ঋতুর ভেতর তোমার প্রিয় র্বষা
কারণ, চোখের জলের অস্তিত্ব লুকানো যায় সহজে
আকাশের কান্নার দোহাই দেয়ার থাকে একটা ভরসা।

আমার কিন্তু বেশি প্রিয় শীতকাল
হালকা হালকা ওমের মতো কাশ্মীরি চাদরের র্স্পশে
মনে হয় আছি তোমার পাশেই, এইতো সমান্তরাল।

শীতের ঝরা পাতায় মালা বানিয়ে
পাতার ফাঁকে শিউলির রং আর ঝুমকো জবার ঝালর গলায় ঝুলিয়ে
আমি উদ্দাম নেচে চলি তোমার হাতটি ধরে, শুদ্ধ সংরাজ্ঞী হয়ে।

কুয়াশার হিমহিম খেলায় রহস্যের ধাঁধা
চেনা পৃথিবীর অল্পই একবারে যায় দেখা, ঘোমটা পড়া নতুন বৌটির মতো
লাজুক নয়নে লুকিয়ে দেখা, চুড়ির রিনিঝিনি ঝংকারে যার শখটুকু বাঁধা।

ঋতুর ভেতর আমার ভীষণ শীতকাল প্রিয়
মায়ের বোনা উলের জাম্পার আর মাফলার নিয়ে চলে যাই শৈশবে
মায়ের ছোঁয়া পুরোনো গন্ধের মতো সতেজ করে দেয় আমার অস্তিত্ব।

চোখ
১।
চোখে চেয়ে রাত কাটে
চোখে নাম ভোর,
চোখ তার খোলা মাঠে
সোনালী দুপুর।

২।
চোখ জানে কবিতা
চোখ বলে গল্প,
নির্বাক চোখ ছুঁয়ে
কেউ বোঝে অল্প।

৩।
চোখ দুটি মাঝে মাঝে
হয়ে উঠে বলাকা,
মেঘে আঁকে প্রিয়মুখ
বিষণ্ণ বালিকা।

৪।
লোক ভীড়ে চোখ খুঁজে
পরিচিত একজন,
স্বপ্নের সব রং
জুড়ে যার বিচরণ।

৫।
তোমার আমার দুটি চোখ
যখন হয় বিনিময়,
র্সূযী ডুবে দিন দুপুরে
দিশা হারায় এই হৃদয়।

৬।
ভালোবাসার কথাগুলো
লেখা থাকে চোখের তারায়,
মন্দ লাগার ভাষাটুকু
লুকাতে হয় চোখের পাতায়।

৭।
চোখ নিয়ে এতো কথা
এতো গান গল্প,
সব কিছু থেমে যাবে
চোখ হলে বন্ধ।


অ-পূর্ণতায় দুইজন
বিচ্ছেদ কলহ ভাঙন চর্তুদিক
বিবাদ যাতনায় সংকুচিত বুক
তবুও মেয়ে,
কাজলে সাজায় দুই নয়নের সুনীল
কপালে আঁকে সোহাগরে লাল তিল।
পরশু রাতে নিদ্রার ঘোরে কেঁদেছিলো সারারাত
তরশু তাহার হৃদয়ের ক্ষত উথলে দিয়েছে চাঁদ
তবুও ছেলে,
ক্রোধের আগুনে তাপায় মুখের ভাষা
পুরুষ হইবে বজ্রসম, দারুন সর্বনাশা।
আদ্যােপান্ত পড়িয়ে পাঠক থামিল যতি চিহ্নে,
মেঘনির্ঘোষ ভূমিতে লুটায়, র্পূণতা নেই অভিন্নে।


প্রেম

সন্নিকটে যারা পায়-
তারা ভাগ্যবান,
পেয়েও যারা যতন করে-
তারা বুদ্ধমিান।

আমার কর্কট রাশি
আদ্রতা আসে না আদতে,
বরাবর তাই রুক্ষ কর্কশ
অগ্নি দৃস্টি তোমার বরাতে।

ক্ষমাসুলভ দপখিতে হইবে
হে প্রিয়
প্রেমহীন এই রমণীয় নিষ্ঠুর তাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *