ইদ্রিস মণ্ডলের একগুচ্ছ ছড়া
০১. ভালো থাকো
ভালো থাকো কাছের স্বজন
আমার প্রিয় আপনজন,
তুঙ্গে এখন করোনা রোগ
ঘরেই থেকো সারাক্ষণ।
বাইরে গেলে লোকের ভীড়ে
রোগজীবাণু লাগবে গায়,
জ্বর-কাশি আর গলা ব্যাথায়
প্রাণ বেরোবেও অবেলায়।
কি প্রয়োজন বাইরে যাবার
আর ক’টা দিন ধৈর্য ধরি,
রোগ পালাবে তেপান্তরে
নিয়ম মানার চেষ্টা করি।
সুখে থাকো ভালো থাকো
আজকে কাছের স্বজন সব,
কাটলে আঁধার আবার করো
আগের মতো কলোরব।
০২. মায়ের ভালোবাসা
ফড়িং যাবে করতে খেলা
তিড়িংবিড়িং নাচে,
হুকুম নিতে যাচ্ছে ছুটে
জলদি মায়ের কাছে।
ছুটতে গিয়ে তাড়াতাড়ি
পিছলে গেল পা,
পড়লো ফড়িং উল্টে থপাস
আর সে নড়ে না!
ঠ্যাং ভেঙেছে চোট লেগেছে গায়,
শরীরজুড়ে ফড়িং ব্যথা পায়!
হয় না তবে আর খেলা তার
হয় না নাচা মাঠে,
ছুটতে গিয়ে মচকালো ঠ্যাং
শুয়েই থাকে খাটে।
মায়ের আদর সোহাগ নিয়ে
যায় কেটে তার বেলা,
পা সারলে নাচবে আবার
করবে মাঠেও খেলা।
দিন গোণে সে আশায়
থাকছে শুয়ে ঘরের ভেতর
মায়ের ভালোবাসায়।
০৩. ওই পতাকা আমার
বাংলাদেশের যে পতাকা
আজ আকাশে ওড়ে,
একার কারো নয় পতাকা
শোনায় দাদু তোরে।
ওই পতাকা তোমার আমার
আমজনতা চাষির,
খোকা-খুকু, ভাই-ভগ্নির
বৌদি এবং মাসির।
সব মানুষের ওই পতাকা
রং পতাকার ভালো,
সবুজ মাঝে বৃত্তটা লাল
ভোরের ফোটা আলো।
মন কেড়ে নেয় ওই পতাকা
দেয় পতাকা সুখ,
তারই মাঝে দোল খেয়ে যায়
বাংলাদেশের মুখ।
০৪. নদনদী খাল ভাসে
আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়ে
আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে,
টাপুরটুপুর মধুর স্বরে
নদনদী খাল ভাসে।
ডোবার ধারে ব্যাঙ ধরে গান
কদম ফোটে গাছে,
ছড়ায় সুবাস খুশির দোলা
বৃষ্টিতে হাঁস নাচে।
বনবনানী প্রাণ ফিরে পায়,
সবুজ পাতায় গাছ ভরে যায়…
বিরাজ করে বর্ষা ঋতু
ছড়ায় মধুর রেশ,
পাল্টেও দেয় প্রকৃতিকে
বৃষ্টি দিয়েই দেশ।
০৫. ঈদের ছুটি
আজকে আমার মন ভালো খুব
ভাল্লাগে বেশ সব,
সারাটা দিন ঈদের ছুটি
সুখের কলোরব।
আনন্দে আজ সুখের দোলা
ফূর্তি সারাদিন,
বুকের ভেতর যাচ্ছে বেজে
ঈদের খুশির বীণ।
তাইরে নাইরে তাই,
আনন্দে গান গাই…
মন ভালো খুব ঈদের ছুটি
নেই অানন্দের শেষ,
ভাসছি দারুণ সুখের দোলায়
ফূর্তি মনেও বেশ।