ছড়া

জোবাইদুল ইসলাম এর চারটি ছড়া

অচিন পাখি

একটি পাখি উড়ে উড়ে
কোত্থেকে যে এলো!
পাখা দুটি ঝাপটালো সে
দেখতে এলোমেলো।

লাল টুকটুক ঠোঁট দুটি তার
দেখতে ভীষণ লাগে!
গায়ের রঙে দেখতে হলুদ
পাকা ধানের আগে।

দাগ ছোপ ছোপ গায়ের রঙে
লালও আছে ডানায়
সবমিলিয়ে এলোমেলো
রঙটা তাকে মানায়।

দেখতে তাকে ভীড় করেছে
বনের কতো পাখি!
অভিবাদন করছে তাকে
করে ডাকাডাকি।

অজানা ফুলের সুবাস

ফুলের সুবাস ভেসে আসে
কোথা থেকে জানি!
এই নিয়ে তাই করছে লোকে
ভীষণ কানাকানি।

মিষ্টি সুবাস ঘর ভরে দেয়
ভীষণ রকম কিছু!
কোন ফুলেতে এত্তো সুবাস
লোকে ছুটলো পিছু।

ছুটতে ছুটতে হয়রান হলো
কোথায় ফুলের দেশটা?
এদিক ছুটে ওদিক ছুটে
পায় না শুরু শেষটা।

হঠাৎ দেখে একটি পাখি
ঠোঁটে নিয়ে ফুলটা
উড়ে উড়ে নদীর উপর
পার হয়েছে কুলটা।

এই পরিবেশ

সবুজ গাছে ছেয়ে আছে
বাড়ির চারিদিকে
কড়া রোদে মিষ্টি ছায়ায়
গরম লাগে ফিকে।

গাছের ডালে ফলে ভরা
লাল টুক টুক মিষ্টি
দেখলে কেউ ফেরায় না তো
গাছ থেকে তার দৃষ্টি।

বাড়ির উঠোন ঘাসে ভরা
ঢেকে আছে মাটি
সবুজ ঢাকা এই পরিবেশ
জানো বড় খাঁটি।

বাড়ির পাশে দুটো জমি
হলুদ ধানে ভরা
এই পরিবেশ রক্ষা কর
লিখবে তাতে ছড়া।

লিখতে গিয়ে ছড়া

একটি ছড়া লিখতে গিয়ে
গেল মাথায় হাত
ছন্দ খুঁজে মাত্রা খুঁজে
কাটলো সারা রাত।

সকাল বেলা চায়ের কাপে
চুমুক দিতে দিতে
আসলো মনে ভাবনা যখন
চাও লাগে তিতে।

জলদি করে খাতা খুঁজে
কলম নিয়ে বসে
লিখলো ছড়া খুশি মনে
ছন্দ-মাত্রা ঘষে।

লেখা শেষে পড়ে দেখে
মুচকি মুচকি হেসে
বলল আমি লিখে ফেললাম
ছড়া অবশেষে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *