ছড়া।। ভালোবাসার পদ্য।। সারওয়ার-উল-ইসলাম
হে বন্ধু হে প্রিয়
রুমিলার আজ বিয়ে তাই
সকালে ওদের বাড়ি যাই।
রুমিলা কি হয় আগে বলি
ছোট থেকে এক সাথে চলি।
দুজনের বাড়ি পাশাপাশি
ঝগড়া করেই ফের হাসি।
খেলেছি দুজন দাবা কত
আমি ওর বন্ধুর মত।
অনার্সে দুইজনে পড়ি
পাঠাগারে বসে নোট করি।
বইমেলা গিয়ে ওকে আমি
বই উপহার দেই দামি।
ওর শখ পারফিউম কেনা
’পছন্দ হয় যেটা নে না’─
আমাকে দোকানে গিয়ে বলে
উপহার দেয়া নেয়া চলে।
এখন ওসব কথা থাক
আসল কথাটা বলা যাক।
সকালে রুমিলা দেখে যেই
কাছে এসে জোরে বলে, এই─
চল দুজনেই যাই ভেগে
কথ্ শুনে যাই আমি রেগে।
কি সব বলিস তুই যা-তা
ঠিক ঠাক আছে তোর মাথা?
রুমিলা কথাটা শুনে কয়
দীপুরে, এমন কেনো হয়?
তারপর চেয়ে শুধু রয়
দুচোখে ঝর্না যেন বয়।
মেয়েদের মন বোঝা দায়
রুমিলাকে নিয়ে বর যায়।
টয়োটা যাচ্ছে ঐ দেখা
নিজেকে লাগছে খুব একা।
একা
সকাল দুপুর দেখি যে তোমায়
মনটাকে তুমি নাড়া দাও
জানি না কোথায় ফেলেছো নগর
কার ডাকে তুমি সাড়া দাও।
গভীর রাত্রে কার টেলিফোন
পাবার আশায় থাকো তুমি
কার ছবিটাকে অপলক দেখে
বইয়ের ভেতর রাখো তুমি।
চিত্রার গান শুনলেই কেন
দুটি চোখ জলে ভরে যায়
হয়তো তখন ফুলের বাগানে
একটি গোলাপ ঝরে যায়।
যার জন্যেই এতসব কিছু
তার সাথে যদি দেখা হয়
তাকে এনে দেব, পরে বুঝে নেব
মানুষ কেমনে একা হয়।
প্রিয় দুঃখ
রেখেছি এই বুকে কিছু
দুঃখ আমি পুষে
আনন্দে খুব থাকলে, ওরা
আনন্দ নেয় শুষে।
ভালোবাসি দুঃখগুলো
আছে বাসি গোলাপ ফুলও
দুঃখগুলো বেচবো নাই ভাই
লক্ষ টাকা ঘুষে।