রাফিউজ্জামান রাফি’র ছড়া
বৃষ্টি এলো শহরে
দুপুর বেলার প্রহরে
বৃষ্টি এলো শহরে।
ভিজলো বাসের সারিটা,
ভিজলো দালান বাড়িটা।
ভিজলো গাছের পাতারা,
ভিজলো মাথায় ছাতারা।
ভিজলো টঙের দোকানী,
ভিজলো কাগজ টোকানি।
ড্রেন ভিজলো, ট্রেন ভিজলো,
ভিজলো শালিক কাক।
ইট ভিজলো, কাঠ ভিজলো,
ভিজলো দাদুর টাক।
বড় হলে ছেলে বেলা চুরি হয়ে যায়
বড় হলে ছেলে বেলা হয়ে যায় চুরি।
মারবেল ফুটবল কানামাছি ঘুড়ি
সব যেন ছেড়ে যায় হয়ে যায় পর!
জুলাপাতি ডাংগুলি কলাপাতা ঘর,
পুতুলের বিয়ে শাদী কুমিরের খেলা!
পাইনাতো হাতড়িয়ে খুজে ফিরি মেলা!
জল ভরা পুকুরেতে ঝাঁপাঝাপি করে
বাড়ি ফিরে মার বকা থাকি চুপ করে।
আগ ডালে মগ ডালে ভয় ভুলে ওঠা!
সারাদিন হৈ হৈ এলোমেলো ছোঠা!।
কেউ কথা বলে নাযে দূরে দূরে থাকে!
অবসরে উকি দিয়ে হাত নেড়ে ডাকে।
কত ভাবি রোজ রোজ একবার যদি
ফিরে পাই ছেলে বেলা ঢেউ ভাঙ্গা নদী!
ছুটে যাবো রোদ মেঘ সবুজের ঝাকে।
খুব দূরে ছুড়ে ফেলে বড় বেলাটাকে।
ছোট্ট তানির পুতুল বিয়ে
আজকে তানির পড়া নেই খেলবে তা ধিন ধিন।
ঘেও বাজাবে ভায়োলিন আর পুষি বিড়াল টিন।
আজকে তানির খেলা শুধু বন্ধ পড়ালেখা।
মোরগ ডাকে কুক্কুরু কু মুরগীটা দেয় ঠেকা।
আজকে তানি খুব সেজেছে প্রজাপতি সেতো!
ডানা দুটো থাকলে তানি ঠিকই উড়ে যেত!
আজকে তানির ইদ লেগেছে মনের আনন্দে।
সেই খুশিতে ছাগল ছানা নাচছে যে ছন্দে।
আজকে তানি ঘুরবে শুধু সারা পাড়া গ্রাম।
বাছুরটা তার সঙ্গী হবে রাম পাম পাম।
আজকে তানি ভীষণ খুশি সুখ যে ধরে না।
পোলাও পায়েস রান্নাঘরে রাধছে তানির মা।
বলতে পারো তানির খুশির কারণটা কি নিয়ে?
আজকে হবে ছোট্ট তানির পুতুল দুটির বিয়ে।
শৈশব
শৈশব মানে বাবার আদর মার আচলের ছোঁয়া।
শৈশব মানে মজার খাবার নাড়ু মুড়ি খৈ মোয়া।
শৈশব মানে দাদার স্নেহ দাদীর শোনানো কিচ্ছে।
শৈশব মানে যখন তখন যা খুশি করার ইচ্ছে!
শৈশব মানে বাবার শাসন মায়ের কপট ধমক।
শৈশব মানে খেলনা পাতি নতুন জামার চমক!
শৈশব মানে ঘুড়ি নিয়ে ছোটা নাটাই সুতো হাতে।
শৈশব মানে পেট ব্যাথা খুব পড়তে বসলে রাতে!
শৈশব মানে দাদার সাথে পূজা দেখতে যাওয়া।
শৈশব মানে বায়না হাজার রাগ করে না খাওয়া!
শৈশবের মানে দাগিদুগি শুধু শখের ড্রয়িং খাতায়।
শৈশব মানে বড় হয়ে খোজা পুরোনো স্মৃতির পাতায়।