নূরুল ইসলাম মনি’র ছড়া
ফুল পাখি ও নদীর ছবি
বিলের জলে শাপলা ফোটে
শিউলি ফোটে ডালে,
দোয়েল পাখি নৃত্য করে
রান্না ঘরের চালে।
নদীর চরে কাশ ফুলেরা
সন্ধ্যা সকাল হাসে,
নীল আকাশে মেঘের ভেলা
দল বেঁধে সব ভাসে।
এসব দেখে ছোট্ট খুকি
রঙিন ছবি আঁকে
ফুল পাখি ও নদীর ছবি
দেখায় সে তার মাকে।
ধান করেছি
ধান করেছি,পাট করেছি
ক্ষেত ভরেছি আবাদে,
লাউ করেছি,শিম করেছি
সব করেছি, চা বাদে।
লাউয়ের ডগা পাটের পাতা
পণ্য মোটেই নয়গো যাতা
এসব বেচে পকেট আমার
টাকায় টাকায় ভরেছি।
ঋণ যা ছিলো সবই শোধ
হায়রে আমার কী আমোদ।
লাউয়ের ডগা পাটের পাতা
পণ্য এসব নয়তো যা তা।
ঝিঙে বেচি আশি টাকায়
করলা বড়ো দামী রে,
কচু ও তার লতা বেচে
লক্ষপতি আমি রে।
কুমড়ো বেচি গাঁয়ের হাটে
লাউ কদুটা ভালই কাটে।
গাজর মুলা ডাটার শাক
এদের কথা বাকিই থাক।
সাজনা বেচে এবার আমি
বিপুল টাকা ধরেছি।
আহাম্মকে ধানটা করেই
বলে এবার মরেছি।
ছবির মতো দেশটা আমার
ঝিঙে ফুলের হলদে আভা
মনকে আমার টানে,
নিত্য আমি হই মোহিত
পাখপাখালির গানে।
নীল আকাশে বেড়ায় ভেসে
শুভ্র মেঘের ভেলা
হাঁস ছানারা নিত্য খেলে
ডুব সাঁতারের খেলা।
জল পানারা সাজে শুধু
রঙবাহারি সাজে
এসব দেখে হই উতলা
মন বসেনা কাজে।
ছবির মতো দেশটা আমার
চক্ষু জুড়াই দেখে
প্রাণটা জুড়াই গান কবিতা
কাব্যকথা লেখে।
নাম কী তোর
নাইতো কোন বৃষ্টি বাদল
দিনটা খুবই পরিস্কার,
এই সময়ে খবিস ছেলে
হাতখানা তুই ধরিস কার?
মোল্লাবাড়ির মেয়ে আমি
নামটা হলো সোজানা,
এমন করে হাতটা ধরা
এক্কেবারেই সোজা না।
তুই মনে হয় দূরের ছেলে
তাই আমাকে চিনিসনা,
হাট বাজারে ধরবি হাতে
আমি এমন জিনিসনা।
বল্ সরি বল্ এক্ষণই তুই
কান ধরে বল নাম কী তোর?
এই খানে ক্যান্ ঘুরতে এলি
এই খানে বল্ কাম কী তোর?