মারজান ইসলামের ছড়া
নিস্প্রভ চাঁদ
জানলার পাল্লাটা খুলে রেখে রোজ
উৎসুক চোখ করে জোৎস্নার খোঁজ
নির্বাক মাঝ রাত আর দুইজনে
তার মোহে পথ চলি সন্তর্পণে
নিশ্চুপ পথ ঘাট নিস্প্রভ চাঁদ
রাতজাগা লাইট পোস্ট হয় উন্মাদ
নগরের নীল চোখে দেখলাম কায়া
কংক্রিট বুঝবেনা জোৎস্নার মায়া।
ধৈর্য কুড়াই
সূর্যের ভাবনা তো দিনটাকে ঘিরে
ভাসমান সমীরণ আসে ফিরে ফিরে
নগরের চোখ থামে দেখে কোলাহল
গোধূলির রং যেন মায়া দোলাচল
রজনীর সখ্যতা আঁধারের সনে
পূর্ণিমা বাধ সাধে কভু ক্ষনে ক্ষনে
সাগরের উদারতা তুলনা বিহীন
বেলাভূমি ধুয়ে ধুয়ে রাখে অমলিন
এ সৃজন দেখে মন, প্রাণ যে জুড়াই
আকাশের কোল থেকে ধৈর্য কুড়াই।
রোদ ও বস্ত্র হারা
মেঘ ভাঙা রোদ আলতো পায়ে
পাতার ফোকর দিয়ে
সংগোপনে ঢুকলো ডেরায়
কোন বারতা নিয়ে!
জীর্ন ডেরায় শীর্ণ কায়ার
মিষ্টি বদন দেখে
খন্ড রোদের উজ্বলতায়
আঁধার গেল মেখে
শীর্ণ দেহি জিজ্ঞাসিত
দৃষ্টি মেলে বলে
ভাঙ্গা কুঁড়ে কে ভাই তুমি?
ঢুকলে পলে পলে
আমার ঘরের হাজার দুয়ার
তোমায় দিলাম খুলে
হিম নিশীথে তোমায় ভেবে
হ্রদয় ওঠে দুলে
শীতল পবন কনকনিয়ে
আঘাত যখন হানে
কল্পনাতেই নয়ন বুজে
তাকাই তোমার পানে
অষ্ট তালির জুব্বা গায়ে
শরীর যখন কাঁপে
স্বপ্ন দেখি শীত তাড়াবো
প্রত্যুষে রোদ তাপে
রনির ঘরে তুলতুলে ওই
ডগির গায়ে রোজ
গরম কাপড় জড়িয়ে রাখে,
নেয়না মোদের খোঁজ
মুখ ফুটেতো তোমার কাছে
চাইনি আমি কিছু
কিন্তু তুমি কার ইশারায়
নিচ্ছো আমার পিছু
উষ্ণ আবেশ জড়িয়ে আমি
আসবো আবার ঠিক
নইলে তোরা বস্ত্র হারা
ছুটবিরে কোন দিক?
অসাধারণ