নূরুল ইসলাম মনি’র ছড়া
শরৎ
ঘরের চালে শালিক বসা
স্বচ্ছ নদীর জল,
ফুলে ফুলে পড়লো ঢাকা
শিউলি গাছের তল।
বিলের জলে শাপা ভাসে
তাই দেখে এই হৃদয় হাসে
শরৎ কালের ভাদ্র মাসে
পাচ্ছি দেশি ফল।
এমন মজার কাল কোথাও
যায় কি পাওয়া বল্?
নীল আকাশে বেড়ায় ভেসে
সাদা মেঘের ভেলা,
দেখলে আমার মন চলে যায়
স্বাদের মেয়ে বেলা।
শিউলি ফুলের মালা দিয়ে
ছোট্ট বাসর ঘর সাজিয়ে
দিতাম আমি পুতুল বিয়ে
জমতো মজার খেলা।
এখন কেন তোরা এসব
করিস অবহেলা।
ফুল পাখি ও নদীর ছবি
বিলের জলে শাপলা ফোটে
শিউলি ফোটে ডালে,
দোয়েল পাখি নৃত্য করে
রান্না ঘরের চালে।
নদীর চরে কাশ ফুলেরা
সন্ধ্যা সকাল হাসে,
নীল আকাশে মেঘের ভেলা
দল বেঁধে সব ভাসে।
এসব দেখে ছোট্ট খুকি
রঙিন ছবি আঁকে
ফুল পাখি ও নদীর ছবি
দেখায় সে তার মাকে।
স্বর্ণালি জীবন
চোখটা খুলেই আকাশ দেখি
দেখি সবুজ বন,
ফুল পাখি ও ঝর্ণা দেখে
জুড়াই প্রাণ ও মন।
অঙ্গে ছিটাই নদীর পানি
গন্ধরাজের গন্ধ টানি
জোছনা ধোয়া রাতের কোলে
কাটাই সারাক্ষণ
এই ভাবে তো চলছে আমার
স্বর্ণালি জীবন।
আজ দুপুরে
আজ দুপুরে জানলা খুলে
দেখছি দূরের আকাশ
বাতাস এসে কয় আমাকে
কোন দিকে তুই তাকাস?
মনে মনে কার বিপরীত
কোন্ ছলনা পাকাস?
বল আমারে কোন কারণে
মুখখানা তুই বাঁকাস?
আমি বলি বাতাসরে তুই
কেনই এতো হাঁকাস
সবুজ গাছের পত্রগুলি
দিন-রজনী ঝাঁকাস।
নদীর পারে ঐ গুলি কী
শিউলি? বেলি? না কাশ?
মেঘ বালিকার দ্বারা কেন
এত্তো ছবি আঁকাস?