ছড়া

সঞ্জয় সরকার এর গুচ্ছ ছড়া

এই নদীটা সেই নদীটা

এই যে ধারা, জলের ধারা

বইছে নিরবধি

এই ধারাটাই ছোট্টবেলার

ইচ্ছেমতি নদী।

এই নদীতে ডুব সাতারে

কাটত কত বেলা

বিকেল হলে উঠত জমে

মাছ-শিকারের মেলা।

পাল তোলা নাও শো শো করে

চলত রাতের টানে

মন হারাতাম পরান মাঝির

ভাটিয়ালী গানে।

শরৎ এলে হারিয়ে যেতাম

দুধ-সাদা কাশবনে

ছোট্ট বেলার এই নদীটা

আজো পড়ে মনে।

এই নদীটা আজো আছে

যায় না ভোলা ওইসব

হারিয়ে গেছে জীবন থেকে

স্বপ্ন-রঙিন শৈশব।

দাদার বাঁশি

তাকধিনাধিন, তাকধিনাধিন

তাকধিনাধিন, তাক্

তেল মাখালে চকচকে হয়

দাদার মাথার টাক।

তেরেকেটে, তেরেকেটে

তেরেকেটে, তাক্,

রাত্রি হলে বাজান দাদা

বাঁশির মতো নাক।

টাকডুমাডুম, টাকডুমাডুম

টাকডুমাডুম, ডুম,

বাঁশির তালে তালে দাদা

নাক ডেকে দেন ঘুম।

ইচ্ছেডানা

পড়ার সময় পড়ব আমি

খেলার সময় খেলব

ইচ্ছে হলে পাখির মতো

ইচ্ছেডানা মেলব।

বিকেল বেলার অবসরে

ফুলের বনে ঘুরব

দূরাকাশে মেঘের পাশে

পাখনা মেলে উড়ব।

হেসে খেলে ঠিক আমিও

হব অনেক বড়

আমার জন্য যা প্রয়োজন

সব তুমি আজ কর।

আমি শিশু, পৃথিবীটাই

খেলনা আমার কাছে

আমারও তো সাধ পূরণের

সব অধিকার আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *