উৎপলকান্তি বড়ুয়ার গুচ্ছ ছড়া
আমার কাছে ছড়ার আছে
আমার কাছে ছড়ার আছে দুইটি রুপোর সিকি
জানতে পারো আমার আরো ছড়ার আছে কি কি!
পাঁচটি ছড়ার পুতুল আছে নাদুস নুদুস হাসি
মনটা ভালো করা গানের কোকিল পাশাপাশি।
ছড়ার আছে পদ্মফোটা পুকুর দীঘি জল
বেতস ঝোঁপের আড়ে ডাকা ডাহুক অনর্গল।
পূর্ণিমা রাত আলোয় ভাসা জোছনা লাগা ঘোর
আমার কাছে ছড়ার আছে শিশির ভেজা ভোর।
ছন্দে গড়া ছড়ার লেখা ছড়ার পড়া শেখা
সুখের নদে খুশির ভেলায় প্রীতির চোখে দেখা
দেবদারু বট নিম তুলসী শাল পিয়ারের ছায়া
আমার কাছে ছড়ার আছে পরম প্রীতি মায়া।
ছড়ার বাড়ি ছড়ার গাড়ি ছড়ার প্রিয় গান
বাবা মায়ের আদর স্নেহ ভালোবাসার টান
নদীর বুকে নায়ের পালে থির দুপুরের বেলা
ছড়ার আছে হলুদ বিকেল সবুজ মাঠে খেলা।
ছড়ায় ছড়ায় ছন্দ গানে সুরের মোহন বীণ
আমার কাছে ছড়ার আছে ছন্দ সারাদিন।
ন্যাংটি হুলোর ব্যাটিং বোলিং
ন্যাংটি করে বোলিং মাঠে ব্যাটিং করে হুলো
গ্যালারিতে হাততালি দেয় হরিণ-বানগুলো।
বল পেয়ে ঠিক মতো হুলো অমনি হাঁকায় চার
পরেরটা ফের ছক্কার বল বাউন্ডারি হয় পার।
চার ছক্কা পিটিয়ে হুলো সেঞ্চুরি নেয় তুলে
পরের বলেও বোল্ড আউট হয় সামান্যটুক ভুলে।
বোলিং গতি রানের গতি কেউ বুঝি নয় কম
রান উইকেট বাড়ে-পড়ে নিমিষেই একদম।
দুইশ’দশে হুলোর সকল ওভারতো শেষ হয়
ন্যাংটি আটাশ রানে করে বিশ্বটাকে জয়।
ডানপিটে ছেলে
ডানপিটে ছেলে তো সে ডানপিটে ছেলে
লেখা নেই পড়া নেই খেলে আর খেলে।
বকা শুনে রয় নুয়ে
দুপুরে ঠিকই শুয়ে
রোজ দেয় ফাঁকি, যায় মাকে ঘুমে ফেলে।
খানিক সে পড়ে যায় কারো গায়ে হেলে,
বুড়োটার ঠেলাগাড়ি খানিক দেয় ঠেলে।
খানিক পুকুরে ঝাঁপ
ওরে বাপ! ওরে বাপ!
তার কোনো ঠিক নেই চলা এলেবেলে।
উসকো মাথায় দেখা নেই চুলে তেলে,
ইচ্ছের সবটুকু রঙ দিয়ে ঢেলে
ঠা ঠা রোদে নেই ভয়
নিজে নিজে নিজে হয়
জামবুরা বল পায়ে ম্যারাডোনা পেলে!
কখনো বা খালে বিলে দেখবে তো গেলে,
হাতরিয়ে ধরে মাছ ফেল মারে জেলে।
ঘোরে হাট মাঠ পাড়া
চঞ্চল দিক হারা-
দশ গ্রামে ঠিক এমন খু্ঁজেও না মেলে।
ডানপিটে ছেলে সে তো ডানপিটে ছেলে।
নতুন দিনের ফুল
চাই সকলে সবার ভালো
চাই শান্তি সুখ,
থাকুক ভরে সম্বৃদ্ধির
ফুল-ফসলে বুক।
দেশের-দশের চাই ভালো চাই
নয় মনে আর ক্লেশ,
সহিংস ক্ষোভ সংঘাত খুন
উদ্বেগ হোক শেষ।
তোমার আমার হাতেই আছে
সফলতার চাবি,
এসো নতুন বছরে সব
নতুন করেই ভাবি।
জলাঞ্জলি দিয়ে সকল
নষ্ট অতীত ভুল,
ফোটাই চলো সবাই মিলে
নতুন দিনের ফুল।