গুচ্ছ ছড়া কাব্য কবির
গাঁয়ের ছেলে,মায়ের ছেলে
গাঁয়ের ছেলে,মায়ের ছেলে
কাব্য কবির আমি,
আমার কাছে পথের ধূলো
সোনার থেকে দামি।
মাটির বুকে শস্য ফলাই
মুখে আছে হাসি,
দুই চোখেতে স্বপ্ন আমার
আছে রাশি রাশি।
আযানেরই ধ্বনি শুনে
খুব সকালে উঠি,
পাখপাখালির গান শুনতে
বন-বাঁদাড়ে ছুটি।
পথের ধূলো গায়ে মেখে
মেঠো পথে হাটি,
মনের মতো নরম যেন
আমার গাঁয়ের মাটি।
গ্রাম বাংলার মানুষ
গ্রাম বাংলার মানুষগুলো সহজ,সরল খাঁটি,
গ্রাম বাংলার মানুষগুলো যেন ভেজা মাটি।
ওদের মনে নেই যে হিংসা,আছে ভালোবাসা,
হোক না ওরা গরিব কিংবা গরীব চাষা।
পাখপাখালির গান শুনতে খুব সকালে ওঠে,
কেউ বা লাঙল কাঁধে নিয়ে মাঠের কাজে ছোটে।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে করে ওরা কাজ,
কাজ করিতে ওদের মনে নেই যে কোন লাজ।
মাঠে মাঠে ফলায় ওরা সোনা রঙের ধান,
এই সমাজে কৃষক কি ন্যায্য মূল্য পান?
শীতের দিনে মানুষগুলো কষ্ট করে খুব,
বুকে হাজার ব্যথা তবু থাকে ওরা চুপ।
ভেজা মাটির গন্ধ পেলে মনে শান্তি পায়,
সুখ,শান্তি লুকিয়ে থাকে যেন সবুজ গাঁয়।
কলমি ফুলের হাসি দেখলে মনটা ওঠে ভরে,
মনের মাঝে রূপের হাসি নড়াচড়া করে।
গাঁয়ের ছবি ভালোবেসে আঁকে ওরা মনে,
ওদের আমি ভালোবাসি সারাক্ষণে ক্ষণে।
আমার বাংলাদেশ
এই দেশেতে জন্ম বলে গর্ব করি আমি,
এই দেশেরই পলিমাটি সোনার থেকে দামি।
এই দেশেরই মাঠে ঘাটে নানান শস্য ফলে,
বিশ্বলোকে বাংলাদেশ কে খাঁটি সোনা বলে।
এই দেশেরই বিলে,ঝিলে শাপলা ফুল ফোটে,
শাপলা ফুল তুলে আনতে খোকাখুকি ছোটে।
এই দেশেতে রোজ সকালে শিশির ভেজা ঘাসে,
মিষ্টি রোদের ছোঁয়া পেলে মুক্তার মতো হাসে।
এই দেশেরই সাম্পান মাঝি ভাটিয়ালী গায়,
মুক্ত বাতাস পেলে মাঝি মনে শান্তি পায়।
এই দেশেরই রাখাল বাজায় মিষ্টি সুরে বাঁশি,
বাঁশির সুরে মনটা উদাস চাঁদের মতো হাসি।
এই দেশেরই কলমি কমল লাগে যেন বেশ,
সকল দেশের রাণী হচ্ছে আমার বাংলাদেশ।